• ঢাকা
  • সোমবার, ১৩ মে, ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৭, ২০২৩, ১১:২০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ১৭, ২০২৩, ১১:২০ পিএম

আকাশে মেঘ, কমছে তাপমাত্রা

আকাশে মেঘ, কমছে তাপমাত্রা
ছবি ● সংগৃহীত

এপ্রিলে টানা ১৬ দিন নাভিশ্বাস ওঠা গরমের পর অবশেষে সোমবার দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে।

রাজধানীর আকাশে ভেসে আসছে মেঘ। ভারত থেকে সিলেট, ময়মনসিংহ ও রংপুর দিয়ে ওই মেঘ ঢুকছে বাংলাদেশে। ফলে রাজধানীর তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। তবে জনজীবনে দুর্ভোগ বয়ে আনা টানা দুই সপ্তাহের চলমান তাপপ্রবাহের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় চুয়াডাঙ্গাকে ছাড়িয়ে গেছে ঈশ্বরদী। গত এক দশকের মধ্যে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে পাবনার এ উপজেলায়।

২০১৪ সালে চুয়াডাঙ্গায় ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল। এরও আগে ১৯৯৫ সালে এবং ২০০২ সালে দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ১৮ মে রাজশাহীতে রেকর্ড হয় সর্বোচ্চ ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ২৩ এপ্রিল থেকে দেশজুড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও সিলেটে হালকা বৃষ্টির আভাসের কথা বলা হলেও বিরাজমান তাপপ্রবাহ আরও দু-এক দিন অব্যাহত থাকার শঙ্কার কথা জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম। তিনি জানান, ঈদের আগে-পরে ২০-২৪ এপ্রিলের দিকে বৃষ্টির প্রবণতা বাড়তে পারে। তবে বেশ কয়েক দিন পর দখিনা বাতাস বইতে থাকায় ঢাকাসহ কিছু কিছু এলাকায় তাপমাত্রা কয়েক ডিগ্রি সেলসিয়াস কমেছে।

সোমবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঢাকার তাপমাত্রা রোববারের তুলনায় একলাফে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমেছে। সোমবার দুপুর ১২টায় রাজধানীর তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা রোববার একই সময়ে ছিল ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তাপমাত্রা পরিমাপে পারদের ওঠানামায় এদিন কিছুটা হেরফের হলেও রাজধানীসহ দেশজুড়ে গরমের তেজ কমেনি। ঘরে-বাইরে প্রখর তাপে মানুষ পুড়ছে। নিত্যপ্রয়োজনে যারা ঘরের বাইরে বের হয়েছেন তাদের অবস্থা ছিল অবর্ণনীয়। বাতাসে জলীয় বাষ্প বাড়তে থাকায় অস্বস্তিকর গরম অনুভূত হচ্ছে বলে জানান আবহাওয়াবিদরা।

আবহাওয়াবিদ শাহীনুল জানান, আগামী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু এলাকায় বৃষ্টির আভাস রয়েছে। তবে ঢাকায় দু-এক দিনের মধ্যে তেমন আভাস নেই।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা বলেন, আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়ায় গরমের অনুভূতি খুব একটা কমবে না। আকাশে মেঘ ও আর্দ্রতা বেড়ে গিয়ে ঘাম ও অস্বস্তি বেড়ে যেতে পারে। 

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, এত দিন আর্দ্রতা কম থাকায় মানুষ প্রচণ্ড গরমের মধ্যেও ঘামত না। এখন আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়ায় আগামী পাঁচ-ছয় দিন ভ্যাপসা গরম থাকতে পারে।

তিনি বলেন, প্রচুর ঘাম হলে শরীর থেকে পানি বেরিয়ে গিয়ে অসুস্থতা বাড়ার আশঙ্কা থাকে। ফলে এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রচুর পানি পান এবং জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়া ভালো।

জাগরণ/পরিবেশ/এসএসকে