• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৯, ০১:০৩ পিএম

ভবন নির্মাণে পূর্ত মন্ত্রণালয়ের যুগান্তকারী পদক্ষেপ

ভবন নির্মাণে পূর্ত মন্ত্রণালয়ের যুগান্তকারী পদক্ষেপ
রাজউক ও চউক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে পূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম -ছবি: জাগরণ

 

ভবন নির্মাণ এবং দেশের সাধারণ মানুষের সেবা সহজীকরণে ২০ বছর পর যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। ভবন নির্মাণে নকশা অনুমোদনের ক্ষেত্রে ৯৭ দিন কমিয়ে আনা হয়েছে। ১৬ স্থানের পরিবর্তে ৪ স্থান থেকে নিতে হবে ছাড়পত্র। আর শ্রমিকদের মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করতে ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের বীমা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

আজ বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। এর আগে মন্ত্রী রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এবং চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন। 

গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, প্রায় ২০ বছর আগের আইনে পরিচালিত হচ্ছে রাজউক ও চউক-এর সেবা। আজ এসব বিষয়ে আলোচনা করে সেবা আরো সহজীকরণে যুগান্তকারী কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি, যা এখন থেকেই কার্যকর হবে। তবে শতভাগ কার্যকর হতে আগামী মে মাস পর্যন্ত সময় নিয়েছি।

পূর্তমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের ইমরাত বা ভবন নির্মাণে যে ভোগান্তি হতো, তা কমিয়ে আনার বিষয়টি আজকের বৈঠকে গুরুত্ব পেয়েছে। ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে নকশা অনুমোদনে সময় নির্ধারিত ছিল ১৫০ দিন। আমরা সময় বাঁচাতে নকশা অনুমোদনে ৫৩ দিন সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে সময় বাঁচবে ৯৭ দিন। 

শ ম রেজাউল করিম বলেন, আগে ভবন নির্মাণের ছাড়পত্র পেতে ১৬ স্থানে জমির মালিককে দৌড়াতে হতো। এখন তা কমিয়ে ৪ স্থান করা হয়েছে। অর্থাৎ ৪ স্থান থেকে নিতে হবে ছাড়পত্র। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগের ১৬ স্থানের মধ্যে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিআইডব্লিউটিএ এমনকী পরিবহন কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র নেয়ার বিধান ছিলো। 

পূর্তমন্ত্রী প্রশ্ন করে বলেন, রাজধানীর মধ্যে আমি বাড়ি বানাবো, কেন আমাকে বিআইডব্লিউটিএর ছাড়পত্র নিতে হবে। কেন পরিবহন কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র নিতে হবে, কেন পুলিশ বাহিনীর ছাড়পত্র নিতে হবে? আমরা এসব সহজ করতে ৪ স্থান অর্থাৎ ভূমি অফিসের মালিকানা, বেসামরিক বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষের (যদি বিমান চলাচলের পথে হয়), কেপিআই এলাকায় হলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের এবং সর্বশেষ রাজউকের ছাড়পত্র নিতে হবে।

তিনি আরো বলেন, ভবন নির্মাণে অনেক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। তারা ক্ষতিপূরণ পান না। সেই বিষয়টি আলোচনায় এনে আজ শ্রমিকদের মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করতে ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের বীমা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

টিএফ/এমএম/এফসি