• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৯, ০৭:২৪ পিএম

সাংবাদিকদের আদালত কক্ষে চান প্রধান বিচারপতি

সাংবাদিকদের আদালত কক্ষে চান প্রধান বিচারপতি
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন

 

বিচার বিভাগের স্বচ্ছতার জন্য সাংবাদিকদের আদালত কক্ষে (কোর্টরুম) চান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। সেজন্যে আদালত কক্ষে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। 

বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সাংবাদিকদের শীর্ষ সংগঠন ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের (এলআরএফ) কার্যালয় উদ্বোধনের পর তিনি একথা বলেন। 

সংগঠনের সদস্যদের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বলেন, আজকে আপনাদের একটা বসার জন্য স্থান সংকুলান হয়েছে। এটা দেখে আমি খুবই আনন্দিত। আমি বলেছিলাম আপনাদের এটাকে সুসজ্জিত করে দেবো। আমরা চেষ্টা করেছি। কতটুকু করেছি সেটা আমি জানি না।

তুরস্কের একটি সেমিনারের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে আদালত অঙ্গনে সাংবাদিকতার বিষয়ে কথা বলেন  প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘এখন সাংবাদিকতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি তুরস্কের আঙ্কারা শহরে গিয়েছিলাম একটা সেমিনারে অংশ নিতে। সেখানে একটা টপিক ছিল যে, বিচার বিভাগের স্বচ্ছতা, ট্রান্সপারেন্সির জন্য সাংবাদিকদের কোর্টরুমে অ্যালাউ করতে হবে। সুতরাং এটা এখন ইন্টারন্যাশনালি ইস্টাবলিশড, যারা সাংবাদিক তাদের কোর্ট অঙ্গনে এবং কোর্টরুমে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। বিচার বিভাগের স্বচ্ছতা এবং ট্রান্সপারেন্সির জন্য।

প্রধান বিচারপতি বলেন, আজকে এ রুম উদ্বোধন হয়েছে। আপনাদের অনেক সুবিধা হবে আশা করি, কাজকর্ম সম্পাদনে সুযোগ সুবিধা এখান থেকে পাবেন।

এর আগে ফিতা কেটে সুসজ্জিত কার্যালয় উদ্বোধন করেন প্রধান বিচারপতি। এরপর এলআরএফ এর বার্ষিক প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন করেন তিনি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. জাকির হোসেন, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মমতাজ উদ্দিন ফকির, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন, আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার বদরুল আলম ভূঁঞা, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মো. গোলাম রব্বানী, স্পেশাল অফিসার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান, এলআরএফ  সভাপতি সাইদ আহমেদ খান, সাধারণ সম্পাদক হাসান জাবেদ, এলআরএফ  এর সাবেক সভাপতি ফারুক কাজী, স্বপন দাশ গুপ্ত, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুল হান্নান, সাবেক সভাপতি এম বদি-উজ-জামান ও আশুতোষ সরকার।

মা আ/বিএস