• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ৪, ২০১৯, ০৮:৪৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ৪, ২০১৯, ০৮:৪৭ পিএম

বিশ্ব শিক্ষক দিবস

বিশ্বায়ন এবং বাংলাদেশের শিক্ষক সমাজ   

বিশ্বায়ন এবং বাংলাদেশের শিক্ষক সমাজ   
আকমল হোসেন

শনিবার (৫ অক্টোবর) বিশ্ব শিক্ষক দিবস। প্রতি বছরের মতো এবারও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ন্যায় দিবসটি বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে। জাতিসংঘের অঙ্গসংগঠন ইউনেস্কো এ বছরের বিশ্ব শিক্ষক দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে - দি ইয়াং টিচারস : ফিচার অব প্রফেশনস। মানুষ জ্ঞানের আধার। এ মানুষের সুখ, সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য পৃথিবীব্যাপী চলছে নানামুখী কর্মযজ্ঞ। চর্চা হচ্ছে ধর্মকর্ম, বিজ্ঞান, মানবতা, আইন আর সামাজিকতার। মানুষের জন্য ইতিবাচক হয় এমন চিন্তাভাবনা থেকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে পালিত হচ্ছে বিভিন্ন দিবস। অসংখ্য দিবসের ভিড়ে বছরের ৩৬৫টি দিবস যেন তার নিজস্ব স্বকীয়তা হারিয়েছে। ৫ অক্টোবর এমনই একটি দিবস, যেটি পালিত হচ্ছে বিশ্ব শিক্ষক দিবস হিসেবে। ১৯৯৪ সালে ইউনেস্কোর ২৬তম সাধারণ অধিবেশনে ৫ অক্টোবরকে বিশ্ব শিক্ষক হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। দ্বিতীয় জন্মদাতা অথবা জাতি গড়ার কারিগর বলে বিবেচিত শিক্ষক সমাজের মান-সম্মান ইজ্জত ও আর্থিক সুবিধা নিশ্চিত করার চিন্তাভাবনা থেকে দিবসটি পালনের উদ্যোগ। 

শিক্ষার অধিকার মানবিক এবং মৌলিক অধিকার বিবেচনায় এবং জাতিসংঘের ঘোষণা বাস্তবায়নে ১৯৬৬ সালের ফ্রান্সের প্যারিসে আন্তঃসরকার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভার সুপারিশ থেকে বিশ্বের সকল শিক্ষকের মর্যাদা রক্ষা সকল রাষ্ট্রের উপযোগী শিক্ষাব্যবস্থা, মানবসম্পদের পরিপূর্ণ বিকাশে সহায়ক কর্মসূচিতে স্বাক্ষর করেন জাতিসংঘের শিক্ষা বিজ্ঞান সাংস্কৃতিক সংস্থার (ইউনেস্কো) মহাপরিচালক ও সম্মেলনের সভাপতি। সম্মেলনে যোগদানকারী সরকারপ্রধান বা প্রতিনিধিরা তাতে সম্মতি জানিয়ে স্বাক্ষর করেন এবং তাদের দেশে সেটা বাস্তবায়নের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। সম্মেলনে গৃহীত সুপারিশের মধ্যে প্রধান বিষয়গুলি ছিল শিক্ষকদের মর্যাদা ও সম্মান নিশ্চিতকরণ, মাধ্যমিক স্তরে সরকারি-বেসরকারি সবার জন্য স্তর নির্বিশেষে শ্রেণি বৈষম্যহীন একই শিক্ষা নীতিমালা, শিক্ষার উদ্দেশ্য, শিক্ষার গুণগতমান উন্নয়ন, পদোন্নতি, পেশাগত আচরণ লঙ্ঘনের শাস্তি, নারী শিক্ষকদের জন্য কর্মোপযোগী পরিবেশ, শিক্ষকদের অধিকার ও নিরাপত্তা এবং পেশাগত স্বাধীনতা নিশ্চিত করার বিধান ওই সম্মেলনে গৃহীত হয়েছিল। 

