• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৯, ০৫:৫৪ পিএম

সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে শাজাহান খানকে প্রধান করে কমিটি

সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে শাজাহান খানকে প্রধান করে কমিটি

সড়কের শৃঙ্খলা আনতে স্বরাষ্টমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল ও সাবেক নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানকে নিয়ে দুটি কমিটি করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে বনানীর সড়ক পরিবহন ভবনে সড়কের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে নিরাপত্তা কাউন্সিলের এক বৈঠক থেকে দুটি কমিটি করা হয়।

বৈঠক শেষে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সংবাদ সম্মেলন করে জানান, “সড়কের দূর্ঘটনা ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সাবেক নৌ-মন্ত্রী শাজাহান খানকে প্রধান করে ১৫ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে।”

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি ও বিরুধী দলীয় চিফহুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গা, কলামিষ্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, নিরাপদ সড়ক চাই এর চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন, সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত, সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী, ব্র্যাক এর প্রতিনিধি, ট্রাক কাভার্ড ভ্যান থেকে দুজন প্রতিনিধি, বিআরটিএ, ডিআইজি হাইওয়ে, ডিআইজি অপারেশন, এ আর আই বুয়েট, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ডিএমপি, সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে একজন করে।

কাদের জানান, “এই ১৫ সদস্যের কমিটি সড়ক পরিবহনের শৃঙ্খলা, দূর্ঘটনা নিয়ন্ত্রনে আনতে ১৪ কর্ম দিবসের মধ্যে রিপোর্ট দেবেন।”

সড়ক পরিবহন আইন সংসদে পাশ হওয়ার পর শ্রমিক মালিকদের দাবি দাওয়ার উপর ভিক্তি করে বাস্তব সম্মত উপায় খুজতে স্বরাষ্টমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও রেলপথ মন্ত্রী মোঃ নূরুল ইসলাম সুজনকে নিয়ে বৈঠক থেকে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছে বলে জানন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, “সড়ক পরিবহন আইন সংসদে পাশ হয়েছে এবং নির্বাচনে আগে স্টেইক হোল্ডারদের পক্ষ থেকে কিছু কমেন্ট এন্ড অভজারবেশন ছিলো, কিছু সংশোধনের দাবি দাওয়া ছিল। আইন প্রনয়নের পর আইনটা বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ায় কোন বিধি বিধান করে, বাস্তবতার সঙ্গে যতটা সংঘতি রাখা যায় সেই বিষয়টা খতিয়ে দেখার জন্য আইন সংশ্লিষ্ট তিনজন মন্ত্রীকে আমরা দায়িত্ব দিয়েছি।”

“তারা আইনটা প্রয়োগ করতে বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করবেন। যেহেতু আইনের বিধি এখনও প্রণয়ন হয় নি, তাই স্টেইক হোল্ডারদের দাবির দিক বিবেচনা করে কিছু একটা করা যায় কিনা, সেটা পর্যালোচনা করে দেখবেন।”

যুক্তরাষ্ট ভিক্তিক সংস্থা ওয়াল্ড ট্রাফিক ইন্ডেক্স জরিপের রিপোর্টে বিশ্বের ২০৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ জানজটে শীর্ষে অবস্থান করছে বিষয়টাকে কিভাবে দেখছেন জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী বলেন, “কত রিপোর্ট বের হচ্ছে, টি আইবিরও একটি রিপোর্ট বের হয়েছে। সেখানে বাংলাদেশকে যেভাবে চিত্রিত করা হয়েছে, এটা বাস্তব চিত্র নয়।”

“বাংলাদেশ এর আজকের উন্নয়ন এবং উচ্চতাকে খাটো করার জন্য, ছোট করার জন্য এবং বাংলাদেশের জন্য যারা ঈর্ষান্বিত তাদের একটি সিন্ডিক্যাট এখানে কাজ করছে।”

ওবায়দুল কাদের বলেন, “পরিবহনে শৃঙ্খলায় আমরা অন্যদের থেকে পিছিয়ে থাকবো এমন নয়, কিছুটা সমস্যা পরিবহনে আছে। আমার বিশ্বাস পরিবহনের সংকট সকলের সহযোগিতায় আমরা কাটিয়ে উঠবো।”

স্বরাষ্টমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান, নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ডিএমপি পুলিশ কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া, সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি ও বিরুধী দলীয় চিফহুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গা, কলামিষ্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, নিরাপদ সড়ক চাই এর চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন, সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত, সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী, ব্র্যাক, ট্রাক কাভার্ড ভ্যান, বিআরটিএ, ডিআইজি হাই ওয়ে, ডিআইজি অপারেশন, এ আর আই বুয়েট, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ডিএমপি, সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এএইচএস/এসজেড