গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীতে পৃথক অভিযান চালিয়ে বিডিআরের সাবেক সদস্য ও তার স্ত্রীসহ আন্তজেলা ৬ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত দম্পতি হচ্ছেন মেহেদী হাসান ও তার স্ত্রী লক্ষ্মী বেগম।

মেহেদী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানার মৃত খালেকুজ্জামানের ছেলে ও তার স্ত্রী একই জেলার আখাউড়া থানার দুলাল মিয়ার মেয়ে। লক্ষ্মী বেগম খালেকুজ্জামানের দ্বিতীয় স্ত্রী বলে জানা গেছে।

টঙ্গী পূর্ব থানার এসআই শুভ মণ্ডল জানান, টঙ্গীর দত্তপাড়া এলাকার শাহাদাত হোসেনের বাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে স্বামী-স্ত্রী বসবাস করে আসছেন। শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে ওই বাসায় মাদক ক্রয়-বিক্রয় করা হচ্ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে টঙ্গী পূর্ব থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযান চালিয়ে আন্তজেলা মাদক ব্যবসায়ী মেহেদী হাসান ও তার স্ত্রী লক্ষ্মী বেগমকে গ্রেফতার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) তাদের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা হয়েছে।

এসআই আরো জানান, বিডিআরের সিপাহি পদে কর্মরত থাকা অবস্থায় মেহেদী হাসান ২০১২ সালে মাদকসহ গ্রেফতার হয়ে কারাগারে ছিলেন। মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকায় তিনি চাকরিচ্যুত হন। এর পর থেকে তিনি আন্তজেলা মাদক ব্যবসার সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন এবং চোরাই পথে ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য আমদানি করে টঙ্গীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাইকারি মূল্যে বিক্রি করেন। তিনি এখন মাদকের ‘পাইকার হাসান’ হিসেবে পরিচিত।

এদিকে শনিবার ভোরে অপর এক অভিযানে তিন নারীসহ আন্তঃজেলা ৪ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৬০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ২৫০ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন নরসিংদীর রায়পুরা থানা এলাকার নুর ইসলামের স্ত্রী রাজিয়া, একই থানা এলাকার মৃত তারা মিয়ার মেয়ে রোজিনা, টঙ্গীর ব্যাংকের মাঠ এলাকার ইতি ও মানিকগঞ্জের হরিরামপুর থানার আজিম।

এ ব্যাপারে টঙ্গী পূর্ব থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল হোসেন জানান, গ্রেফতারকৃতরা আন্তজেলা মাদক চোরাচালানকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ চোরাই পথে ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য আমদানি করে সেগুলো গাজীপুরসহ বিভিন্ন স্থানে ক্রয়-বিক্রয় করে আসছিল।

এনআই