• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৮, ২০১৯, ০৬:৫৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ২৮, ২০১৯, ০৭:০৯ পিএম

বড় চালান আসছে, শিগগিরই পেঁয়াজের দাম কমে আসবে : বাণিজ্য মন্ত্রণালয়

বড় চালান আসছে, শিগগিরই পেঁয়াজের দাম কমে আসবে : বাণিজ্য মন্ত্রণালয়

পেঁয়াজের মূল্য ঊর্ধ্বগতি রোধে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তারা বলেছেন দু’একদিনের মধ্য পেঁয়াজের বড় চালান দেশে আসছে। তখন বাজারে পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক হয়ে আসবে।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, সরবরাহ ও দাম স্বাভাবিক রাখতে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, বাজারে প্রচুর পেঁয়াজ রয়েছে। প্রতিদিন আমদানিকৃত পেঁয়াজের চালান দেশে আসছে। দু’একদিনের মধ্যে কয়েকটি বড় চালান দেশে চলে আসবে। পেঁয়াজ নিয়ে আতঙ্কিত হবার কোনও কারণ নেই, পেঁয়াজের দাম দ্রুতই স্বাভাবিক হয়ে আসবে।

ভারতের মহারাষ্ট্র ও অন্য এলাকায় বন্যার কারণে পেঁয়াজের ফলন ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে কিছুদিন আগে রফতানির ক্ষেত্রে ভারত প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজের মিনিমাম এক্সপোর্ট প্রাইস(এমইপি) নির্ধারণ করে দেয়। গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ভারত কর্তৃপক্ষ পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ ঘোষণা করে দেয়। বিকল্প হিসেবে বাংলাদেশ মিয়ানমার থেকে এলসি এবং বর্ডার ট্রেডের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু করেছে। মিশর ও তুরস্ক থেকেও এলসির মাধ্যমে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। সম্প্রতি মিয়ানমারও পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধি করেছে। ফলে বাংলাদেশের বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে হয়, ‘‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পেঁয়াজ আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের নিয়ে অনেকবার সভা করা হয়েছে।নিয়মিতভাবে আমদানিকারকদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে। পেঁয়াজ আমদানি বৃদ্ধি এবং নৈতিকতার সাথে ব্যবসা পরিচালনার জন্য ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করা হয়েছে। এরপরও কোন ব্যবসায়ী অবৈধভাবে পেঁয়াজ মজুত, কৃত্রিম উপায়ে মূল্য বৃদ্ধির চেষ্টা, স্বাভাবিক সরবরাহে ব্যাঘাত সৃষ্টি করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। প্রতিদিনই অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে দেশের বেশ কয়েকটি বড় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মিশর ও তুরষ্ক থেকে বেশি পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি করছে। দু’একদিনের মধ্যে এ সকল পেঁয়াজের বড় ধরনের চালান দেশে চলে আসলে দ্রুতই মূল্য উল্লেখযোগ্য হারে কমে আসবে। নভেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহে নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। আমদানিকারকদের উৎসাহিত করতে পেঁয়াজ আমদানি ক্ষেত্রে এলসি মার্জিন এবং সুদের হার হ্রাস করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক পদক্ষেপ নিয়েছে। স্থল ও নৌ বন্দরগুলোতে আমদানিকৃত পেঁয়াজ দ্রুত ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে খালাসের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও বন্দর কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। সে মোতাবেক অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আমদানিকৃত পেঁয়াজ খালাস করা হচ্ছে। এলসি’র মাধ্যমে মিয়ানমার, মিশর ও তুরস্ক থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ বন্দরে খালাস করা হচ্ছে। মিয়ানমার থেকে বর্ডার ট্রেডের মাধ্যমে টেকনাফ বন্দর দিয়ে আমদানিকৃত পেঁয়াজ এবং দেশের বিভিন্ন জেলার পাইকারি হাটগুলোতে বিক্রিত পেঁয়াজ দ্রুত সারাদেশে নির্বিঘ্নে পৌঁছে যাচ্ছে। দেশে পেঁয়াজের দাম ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ(টিসিবি) এর মাধ্যমে ট্রাক সেলে ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে ন্যায্যমূল্যে পেঁয়াজ বিক্রয় জোরদার করা হয়েছে। ৩৫টি ট্রাকের মাধ্যমে প্রতি কেজি ৪৫ টাকা মূল্যে এ পেঁয়াজ শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিক্রয় চলছে। এতে করে স্বল্প আয়ের মানুষ ন্যায্য মূল্যে পেঁয়াজ ক্রয় করার সুযোগ পাচ্ছেন। দেশের বিভিন্ন হাট-বাজারে পেঁয়াজ দ্রুত ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পৌঁছানোর জন্য সরকার সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পেঁয়াজ দ্রুত পরিবহন নির্বিঘ্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। দেশে পেঁয়াজ আমদানি নির্বিঘ্ন করতে সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি মনিটরিংয়ের  জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ের ১০জন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ৪টি টিম প্রতিদিন ঢাকা শহরের বাজারগুলো মনিটরিং অব্যাহত রেখেছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদফতর ও প্রতিটি জেলা প্রশাসন জেলার বাজারগুলোতে মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে। ঢাকার শ্যামবাজার ও চট্রগ্রামের খাতুনগঞ্জের মতো বড় পাইকারি বাজারগুলোতে অভিযান আরও জোরদার করা হয়েছে। 

এমএএম/এসএমএম