এ কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়নে যথেষ্ট টাকার প্রয়োজন, সেটা বিবেচনা করে ওই সংস্থাটি প্রত্যেক দেশকে তার দেশের জিডিপির ৭% বা পরবর্তীতে ৮% শিক্ষা খাতে ব্যয় করার তাগিত দিয়েছিল এবং সদস্য দেশগুলি তাতে একমত হয়েছিল। বিষয়গুলি বিবেচনায় রেখেই স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭২ সালের সংবিধানে ১৫ ধারায় মৌলিক অধিকার হিসেবে শিক্ষার স্বীকৃতি এবং ১৭ ধারায় একই ধারার অসাম্প্রদায়িক সর্বজনীন এবং বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা বাস্তবায়নের রাষ্ট্রীয় কমিটমেন্ট ঘোষিত হয়েছিল। বাংলাদেশের বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ড. কুদরতই খুদার নেতৃত্বে শিক্ষা কমিশন গঠিত হয়েছিল। একদিকে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ, ভঙ্গুর অর্থনীতি; অন্যদিকে সাংবিধানিক কমিটমেন্ট এবং ইউনেস্কোকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি, সব মিলে খুদা কমিশন ওই সময়ের জন্য শিক্ষা খাতে জিডিপির ৫ শতাংশ, পর্যায়ক্রমে বাড়িয়ে ৭ শতাংশ করার সুপারিশ করা হয়েছিল। 

................।▪।................

‘বিশ্বায়নের যুগে আমরা কেউই এটা থেকে দূরে নয়, সরকার তো নয়ই। এর ভাল-মন্দ দুটিই আছে; কিন্তু বাংলাদেশের শিক্ষক সমাজ অসম বিশ্বায়নের দ্বারা নিষ্পেষিত। আর্ন্তজাতিক বাজারে বিভিন্ন পণ্য ও সেবার দাম বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশের বাজারেও সেটা বাড়ছে এবং সরকারও সেটা বাড়িয়ে থাকে, পুঁজিবাদী/ খোলাবাজার অর্থনীতির এটাই নাকি বৈশিষ্ট্য’

................।▪।................

সর্বশেষ ২০০৬ সালে সেনেগালের রাজধানী ডাকারে ইউনেস্কোভুক্ত তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলির শিক্ষামন্ত্রীদের বৈঠকে তাদের আর্থিক সীমাবদ্ধতা বিবেচনা করে আপাতত জিডিপির ৬ শতাংশ ব্যয় করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছিল, কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য- বাংলাদেশের জন্য তার অর্ধেকও শিক্ষা খাতে বরাদ্দ করা হয়নি। টাকার অবমূল্যায়ন এবং মুদ্রাস্ফীতির কারণে শিক্ষা খাতে বরাদ্দকৃত টাকার অংক বাড়লেও শতাংশ হারে কমেছে। ১৯৯৫ সালে শিক্ষা খাতে জিডিপির ২.৪ শতাংশ, ২০০/০১ সালে ২.৩ শতাংশ, ২০০১/০২ সালে ২.২১ শতাংশ, ২০০৯/১০ সালে ২.২ শতাংশ। শিক্ষা খাতে জিডিপির ৮ শতাংশ ৬ শতাংশ ও ৫ শতাংশ বরাদ্দে বিভিন্ন সরকারের রাষ্ট্রীয় প্রতিশ্রুতি থাকলেও সেখানে বরাদ্দ ২.৪ শতাংশের উপরে ৪৭ বছরে কখনও ওঠেনি। ফলে উপেক্ষিত হয়েছে আমাদের শিক্ষা এবং বঞ্চিত হচ্ছে গোটা শিক্ষক সমাজ। এর মধ্যে বেশী বঞ্চনার স্বীকার বেসরকারি স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারীরা। শিক্ষা খাতে যেটুকুই বরাদ্দ হয়েছে, সেটাও পুরোপুরি ব্যয় করা হয়নি। বাজেট ব্যয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এগিয়ে থাকলেও ২০০১/০২ থেকে ২০১০/১১ পর্যন্ত ৫-১১ শতাংশ টাকা অব্যবহৃত ছিল। দুর্নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় ঘটলেও শিক্ষার মতো মৌলিক এবং সাংবিধানিক অধিকার বাস্তবায়নে ৪৮ বছরের শাসক মহল রাষ্ট্রীয় কমিটমেন্ট রক্ষা করেনি। এমপি, মন্ত্রী আর আমলার আর্থিক সুযোগ-সুবিধা বাড়লেও সুবিধা বাড়েনি ১০ লক্ষাধিক বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীর। 

