• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৩, ২০১৯, ০৪:৪৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ১৩, ২০১৯, ০৪:৫৬ পিএম

আমাদের কন্যারা প্রস্ফুটিত হোক, জ্বালুক বহ্নিশিখা!

আমাদের কন্যারা প্রস্ফুটিত হোক, জ্বালুক বহ্নিশিখা!

মাত্র পঁচিশ-ত্রিশ বছর আগে যখন দেশে স্বাক্ষরতার হার ছিল ৫০ শতাংশের নীচে তখন আমাদের উপজেলার মতো মফস্বল শহরগুলোতে নারীশিক্ষা ছিল না বললেই চলে। আর্থিকভাবে স্বচ্ছলতাও সংশ্লিষ্ট পরিবারের কন্যা সন্তানটির শিক্ষার নিশ্চয়তা দিত না। ছেলে সন্তানের শিক্ষা নিয়ে কিছুমাত্র আগ্রহ থাকলেও কন্যা সন্তানের শিক্ষার বিষয়টি বিয়ে তথা সে সংক্রান্ত উপযুক্ততার সাথে বিবেচিত হত। অল্পবয়সে বিয়ে এবং মেয়েকে বেশীদূর না পড়ানোর কারনগুলো তৎকালীন সমাজে ছিল নিতান্তই বৈষয়িক। অর্থাৎ, মেয়ে বেশি শিক্ষিত হলে উচ্চ শিক্ষিত ছেলে পাওয়া যে তখন দুরূহ হয়ে যেত! তবে নারীশিক্ষার হার কম থাকার আরও কিছু কারনের মধ্যে অসচেতনতা, পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গিও কম দায়ী নয়।

সেই মফস্বল শহর বোদা উপজেলায় এখন নারীশিক্ষায় ঐ হতাশাজনক চিত্র দূর অতীত! বিশেষ করে ১৯৯৬ সালে সদরে একটি গার্লস কলেজ প্রতিষ্ঠার পর শিক্ষায় নারীর অন্তর্ভূক্তি বিপুল পরিমানে বেড়েছে। যদিও ৯০'র দশকে পাথরাজ মহাবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা একটি যুগান্তকারী অগ্রগতি যা নারীদের উচ্চ শিক্ষায় যুক্ত হওয়ার পক্ষে অনুঘটকের ভূমিকা পালন করেছে। (এখানে প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এলাকায় স্বাধীনতার পরপরই প্রতিষ্ঠিত প্রথম মহাবিদ্যালয়টি একটা সময় অনিবার্য কারনে বন্ধ হয়ে গেলে দীর্ঘদিন কোনও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল না) সেখানে
দিনে দিনে ছাত্রী সংখ্যা বাড়তে থাকলে তাদের জন্য একটি পৃথক মহাবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা সামনে চলে আসে। নারীদের জন্য (মহিলা শব্দটি আমার কাছে এপ্রোপ্রিয়েট মনে হয় না) পৃথক এ শিক্ষালয়টি নারী শিক্ষায় নতুন দিনের সূচনা করে। আলোচ্য পরিসরে নারীদের এই উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির বিশেষ বিশেষ কয়েকটি দিক সংক্ষেপে তুলে ধরবো-

