• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: মার্চ ২২, ২০২৩, ১২:০২ এএম
সর্বশেষ আপডেট : মার্চ ২২, ২০২৩, ১২:০২ এএম

আরাভকে যেভাবে ফেরানো যেতে পারে

আরাভকে যেভাবে ফেরানো যেতে পারে
ছবি ● সংগৃহীত

পইন্টারপোলের রেড নোটিশ থাকলে অপরাধীর বিষয়ে তথ্য আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে সদস্যদেশগুলোর সহযোগিতা পাওয়ার ক্ষেত্রে একধরনের বাধ্যবাধকতা তৈরি হয়। তবে কূটনৈতিকভাবে বিষয়টি নিয়ে সমঝোতা না হলে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি হলেও আসামিকে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয় না।

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ইন্টারপোলের রেড নোটিশে নাম থাকা বাংলাদেশের শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান আহমেদ ২০১৯ সালে দুবাই পুলিশের হাতে আটক হয়েছিলেন। কিন্তু কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু হলেও তখন তাকে ফেরানো যায় নি। পরে তিনি জামিনে মুক্ত হয়ে আত্মগোপনে চলে যান।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে দণ্ডিত বন্দী বিনিময় চুক্তি আছে। যদি দণ্ডিত অপরাধী সেখানে অবস্থান করেন, তবে তাঁকে ফিরিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে তাদের একধরনের বাধ্যবাধকতা আছে। যদি দণ্ডিত না হন, তাদের বিস্তারিত জানিয়ে যে কাউকে ফিরিয়ে আনা যেতে পারে।

পুলিশ সদর দফতরের ওই সূত্র বলছে, আরাভ খান ভারতীয় পাসপোর্ট ব্যবহার করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে গেছেন। তবে তিনি ভারতীয় নন, অবৈধ প্রক্রিয়ায় তিনি সেটি করেছেন। বাংলাদেশ প্রথমে বিষয়টি প্রমাণ করবে। এতে করে দুবাই যাওয়ার ক্ষেত্রেও তিনি জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন, সেটি প্রমাণিত হবে।

একজন যদি জালিয়াতির মাধ্যমে অন্য দেশের পাসপোর্ট ব্যবহার করে দুবাই যান, তবে তিনি সেখানেও বড় ধরনের অপরাধে যুক্ত হতে পারেন। এ বিষয়েই কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে বার্তা দেয়া হবে। তারপর সমঝোতার ভিত্তিতে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে।

জাগরণ/অপরাধ/কেএপি