আর্থ-সামাজিক বাস্তবতা ও সক্ষমতায় বাংলাদেশের কাছাকাছি এমনকি দুর্বল অবস্থার অনেক দেশও শিক্ষা খাতে বাংলাদেশের তুলনায় অনেক বেশি ব্যয় করছে। নিম্নলিখিত দেশগুলো তাদের জিডিপির নিম্নলিখিত তালিকা অনুযায়ী শিক্ষা খাতে ব্যয় করছে। ভুটান ৪.৮, মালদ্বীপ ১১.২০, ভারত ৩.১ শতাংশ হারে ব্যয় করছে, সেখানে বাংলাদেশের অবস্থান ২.০৯ (২০১৮) বাংলাদেশের শিক্ষা ও শিক্ষকদের অবস্থান বিশ্বায়নের বিবেচনায় খুবই দুঃখজনক। দেশের ৮০ ভাগ শিক্ষা এখনও পরিচালিত হচ্ছে বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার মাধ্যমে। বাকি ২০ ভাগ সরকারি এবং প্রাইভেট শিক্ষার মাধ্যমে। সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষক-কর্মচারী বেসরকারিদের তুলনায় ভালো থাকলেও আর্ন্তজাতিক মানে অনেক নিচে রয়েছে। আর বেসরকারি শিক্ষার ক্ষেত্রে অনন্ত সমস্যা। এ সেক্টরে ১০ লক্ষাধিক শিক্ষক-কর্মচারী এদের মধ্যে ৫ লক্ষাধিক শিক্ষক-কর্মচারী এমপিওভুক্ত হলেও বিরাট একটা অংশ এমপিওভুক্ত নয়। সাড়ে সাত হাজার বেসরকারি শিক্ষক প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন সময় সরকার থেকে একাডেমিক স্বীকৃতি দিলেও তাদের বেতন-ভাতা দেওয়া হচ্ছে না ১০-১২ বছর যাবৎ। এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা মূল বেতনের শতভাগ পেলেও ১০০০ টাকার বাড়ি ভাড়া ৫০০ টাকার চিকিৎসা ভাতা, উৎসব বোনাস পান শিক্ষকরা মূল বেতনের ২৫ শতাংশ এবং কর্মচারীরা ৫০ শতাংশ। সারা চাকরি জীবনে একবার পদোন্নতি, প্রভাষক থেকে সহকারী অধ্যাপক। সেটাও ১৯৯৫ সালের সুখ্যাত জনবল কাঠামোর মাধ্যমে ৭ জন প্রভাষকের মধ্যে ২ জন হবেন সহকারী অধ্যাপক, বাকিরা থাকবেন প্রভাষক। তবে ৮ বছর পরে তারা একটি সিলেকশন গ্রেড পাবেন। ৭ : ২-তে যারা সহকারী অধ্যাপক হবেন, তারা ৭ নম্বর গ্রেডের স্কেল পাবেন; অন্যরা ৮ নম্বর গ্রেডে বেতন পাবেন। ব্যক্তিগত যোগ্যতা প্রদর্শনের কোনো সুযোগ নেই। অথচ পদোন্নতির ক্ষেত্রে কোনো বিভাগীয় পরীক্ষা নেই, শুধুই সময়ের ভিত্তিতে এটা করার পেশাগত মান বৃদ্ধির জায়গাটা দুর্বল হয়ে পরেছে। এ কুখ্যাত জনবল কাঠামো এখনও বহাল এবং এর কারণে ২৫ বছরের একজন চাকরিজীবী প্রভাষক থাকছেন; অন্যদিকে তারই ছাত্র নতুন কোনো প্রতিষ্ঠানে ৮ বছরের সহকারী অধ্যাপক হচ্ছেন। এখানে আর্থিক বিয়ষটাই শুধু নয়, মর্যাদার ক্ষেত্রে বিরাট বৈষম্য, যা বিশ্ব¦ শিক্ষক দিবসের প্রতিপাদ্যের সাথে বেমানান।