এক.  নারীরা এখন শিক্ষায় গরিষ্ঠ। উচ্চ শিক্ষায় দেশে নারীর অনুপাত বাড়ছে। বোদা গার্লস কলেজে এখন সবকটি শাখায় মোট বারোশত শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। শিক্ষার্থীদের একটা বড় অংশ দূর-দূরান্ত থেকে পড়তে আসছে। শীত-ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে বাইসাইকেল চালিয়ে ছাত্রীরা যখন কলেজের সবুজ ক্যাম্পাসে পৌঁছে তখন তাদের কলকাকলিতে মুখর হয়ে উঠে চারপাশ। মহাবিদ্যালয়ের যে ক্যাচমেন্ট এরিয়া, তার প্রতিটি পরিবার থেকে মেয়েরা আজ শিক্ষামূখী। যারা মাধ্যমিক পাস করেছে তারা সবাই (দু'একটি ব্যতিক্রম ছাড়া) উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি হচ্ছে। যারা দূর গাঁয়ের স্কুলে পড়েছে এবং বাড়ির আশেপাশে মহাবিদ্যালয় নেই তারা বা তাদের অভিভাবকগণ দ্বিতীয় কোনো চিন্তা না করে মেয়েকে ভর্তি করিয়ে দিচ্ছেন দূরের কলেজে। মেয়েকে কলেজে পড়াতে প্রাসঙ্গিক অন্য যে সকল বিবেচনা যেমন-আসা-যাওয়া, থাকা-খাওয়া, নিরাপত্তা এবং টাকাকড়ি সেগুলো বিষয়েও নির্দ্বিধায় ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। কলেজের অধ্যক্ষ এবং কয়েকজন শিক্ষকের সাথে কথা বলে জেনেছি এবং যেটি অত্যন্ত আগ্রহোদ্দীপ্পক তা হচ্ছে, যাঁরা তাঁদের মেয়েকে নিয়ে আসছেন তাদের অধিকাংশই অর্থ-বিত্তশালী কেউ নন! তাঁরা সাধারণ মানুষ, খেটে খাওয়া, কৃষক। শিক্ষার গুরুত্ব বুঝেছেন, বলেই তাঁরা প্রত্যেকেই কায়মনবাক্যে চাচ্ছেন সন্তান শিক্ষিত হোক, সুনাগরিক হোক।

 

দুই.  বদলে যাচ্ছে আমাদের চেনা ল্যান্ডস্কেপ। গত শতাব্দীর শেষভাগেও দেখেছি আমাদের বাড়ি থেকে বাজারে যেতে মাত্র কয়েকটি পরিবার বাস করতো। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আজিজ ভাই'র হাস্কিং মিল, এরপর এখনকার শিমুলতলীতে কয়েকটি ঘর এবং তারপর হাড়িদের গুচ্ছগ্রাম। আর বাকী পথটার দু'ধারে কোনো পরিবার বাস করতো না। অথচ মাত্র আঠার-বিশ বছরেই সেই রাস্তারই দু'ধারে দৃশ্যমান কোন ফাঁকা জায়গা নেই। নতুন নতুন বাড়িতে ঢেকে গেছে দৃষ্টির চৌহদ্দি। খোঁজ নিয়ে জেনেছি, নতুন এ বাড়িগুলো উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আসা মানুষের।  যাদের এ স্থানান্তর মূলত সন্তানদের শিক্ষার জন্য। যাদের গ্রামে কৃষি বা অন্য আয়মূখী কার্যক্রম রয়েছে তাঁরা আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকলেও পরিবারের অন্য সদস্যরা উপজেলা শহরে থাকছে সন্তানের পড়ালেখা নির্বিঘ্ন রাখতে। এখানে হাতের কাছে কলেজ, আসা-যাওয়ার ধকল নেই। মফস্বল শহরগুলোর আজকের এই বাড়বাড়ন্তের অন্যতম কারন এই শিক্ষা।


তিন.  বোদা মহিলা মহাবিদ্যালয়ে এখন প্রতিবছর ভর্তি হচ্ছে গড়ে সাড়ে তিনশত থেকে চারশত শিক্ষার্থী। যারা এখানে মানবিক, বিজ্ঞান এবং বাণিজ্য ধারায় শিক্ষা নিচ্ছে। উচ্চ মাধ্যমিকের পরে স্নাতক পর্যায়েও শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে এলাকার শিক্ষার্থীরা। এছাড়া, কারিগরী শিক্ষার ব্যবস্থাও রয়েছে এখানে। বর্তমানে ৪৩ জনের একটি অভিজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলী যার মধ্যে ১২ জন শিক্ষিকা এবং ৩১ জন শিক্ষক পাঠদান করছেন। বিগত  বছরগুলোতে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশের গড় হারও সন্তোষজনক। চার. বিশেষ কার্যক্রমেও পিছিয়ে নেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। বিজ্ঞান বিষয়ে ফলিত জ্ঞান ও দক্ষতা তৈরিতে কলেজের বিজ্ঞানাগারটি সচল রয়েছে। সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের একনিষ্ঠ প্রচেষ্টায় শিক্ষার্থীরা পাচ্ছে বিজ্ঞানের বুনিয়াদি শিক্ষা। কলেজের অধ্যক্ষ আশরাফুল আলম লিটন জানান,  তাদের কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রতিটি জাতীয় দিবস উপলক্ষে কুঁচকাওয়াচ, পুস্পমাল্য অর্পণ এবং সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করে বিশেষ সম্মাননা অর্জন করেছে।

