• ঢাকা
  • বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ২২, ২০২৩, ০১:১৩ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২২, ২০২৩, ০৭:২৩ এএম

রাসিক নির্বাচন ২০২৩

তৃতীয়বার নগরপিতা হলেন লিটন

তৃতীয়বার নগরপিতা হলেন লিটন
ছবি ● সংগৃহীত

রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জিতে তৃতীয়বার মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। 

১৫৫টি কেন্দ্রের মধ্যে মধ্যে নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৫৯ হাজার ৯৭৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলনের মুরশিদ আলম ফারুকী হাতপাখা প্রতীকে পেয়েছেন ১৩ হাজার ৩৯৩ ভোট। অর্থাৎ খায়রুজ্জামান লিটন ১ লাখ ৪৬ হাজার ৪৮৬ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন। 

বর্তমান মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন এর আগে দুইবার অর্থাৎ ২০০৮ ও ২০১৮ সালে রাজশাহী সিটির মেয়ার নির্বাচিত হন। লিটনের বাবা এ এইচ এম কামারুজ্জামান ছিলেন জাতীয় চার নেতার একজন। 

বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপেোরেশনের নির্বাচনে সারা দিন ভোট শেষে সন্ধ্যা থেকে ফল ঘোষণা শুরু হয়। 

রাজশাহীতে মোট ভোট শেষে নগরীর শিল্পকলা একাডেমিতে স্থাপিত ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্র থেকে ফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন।

একের পর এক কেন্দ্রের আসা শুরু হলে প্রথম থেকেই লিটন বিপুল ভোটে এগিয়ে যেতে থাকেন। ভোট গণনা যত শেষের দিকে আসে প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে লিটনের ব্যবধান ততোই বাড়তে থাকে। 

নির্বাচন সার্বিকভাবে ভালো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, তারা সন্তুষ্ট বোধ করছেন।

রাজশাহীতে ৫২ থেকে ৫৫ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে বলে জানান সিইসি। 

রাজশাহীতে মেয়র পদে মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন চারজন। নগরীতে ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন। মেয়র ছাড়াও ৩০ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও ১০ জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর এই ভোটে নির্বাচিত হন।  

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ভোটাররা অবাধে, নির্বিঘ্নে এসে ভোট দিয়েছেন। কোথাও কোনও বাধা পেয়েছে বলে শুনিনি, তথ্য পাইনি।

খায়রুজ্জামান লিটন ১৯৫৯ সালের ১৪ আগস্ট রাজশাহী জেলার কাদিরগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে ১৯৭৬ সালে রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। 

এরপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হন এবং ১৯৭৯ সালে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। ১৯৮৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক করার পর আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৮৫ সালে তিনি বার কাউন্সিলের সদস্য হন।

খায়রুজ্জামান লিটন ১৯৮৪ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগদানের মাধ্যমে রাজনীতি শুরু করেন । ১৯৯৬ সালে সপ্তম এবং ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-২ (পবা-বোয়ালিয়া) আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন। তবে দুইবারই তিনি পরাজিত হন।

২০০৮ সালে তিনি রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন এবং ২০১৩ সালের ৯ মে পর্যন্ত মেয়র ছিলেন। ২০১৩ সালে রাজশাহীর সিটি মেয়র নির্বাচনে পরাজিত হলেও ২০১৮ সালের ভোটে পুনরায় জয় লাভ করেন।

খায়রুজ্জামান লিটন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন দীর্ঘদিন। ২০২১ সালের ১৯ নভেম্বর তিনি আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী কমিটি প্রেসিডিয়াম এর সদস্য হন।

জাগরণ/রাসিকনির্বাচন২০২৩/এসএসকে