• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ৩০, ২০২৩, ১১:৫৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ৩০, ২০২৩, ১১:৫৬ পিএম

নোবেলজয়ী ড. ইউনূস সহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নোবেলজয়ী ড. ইউনূস সহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস ● ফাইল ফটো

গ্রামীণ টেলিকম থেকে শ্রমিক কর্মচারীদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। 

জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ এনে মামলাটি করেছেন দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার।

মঙ্গলবার  সংবাদ সম্মেলনে মামলার বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রশাসন) রেজওয়ানুর রহমান।  তিনি বলেন, গ্রামীণ টেলিকমের ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ডের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পেয়ে অনুসন্ধানে নামে দুদক। 

‘এরপর গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যানসহ বোর্ড সদস্যদের বিরুদ্ধে ‘অসৎ উদ্দেশ্যে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ করে পরস্পর যোগসাজসে’ ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের সত্যতা পাওয়া যায়।’ 

জানা গেছে, গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলামসহ গ্রামীণ টেলিকমের বোর্ডের সদস্যগণের উপস্থিতিতে গ্রামীণ টেলিকমের ২০২২ সালের ৯ মে অনুষ্ঠিত ১০৮তম বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ঢাকা ব্যাংক লি: গুলশান শাখায় ৮ মে ২০২২ সালে একটি হিসাব খোলা হয়, যার নম্বর ২১৫১৫০০০০২৫৬৮। গ্রামীণ টেলিকমের কর্মচারীদের পাওনা লভ্যাংশ বিতরণের জন্য গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন এবং গ্রামীণ টেলিকমের সঙ্গে সেটেলমেন্ট এগ্রিমেন্ট চুক্তি ২০২২ সালের ২৭ এপ্রিল স্বাক্ষরিত হয়। গ্রামীণ টেলিকমের বোর্ড সভার হিসাব খোলার সিদ্ধান্ত ৯ মে হলেও তার একদিন পূর্বেই ব্যাংক হিসাব খোলা হয় এবং সেটেলমেন্ট এগ্রিমেন্ট ২০২২ সালের ২৭ এপ্রিল হলেও এই এগ্রিমেন্টে ৮ মে খোলাকৃত ব্যাংক হিসাব দেখানো আছে, যা বাস্তবে অসম্ভব।

তথ্যাদি বিশ্লেষণে দেখা যায়, অ্যাডভোকেট ফি হিসেবে প্রকৃতপক্ষে হস্তান্তরিত হয়েছে মাত্র এককোটি টাকা। বাকি ২৫ কোটি ২২ লাখ ছয় হাজার ৭৮০ টাকা গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বোর্ড সদস্যদের সহায়তায় গ্রামীণ টেলিকমের সিবিএ নেতা এবং অ্যাডভোকেটসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অসৎ উদ্দেশ্যে আত্মসাৎ করেছেন। এক্ষেত্রে চুক্তির শর্তসমূহ ভেঙে জাল-জালিয়াতির আশ্রয়ে থেকে অবস্থান গোপন করা হয়েছে, যা দণ্ডবিধি এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

তাই প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২)(৩) ধারায় মঙ্গলবার (৩০ মে) একটি মামলা রুজু করা হয়।

দুদকের মামলায় আসামিদের তালিকায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও পরিচালকরা ছাড়াও উকিল এবং শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের নেতারা রয়েছেন। 

আসামিরা হলেন-গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল ইসলাম, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, পরিচালক নাজনীন সুলতানা, পরিচালক মো. শাহজাহান, পরিচালক নুরজাহান বেগম, পরিচালক এসএম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী 

আইনজীবী দুই আসামির মধ্যে রয়েছেন- অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ। 

শ্রমিক ইউনিয়নের তিন আসামির মধ্যে রয়েছেন- গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান এবং শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম।  

জাগরণ/আইনওআদালত/এসএসকে