যার স্মারক ট্রফি, মানপত্র থরে থরে সাজানো রয়েছে অধক্ষের কক্ষে। কলেজের কমনরূমে নানাবিধ খেলনার পাশাপাশি বিশাল চত্বরে ফুটবল, হ্যান্ডবল, ও ভলিবল খেলায় শিক্ষার্থীরা যার যার পছন্দমত যুক্ত হয়। কলেজ ক্যাম্পাসে একটি সুপরিসর বেদীর উপর রয়েছে শহীদ মিনার যা শিক্ষার্থীদের দেশপ্রেম এবং চেতনাকে শানিত করতে বিশেষ দ্রষ্টব্য ভূমিকা রেখে চলছে। দূর-দূরান্তের এবং দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে রয়েছে একটি আবাসিক হোস্টেল। যেখানে নামমাত্র খরচে বর্তমানে ২১ জন  শিক্ষার্থী আবাসিক সুবিধায় থেকে পড়ালেখা চালিয়ে নিচ্ছে। কলেজে বিজ্ঞান বিষয়ে ফলিত দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করার জন্য রয়েছেন অভিজ্ঞ ডেমোন্সট্রেটর, রয়েছে শারিরীক শিক্ষা ইন্সট্রাক্টর এবং অন্যান্য সহায়ক কর্মীবাহিনী।

চার. আজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি যে জায়গায় এসেছে সেটা অনেক পরিশ্রমের ফল। আজ থেকে বাইশ বছর আগে একটি প্রত্যন্ত এলাকায় শুধু নারীদের শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে যে চিন্তা তা অনন্য। অগ্রবর্তী চিন্তার কিছু মানুষ এমন একটি সাহসী সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছিলেন। ফলে এলাকায় নারী শিক্ষায় নতুন দিনের সূচনা হয়। আর সেই অগ্রবর্তী বিদ্যোৎসাহীরেদর মধ্যে অনেকেই আজ বেঁচে নেই। আমাদের পিতা গত হয়েছেন ১৯৯৮ সালে যিনি ছিলেন কলেজ প্রতিষ্ঠায় একজন জমিদাতা। আর কলেজের দৃশ্যমান এতসব অগ্রগতি দেখে তাঁর
উত্তরসূরি হিসেবে আমরা গর্ববোধ করি। আমরা গভীরভাবে বিশ্বাস করি যাঁদের ত্যাগ, চিন্তা এবং পরিশ্রম এ প্রতিষ্ঠান গড়তে সাহায্য করেছে তাঁরা আগামী প্রজন্মের কাছে সমান মর্যাদায় স্মরণীয় থাকবেন। কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ সর্বজনাব মোঃ রফিকুল ইসলাম যিনি প্রানান্ত চেষ্টা আর আন্তরিকতায় প্রতিষ্ঠানটিকে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করেছিলেন কিন্তু সবকাজ শেষ করে যেতে পারেন নি। ২০১০ সালে ১৭ নভেম্বর তাঁর অকাল প্রয়াণে সে প্রচেষ্টা পরবর্তী নেতৃত্ব এগিয়ে নিচ্ছেন যার অগ্রভাবে রয়েছে অধ্যক্ষ আশরাফুল আলম লিটন। তাঁর সাথে যুক্ত আছেন একদল একনিষ্ঠ শিক্ষক-শিক্ষিকা।

পাঁচ . আমার সবসময়ের পছন্দ  শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলা। বিশেষ করে তরুণ-তরুণীদের সাথে। কারন, এ বয়সে প্রত্যেকের মধ্যে সর্বোচ্চ উদ্যম থাকে, তেমন কোন পিছুটান থাকে না এবং তাদের মধ্য জানার কৌতুহল অনেক বেশী। আমি বিশ্বাস করি- যদি এ বয়সের শিক্ষার্থীদের প্রপার গাইড করা যায়, যদি তাদের মধ্যে জ্ঞান আরোহণের ক্ষুধা জাগিয়ে তোলা যায় তাহলে, তারা অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারে। এ রকম একটি বিশ্বাস থেকে আমি সারাদেশে ইয়ূথদের নিয়ে কাজ করেছি। এবং এখনও যেখানে সুযোগ পাই আমি তাদের সাথে কথা বলতে চেষ্টা করি। সেই স্পিরিট থেকে গত ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে কিছুটা সময় কাটানোর সুযোগ পেয়েছিলাম শিক্ষার্থী এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষা ব্যবস্থাপকগণের সাথে। একসময় একইসাথে রাজনীতি করতাম সেই বড় ভাই কলেজের অধ্যাপক আমাকে খুবই জেনারাসলি তাদের সামনে পরিচয় করিয়ে দিলেন।

