• ঢাকা
  • বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৮, ২০২৩, ১২:১১ এএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ৮, ২০২৩, ১২:১১ এএম

উড়োজাহাজ বেচতে পিটার হাসের বৈঠক

উড়োজাহাজ বেচতে পিটার হাসের বৈঠক
মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস ● ফাইল ফটো

ভোটের ডামাডোলের মধ্যে বোয়িংয়ের উড়োজাহাজ বিক্রির প্রস্তাব নিয়ে বৈঠক করেছেন ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস।

রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মঙ্গলবার বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়, এবং সেখানেই পিটার হাস উড়োজাহাজ বিক্রির প্রস্তাব দেন বলে একাধিক সংবাদমাধ্যম খবর প্রকাশ করেছে।

তবে এই খবর প্রকাশের দিনই বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যারা বাংলাদেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেবে, তাদের কাছ থেকে কোনো ধরনের পণ্য কেনা হবে না।

বোয়িংয়ের উড়োজাহাজ বিক্রির প্রস্তাবের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিমানের তরফ থেকে কিছু জানানো হয়নি।

তবে পিটার হাসের প্রস্তাব বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে জানানোর পর পর বিমানের পর্ষদ সভায় উত্থাপন করা হতে পারে বলে ওই খবরে বলা হয়েছে।

বৈঠকের বিষয়ে একটি পত্রিকাকে বিমানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শফিউল আজিম বলেন, ‘বোয়িংয়ের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।’

’বোয়িংয়ের উড়োজাহাজ কেনার প্রস্তাবটি ঢাকা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে ‘ ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র স্টিফেন ইবোলিকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে আরেকটি সংবাদমাধ্যম।

গত সেপ্টেম্বরে ঢাকা সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।

সম্প্রতি বিমানের জন্য নতুন প্রজন্মের এক ঝাঁক উড়োজাহাজ কেনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তবে তা যুক্তরাষ্ট্রের বোয়িং না ফ্রান্সের এয়ারবাস থেকে কেনা হবে এ নিয়ে রাজনৈতিক মহল থেকে সাধারণ জনগণের মধ্যেও চলছে সরগরম আলোচনা।

এক দশক ধরে বিমানের বহরে প্রায় একচ্ছত্র আধিপত্য রয়েছে বোয়িংয়ের। কিন্তু এশিয়ান টাইগার হিসেবে উদীয়মান অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশে বোয়িং বাজার হারাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর এই বাজার দখলে নিতে যাচ্ছে বোয়িংয়ের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বি ফ্রান্সের এয়ারবাস।

গত সেপ্টেম্বরে ঢাকা সফরে আসেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। সফর শেষে বাংলাদেশ ছাড়ার আগে তিনি জানান, এয়ারবাস থেকে ১০টি উড়োজাহাজ কেনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাংলাদেশ।  

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের এই ঘোষণার পর আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং থেকে প্রথমবারের মতো সরে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

২০০৭ সালে সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০৮ সালে বিমানের জন্য বোয়িং থেকে দশটি উড়োজাহাজ কেনার চুক্তি হয়। তখনকার সময়ে চুক্তি মূল্য ছিল আড়াই বিলিয়ন মার্কিন ডলার।  

বিমানের বহরে বর্তমানে ২১টি উড়োজাহাজ রয়েছে, যার মধ্যে সুপরিসর দেহের ১৬টিই বোয়িংয়ের তৈরি। এরমধ্যে মধ্যে রয়েছে- বোয়িংয়ের সর্বাধুনিক মডেলের ছয়টি ৭৮৭-৮০০ ড্রিমলাইনার মডেলের উড়োজাহাজ এবং চারটি ৭৭৭-৩০০ মডেলের। বোয়িংয়ের আরও রয়েছে ৭৩৭-৮০০ মডেলের ছয়টি উড়োজাহাজ।

বিমানের বাকি পাঁচটি ছোট উড়োজাহাজ হলো, কানাডার তৈরি ড্যাশ-৮ মডেলের।

বাংলাদেশ ফ্রান্স থেকে যে ১০টি এয়ারবাস এ-৩৫০ উড়োজাহাজ কেনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, সেই উড়োজাহাজগুলোর সববই সুপরিসর দেহের সর্বাধুনিক মডেলের।

আর বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইন মডেলের সর্বশেষ যে ভার্সনগুলো বের করেছে বাংলাদেশের সেগুলো বিক্রি করতে চাচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ড্রিমলাইনারের ৭৮৭-৯ ও ৭৮৭-১০ উড়োজাহাজ বিক্রির প্রস্তাব দেয়া হয়েছে বলে খবরে বলা হয়েছে। 

জাগরণ/জাতীয়/কেএপি