• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ৩১, ২০২৪, ১২:২২ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ৩১, ২০২৪, ১২:২২ এএম

কোটা সংস্কার আন্দোলন

সরকার গঠিত তদন্ত কমিশনের পরিধি ও সদস্যসংখ্যা বাড়ছে

সরকার গঠিত তদন্ত কমিশনের পরিধি ও সদস্যসংখ্যা বাড়ছে
ছবি ● ফাইল ফটো

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সারা দেশে সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং নিহতের বিষয়টি তদন্তে হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিশনের পরিধি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। একই সঙ্গে এই কমিশনের সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে তিনজন করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বিকেলে সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের এ বিষয়টি জানান।

আইনমন্ত্রী বলেন, তদন্ত কমিশনের কার্যপরিধি বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন হবে। ২১ জুলাই পর্যন্ত যেসব ঘটনা হয়েছে, সেটা তদন্ত করতে পারবে তারা (কমিশন)। আর যেহেতু কমিশনের পরিধি, অনুসন্ধান ও তদন্তের ক্ষেত্র বেড়ে গেছে, তাই তিন সদস্যের তদন্ত কমিশন করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। সেই সিদ্ধান্তও খুব শিগগির হবে বলে জানান তিনি।

আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে। তখন সেখানে সরকারের আরও ছয়জন মন্ত্রী–প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে সভা হয়। এই সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। সভায় অংশ নেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী; ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক; তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী।

সভায় পররাষ্ট্রসচিব, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব ও সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিবসহ কয়েকজন সচিব অংশ নেন। এ ছাড়া পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানেরাও সভায় উপস্থিত ছিলেন।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং নিহত হওয়ার ঘটনাগুলো তদন্তে ১৮ জুলাই এক সদস্যের তদন্ত কমিশন গঠন করেছিল সরকার। হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানকে এই কমিশনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তখন এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, কমিশন ১৬ জুলাই ছয়জনের মৃত্যুর কারণ উদ্‌ঘাটন ও মৃত্যুর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করবে। এ ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে সংঘটিত সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করবে কমিশন।

ওই প্রজ্ঞাপনে বিচার বিভাগীয় কমিশনকে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সরকারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছিল। ইতিমধ্যে কমিশন কাজ শুরু করেছে; কিন্তু ১৬ জুলাইয়ের পরও সংঘাত-সহিংসতার ঘটনায় অনেক প্রাণহানি ঘটে। সরকারি হিসাবেই এখন পর্যন্ত ১৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হিসাব অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ২৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২৭ জুলাই রাতে সাংবাদিকদের কাছে নিহত ব্যক্তিদের একটি তালিকা পাঠান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবদুল হান্নান। তবে সে তালিকায় ৬৬ জনের পরিচয় উল্লেখ করা হয়নি। প্রথম আলোর তথ্য অনুযায়ী, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ ও পরবর্তী সংঘাতে ২৯ জুলাই পর্যন্ত ২১১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

জাগরণ/শিক্ষা/এসএসকে