আমি সেদিন বাংলা বিষয়ের একটি নির্ধারিত ক্লাসের কিছুটা সময় শিক্ষার্থী বোনদের কথা শুনেছি। তারা জানালো, আজ বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে তারা কলেজে এসেছে কারন তারা নিয়মিত ক্লাস করার গুরুত্ব বুঝতে পেরেছে। আমার জানার বিষয় ছিল-আপনারা কেন পড়ছেন, এবং কী হতে চান? তাদের উত্তরে আমি সন্তুষ্ট। একজন নারী সুশিক্ষিত হলে কী বিপুল পরিবর্তনের সূচনা হতে পারে সেই বিষয়ে আমাদের মধ্যে দ্বিমত হলো না। কথা হলো- সভ্যতার বিকাশে নারীর অবদান, পৃথিবী বিখ্যাত ব্যক্তিদের সংগ্রামের কাহিনী নিয়েও।

ছয়. এতক্ষণ শুধু ইতিবাচক দিকসমূহ নিয়ে কথা বললেও, এ পর্যায়ে কলেজে কিছু চ্যালেঞ্জও মোকাবেলা করছে। ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্ট কয়েকজনের সাথে জানা গেল- এতো বছরেও স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষকদের এমপিও (সরকার প্রদেয় মাসিক বেতনের অংশ) না হওয়া। আর এ কারণে স্নাতক শিক্ষায় যুক্ত শিক্ষকদের প্রায় অবৈতনিক শর্তে দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। এছাড়া, কলেজের দেয়াল ঘেঁসে গরুর হাট শিক্ষার জন্য অনুকূল পরিবেশ নষ্ট করছে। বিশেষ করে সপ্তাহের বুধ ও শনিবার এ দু'দিন হাটবার হওয়ায় শিক্ষার্থীদের নানা অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হচ্ছে। বিদ্যমান বিজ্ঞানাগারটির আধুনিকায়ন এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ না পাওয়াও আর একটি চ্যালেঞ্জ।

সাত. প্রাচীন সেই প্রবাদ-হাজার মাইল হাঁটতে গেলেও প্রথম পা-টি না ফেলে যাওয়া সম্ভব নয়। সেই হিসেবে নারীশিক্ষায় প্রতিষ্ঠানটি হাজার মাইল যাওয়ার পথে খুব শক্তভাবেই প্রথম পা-ফেলেছে। এখন শুধুই এগিয়ে যাওয়া। আর জগতের স্বাভাবিক নিয়মে একটি জীবনের বেড়ে ওঠার পথে যে সকল বাধা পেরুতে হয়, সেটা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রও সত্য। সে কারনে দরকার দূরদর্শী নেতৃত্ব, প্রত্যাশার দ্বারা পরিচালিত হওয়া এবং ইস্পাতকঠিন দৃঢ়তা। সেদিন শিক্ষার্থী বোনদের চোখে এগিয়ে যাওয়ার যে প্রত্যয় ঠিকরে পড়তে দেখেছি তাতে আমি স্থিরবিশ্বাসী এ প্রতিষ্ঠান নারীশিক্ষায় দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করবে। আর সেখানে পাঠ নিয়ে শুধু উচ্চ শিক্ষতই হবে না, তারা হবে প্রস্ফুটিত ফুল আর অন্ধকার
কূপমণ্ডুকতার বিরুদ্ধে একেকটি বহ্নিশিখা!

লেখক : মানবাধিকার ও উন্নয়ণকর্মী


(তথ্য ও ছবি কৃতজ্ঞতা: আশরাফুল আলম লিটন, অধ্যক্ষ। গোলাম কিবরিয়া বাদল, প্রভাষক, বোদা মহিলা কলেজ।)