• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৯, ০৮:৩০ এএম

সরঞ্জাম ও সচেতনতার অভাব

৫০ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতি ২৫০ কোটি টাকা

৫০ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতি ২৫০ কোটি টাকা
- ফাইল ছবি

 

রাজধানীসহ সারাদেশে প্রতিদিন গড়ে ছোট বড় মিলে প্রায় ৫০টির মতো অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি হতাহতের ঘটনাও ঘটছে। বছরে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২৫০ কোটি টাকা। এজন্য ফায়ার ফাইটিং সরঞ্জাম, প্রশিক্ষণের পাশাপাশি সচেতনতার অভাবকেই দায়ী করছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।
 
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে সারাদেশে মোট ১৬ হাজার ৮শ ৫৮টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় ২৪৩ কোটি ৪৩ লাখ ৪০ হাজার ৮শ ২২ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়। এ সময় প্রায় ১২শ কোটি টাকা মূল্যের মালামাল উদ্ধার করা হয়। এসব অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৫৫ জনের প্রাণহানি ও প্রায় ৩০০ জন দগ্ধ হন। এর মাঝে বৈদ্যুতিক গোলযোগে প্রায় ১৭০ কোটি, চুলার আগুনে ২৫ কোটি ও জলন্ত সিগারেটের অবশিষ্টাংশ থেকে সৃষ্ট অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সাড়ে ১৭ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, ৩টি কারণে শতকরা প্রায় ৮০ ভাগ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বৈদ্যুতিক গোলযোগ, চুলার আগুন ও জলন্ত সিগারেটের অবশিষ্টাংশ থেকে অধিকাংশ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাতের প্রমাণ পায় ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।

সূত্র আরও জানায়, মোট ১৬ হাজার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার মধ্যে বৈদ্যুতিক গোলযোগে সর্বোচ্চ শতকরা ৩৯ ভাগ (৬ হাজার ৫শ১৬টি), সিগারেটের টুকরায় শতকরা ২০ ভাগ (৩ হাজার ৪শ ৪৭টি) ও জলন্ত সিগারেটের অবশিষ্টাংশ থেকে শতকরা ১৪ ভাগ (২ হাজার ৩শ ৫৭টি) অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

সর্বশেষ চট্টগ্রাম নগরের চাক্তাই এলাকার ভেড়া মার্কেট বস্তিতে গত শনিবার  দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে আগুন লাগে। এতে প্রায় ২০০ ঘর পুড়ে যায়। আগুনে পুড়ে মারা রহিমা আক্তার (৫০), তার মেয়ে নাজমা (১৪), ছেলে মো. জাকির (৯), মেয়ে নাসরিন (৪), আয়েশা আক্তার (৩৭), তার বোনের ছেলে মো. সোহাগ (১৮), হাসিনা আক্তার ও অজ্ঞাত আরও ২জন। ধারণা করা হচ্ছে অজ্ঞাত একজনের লাশ আয়েশা আক্তারের মেয়ের।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মহাপরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আলী আহাম্মেদ খান বলেন, যেসব কারণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে সেগুলো সম্পর্কে দেশের মানুষের জনসচেতনতা কম থাকার কারণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তিনি জানান, অজ্ঞতার কারণে মানুষ সহজেই দাহ্য এমন ঝুঁকিপূর্ণ দ্রব্যাদি বাসাবাড়িতে অহরহ সংরক্ষণ করে। অবৈধ বিদ্যুত সংযোগ ও গ্যাসের লাইন ব্যবহার করে। যেখানে সেখানে সিগারেট খেয়ে ছুড়ে মারে। এছাড়া অধিকাংশ ছোট বড় ভবনের ফায়ার ফাইটিং সরঞ্জাম নেই। নেই অগ্নি প্রতিরোধের প্রশিক্ষণ। 

তিনি বলেন, যেকোনো অগ্নিকাণ্ডের পর মানুষের টনক নড়ে। একটু সচেতন হলে অধিকাংশ অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব বলে তিনি মন্তব্য করেন।

এইচ এম/এএস