
নতুন করে দুই লাখ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার প্রকল্প আপাতত হচ্ছে না। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে সরকারের আর্থিক সামর্থ্য বিবেচনায় নিয়ে সরকার এ প্রকল্প স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আট হাজার ৭১১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা ব্যয়ে দুই লাখ ইভিএম ক্রয় ও ব্যবস্থাপনার জন্য গত বছরের অক্টোবরে এই প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। পরে পরিকল্পনা কমিশন ইভিএম প্রকল্প ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ইসি সচিব জাহাঙ্গীর আলম।
ইসি সচিব বলেন, আমরা পরিকল্পনা কমিশন থেকে সিদ্ধান্ত পেয়েছি। এ মুহূর্তে প্রকল্পটি তারা প্রক্রিয়াজাতকরণ করছে না। বাতিল হচ্ছে না, তবে এ মুহূর্তে হচ্ছে না।
তিনি জানান, নির্বাচন কমিশন তার রোডম্যাপে বলেছিল, যদি নতুন ইভিএম কিনতে পারে তাহলে সর্বোচ্চ ১৫০টি আসনে ইভিএমে ভোট হবে। নতুন ইভিএম না পেলে বিদ্যমান ইভিএমে দিয়ে যতগুলো আসনে ভোট করা সম্ভব সেটা করা হবে। এই সিদ্ধান্ত আগেই জানিয়েছে। এখনও সেটা বহাল আছে। পরবর্তী সিদ্ধান্তগুলো কমিশন জানিয়ে দেবে।
তিনি বলেন, আগেই বলা হয়েছে আমাদের হাতে যতগুলো ইভিএম আছে তা নির্বাচনে ব্যবহার করা হবে। সেক্ষেত্রে ৫০, ৬০ অথবা ৭০টি হতে পারে। কোয়ালিটি চেক করে বলতে পারবো বাস্তবে কতটিতে ইভিএম করা যাবে।
তিনি জানান, ইসির কাছে দেড় লাখ ইভিএম মেশিন আছে। এর মধ্যে কিছু হয়তো সচল নাও থাকতে পারে। সেগুলোর গুণগত অবস্থা যাচাই করে তা নিয়ে নির্বাচন করা হবে।
প্রকল্পটি স্থগিত হয়ে যাওয়ায় সর্বোচ্চ দেড়শ আসনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ইভিএমে ভোট করার পরিকল্পনাও হোঁচট খেলো।
জাগরণ/জাতীয়/এসএসকে