• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৪, ২০২৩, ১০:৫২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ৪, ২০২৩, ১০:৫২ পিএম

ঋণখেলাপি

নির্বাচনে অযোগ্য ১১৮ প্রার্থী

নির্বাচনে অযোগ্য ১১৮ প্রার্থী

ঋণখেলাপির দায়ে ১১৮ জনের প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে। সব মিলিয়ে এবার ২ হাজার ৭১৬ জন মনোনয়নপ্রাত্যাশীর মধ্যে ৭৩১ জনের প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে বলে জানা গেছে।

ঋণখেলাপির দায়ে মনোনয়নপত্র বাতিলের তালিকায় হেভিওয়েটদের মধ্যে আরও আছেন– নোয়াখালী-৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মামুনুর রশীদ কিরন এমপি, লক্ষ্মীপুর-৪ আসনের বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান এমপি, মুন্সীগঞ্জ-১ আসনের বিকল্পধারার যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি. চৌধুরী এমপি, পাবনা-২ আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) প্রার্থী সংগীতশিল্পী ডলি সায়ন্তনীসহ অনেকে।

ঋণখেলাপির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও অর্থঋণ আদালতে মামলা থাকার পরও মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে ময়মনসিংহ-৯ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুস সালামের। তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ডাইনামিক টেক্সটাইল রাষ্ট্রীয় মালিকানার জনতা ব্যাংকের জনতা ভবন করপোরেট শাখার ২৮ কোটি ১০ লাখ টাকার খেলাপি।

এ তথ্য জানিয়ে গত ২ ডিসেম্বর রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর চিঠি দেয় আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি। ৩ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় এক ঘণ্টার জন্য আবদুস সালামের মনোনয়ন স্থগিত রেখে আবার বৈধ ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার আগে নেয়া ঋণ বা ঋণের কিস্তি খেলাপি হলে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে অযোগ্য হবেন। কোনx ব্যক্তি যদি এমন কোনো কোম্পানির পরিচালক বা ফার্মের অংশীদার হন, যা তাঁর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগে কোনো ব্যাংকের খেলাপি, তিনিও নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না।

আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীদের কেউ ঋণখেলাপি কিনা তা জানানোর নির্দেশনা দিয়ে গত ২৮ নভেম্বর একটি পরিপত্র জারি করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দিয়ে ৩০ নভেম্বর একটি সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

তফশিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমার শেষ সময় ছিল ৩০ নভেম্বর। শুক্রবার শুরু হয়ে সোমবার যাচাই-বাছাই শেষ হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে বাতিল ও বৈধ ঘোষিত মনোনয়নপত্রের বিরুদ্ধে আপিলের সুযোগ রাখা হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে আগামী ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল নেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

এর পর ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে আপিলের শুনানি ও নিষ্পত্তি করে ইসির পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত জানান হবে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর। এর তিন সপ্তাহ পর ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে ভোট।

সারাদেশে ৩০০ আসনের বিপরীতে এবারে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, স্বতন্ত্রসহ মোট ২ হাজার ৭১৬ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। এর মধ্যে নিবন্ধিত ২৯ রাজনৈতিক দলের প্রার্থী ১ হাজার ৯৬৬ জন।

জাগরণ/দ্বাদশসংসদনির্বাচন/মনোনয়ন/এসএসকে/কেএপি/এমএ