বিশ্বায়নের যুগে আমরা কেউই এটা থেকে দূরে নয়, সরকার তো নয়ই। এর ভাল-মন্দ দুটিই আছে; কিন্তু বাংলাদেশের শিক্ষক সমাজ অসম বিশ্বায়নের দ্বারা নিষ্পেষিত। আর্ন্তজাতিক বাজারে বিভিন্ন পণ্য ও সেবার দাম বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশের বাজারেও সেটা বাড়ছে এবং সরকারও সেটা বাড়িয়ে থাকে, পুঁজিবাদী/ খোলাবাজার অর্থনীতির এটাই নাকি বৈশিষ্ট্য। ক্ষেত্র বিশেষে সরকার জনগণের স্বার্থ বিবেচনা করে সেই সাথে ভর্তুকি দিয়ে থাকেন। কিন্তু বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের ক্ষেত্রে সেটা হচ্ছে না। দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমাদের দেশে এমপি, মন্ত্রী, বিচারপতিদের বেতন ভাতা বাড়ানো হয়েছে অনেকবার, সেই তুলনায় অন্যদেরটা বাড়েনি। কিন্তু স্বাধীনতার ৪৮ বছরেও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া স্কেলের অনুপাতে না এনে বাড়ি ভাড়া  অধ্যক্ষ থেকে পিয়ন সবাইকে থোক বরাদ্দ ১০০০ টাকা আর চিকিৎসা ভাত ৫০০ টাকায় আটকে রেখেছে। বিশ্বায়নের কথা বলে বাংলাদেশের পণ্য ও সেবাকর্মের দাম বৃদ্ধি করা হয়, সেখানে বিশ্বায়নের কারণে শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন বাড়বেনা কেন? তৃতীয় বিশ্বের দেশ ভেনিজুয়েলায় একজন প্রাইমারি স্কুলশিক্ষকের মাসিক ৮০০ ডলার,  হাইস্কুলের শিক্ষককে মাসিক ১৪০০ ডলার, ভারতে একজন প্রভাষককে ২৮০০০ রুপি, একজন সহকারী অধ্যাপককে ৪২০০০ রুপি বেতন দিচ্ছেন। তারা কিভাবে পারেন? বিষয়টি শাসক মহলকে বিবেচনা করতে হবে। 

শিক্ষক সংগঠনের অবস্থান

বিশ্ব শিক্ষক দিবসের ঐতিহাসিক ঘোষণা এবং ১৯৭২ সালের সংবিধানের আলোকে শিক্ষাব্যবস্থার জাতীয়করণের দাবিতে বাংলাদেশের শিক্ষকরা বিভিন্ন সময়ের মতো বর্তমানে আন্দোলনে রয়েছেন। আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমেই ১৯৮২ সালের জানুয়ারি মাসে থেকে মূল বেতনের ৫০ শতাংশ নিয়ে এমপিওভুক্ত হয়ে বর্তমানে মূল বেতনের ১০০ ভাগের অধিকারী হয়েছেন। বাড়ি ভাড়া ১০০০ টাকা, চিকিৎসা ভাতা ৫০০ টাকা, উৎসব বোনাস মূল বেতনের ২৫ ভাগ  ও ১টি পদোন্নতির শিকলে আটকে আছেন। বর্তমান সরকার বাংলা নববর্ষের বৈশাখী ভাতা দিলেও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের সেটা পেতে দুই বছর সময় লেগেছে; কিন্তু ওই দুই বছরের টাকা পাওয়া যায়নি, আদালতের শরণাপন্ন না হওয়া পর্যন্ত কোনো বকেয়া পাওয়া যায় না। বাংলাদেশের আইন-আদালতের যে অবস্থা তাতে  আইন-আদালত করে বকেয়া পাওনা আদায় করা যে কত কঠিন তা ভুক্তভোগী ছাড়া কারো বোঝার কথা নয়।

গভর্নিংবডি দলীয়করণ হওয়ায় সামাজিক মর্যাদায়ও শিক্ষকরা পিছিয়ে। এ অবস্থা থেকে শিক্ষক সমাজ মুক্তি পাওয়ার জন্য শিক্ষাব্যবস্থার জাতীয়করণ পৃথক নিয়োগ কমিশন, বিভাগীয় পরীক্ষার মাধ্যমে প্রভাষক থেকে অধ্যাপক পর্যন্ত পদোন্নতি চান। শিক্ষকরা শুধু ট্রেড ইউনিয়নের জায়গা থেকে তাদের ভূমিকা পালন নয়, জাতি গড়ার কারিগর হিসেবে, দক্ষ, যোগ্য মানবসম্পদ তৈরিতে অবদান রাখতে চান। তাদের দিয়ে এ কাজগুলো করে নিতে সরকারকে উদ্যোগী হতে হবে, শিক্ষার অর্থায়ন বাড়াতে হবে। ইউনেস্কো এবং সংবিধানের শিক্ষা প্রসঙ্গে তারা যে অঙ্গিকারবদ্ধ হয়েছেন তা যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের শিক্ষার মান বৃদ্ধিসহ বিশ্ব শিক্ষক দিবসের তাৎপর্য রক্ষা করা সম্ভব।  

লেখক ● অধ্যক্ষ, সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (বাকবিশিস), কেন্দ্রীয় কমিটি

আরও পড়ুন