• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ২৫, ২০২৩, ১২:৫২ এএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ২৫, ২০২৩, ১২:৫২ এএম

প্রধানমন্ত্রীকে কাতারের আমির

নতুন এলএনজি চুক্তি শিগগিরই

নতুন এলএনজি চুক্তি শিগগিরই
ছবি ● সংগৃহীত

বাংলাদেশে আরও বেশি পরিমাণে এলএনজি সরবরাহ করতে নতুন চুক্তি খুব শিগগিরই করা হবে বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল সানি।

কাতার সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার দেশটির আমিরের সাথে এক সৌজন্য সাক্ষাত করেন। সেই সাক্ষাতে কাতারের আমির এ প্রতিশ্রুতি দেন বলে এক ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন।

মোমেন জানান, দুই নেতার বৈঠকে জ্বালানি, ব্যবসা ও বিনিয়োগ এবং বাংলাদেশী জনশক্তি এবং মুসলিম উম্মাহ, বাংলাদেশের উন্নয়ন বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এই বৈঠকটি অত্যন্ত উষ্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়। জ্বালানি সম্পর্কে কাতারের আমির বলেন, কাতার থেকে বাংলাদেশে আরো বেশি পরিমাণে জ্বালানি সরবরাহের বিষয়ে নতুন চুক্তি স্বাক্ষরের আলোচনা কয়েক মাস ধরে বিবেচনাধীন রয়েছে। আমি আমির হিসাবে, আপনাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি যে, বন্ধু দেশ হওয়ায় আমি আপনাকে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেব।’

‘এই প্রতিশ্রুতি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় অর্জন। এই নতুন চুক্তি শিগগিরই স্বাক্ষরিত হবে।’

২০১৭ সালে সই হওয়া ১৫ বছরের চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ এখন প্রায় ৪০ কন্টেইনার অর্থাৎ ১.৮-২.৫ এমটিএ জ্বালানি আমদানি করছে। কিন্তু, এখন বাংলাদেশ কাতার থেকে আরো অধিক এলএনজি সরবরাহ চায়।

মোমেন বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বেও প্রশংসা করে কাতারের আমির বলেন, তারা একসময় জানত বাংলাদেশ একটি দুর্যোগ ও দারিদ্র্যপীড়িত দেশ। কিন্তু শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশের খাদ্য ঘাটতি দূর করেছেন।’

এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সরকার গত সাড়ে ১৪ বছরে দারিদ্র্যের হার ৪১ শতাংশ থেকে ১৮ দশমিক ৫ শতাংশে এবং চরম দারিদ্র্যের হার ২৫ শতাংশ থেকে ৫ দশমিক ৬ শতাংশে নামিয়ে এনেছে। আমি বাংলাদেশকে দারিদ্রমুক্ত করেছি। দারিদ্র্য একটি অভিশাপ।

‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করাই আমার একমাত্র লক্ষ্য। আমরা কিছুটা এগিয়েছি। কিন্তু আমার কাজ শেষ হয়নি। আমি আরও কাজ করতে চাই। কিন্তু আমি একা তা করতে পারবো না। আমি আপনার সাহায্য চাই। আমার আরও বিনিয়োগ দরকার। আমি আমার দেশকে বিনিয়োগের জন্য খুলে দিয়েছি। আপনি পারস্পরিক সুবিধার জন্য বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে পারেন।’

বৈঠকে শেখ হাসিনা কাতারের আমিরকে এ বছরের মধ্যে সম্ভব হলে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। জবাবে শেখ তামিম বিন হামাদ আল সানি বলেন, তিনি অবশ্যই বাংলাদেশ সফর করবেন এবং এটি এই বছরের মধ্যেই হবে।

সাক্ষাতের সময় কাতারে বাংলাদেশী কর্মীদের প্রশংসা করেন আমির। তিনি বলেন, ‘এখন ৩ লাখ ৭০ হাজার বাংলাদেশী এখানে আছেন এবং তারা কাতারের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ। কাতার নতুন প্রকল্প নিতে যাচ্ছে এবং বাংলাদেশীরা এখানেই থাকবে এবং তারা পরিশ্রমী ও আন্তরিকভাবে কাজ করছে। আমরা বাংলাদেশীদের নিয়ে খুবই খুশি।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, ‘বৈঠকটির পরিবেশে ছিল খুবই আন্তরিক। এটি একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় যে, তিনি (আমির) তাঁকে তাঁর গাড়ি থেকে নামার সময়ই স্বাগত জানান।’ পরে প্রধানমন্ত্রী দোহায় কাতার ফাউন্ডেশন পরিচালিত বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জন্য একটি বিশেষায়িত স্কুল আওসাজ একাডেমি পরিদর্শন করেন।

তিনদিনের সফর শেষে রাতেই দেশের পথে রওয়ানা হবেন প্রধানমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার ভোর ৬টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার অবতরণ করার কথা রয়েছে।

জাগরণ/জাতীয়/এসএসকে