• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৬, ২০১৯, ১২:২৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ২৬, ২০১৯, ১২:৩৫ পিএম

সার্থক জীবন মহত্তর অবদান

সার্থক জীবন মহত্তর অবদান
ইনাম আহমদ চৌধুরী, সদস্য উপদেষ্টা পরিষদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ

সম্প্রতি 'হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী স্মৃতি পরিষদ' রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সানুগ্রহ উপস্থিতিতে সাবেক এই স্পিকারের ৯১তম জন্মজয়ন্তী বিশদভাবে উদযাপন করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এ উপলক্ষে সশ্রদ্ধ স্মৃতি তর্পণ করেন।

হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর ইন্তেকালের দীর্ঘ ১৮ বছর পর প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমানের উদ্যোগে ও সভাপতিত্বে গঠিত স্মৃতি পরিষদ তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তার জীবনকথা প্রচারের বিভিন্নমুখী প্রচেষ্টা করছে; এ জন্য পরিষদকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তার স্মৃতি ধরার ধুলায় অলক্ষ্যে হারিয়ে যাওয়ার জন্য নয়। তার জীবনাদর্শ অনুধাবন ও কর্মকাণ্ড থেকে শিক্ষা গ্রহণ জাতির জন্য মঙ্গলদায়ক, অনুপ্রেরণার উৎস হবে।

বাংলাদেশের সামাজিক, আমলাতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক ইতিহাসের কাহিনীতে হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী একটি অতি উজ্জ্বল ব্যতিক্রমী ব্যক্তিত্ব। সমাজে কখনও কখনও কারও কারও আবির্ভাব হয়, যাদের সান্নিধ্য ও সাহচর্য শুধু যে আনন্দদায়ক, উৎসাহ-উদ্দীপক ও ফলপ্রসূ হয় তা নয়, তা শিক্ষামূলকও হয়ে দাঁড়াতে পারে। হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী ছিলেন সেই বিরলজন্মাদেরই একজন। 'তবুও মানুষ আছে, সে মানুষ যদিও বিরল/বুকে যার উদ্বেলিত মানুষের যন্ত্রণার ঢল/সমুদ্র গভীর ভালবাসা/যা তাকে উদ্বুদ্ধ করে সবকিছু তুচ্ছ করে নব-যুগ সৃষ্টির সমরে'...। আজ যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতি বিনাশে ও সমাজে মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধে বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নিয়ে দেশকে দ্রুতগতিতে সার্বিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, সেই ক্ষণে প্রয়াত হুমায়ুন রশীদকে বিশেষভাবে স্মরণ করার যৌক্তিকতা ও প্রাসঙ্গিকতা রয়েছে। তার সঙ্গে পরিচিতির ব্যাপ্তি আমার প্রায় আশৈশবই বলা যায়। বস্তুতপক্ষে তার পরিবারের সঙ্গে আমাদের পরিবারের একাধিক সূত্রে আত্মীয়তা রয়েছে। তার সঙ্গে সামাজিক, পারিবারিক ও কখনও-বা সরকারি-বেসরকারি কর্তব্য পালনের পরিপ্রেক্ষিতে যথেষ্ট কাছাকাছি থেকে তাকে দেখা ও জানার সুযোগ পেয়েছিলাম। নির্দি্ধায় বলতে পারি, যতই তাকে জেনেছি, তার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ ততই বেড়েছে।

প্রয়াত সাবেক স্পিকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী 

রশীদ পরিবার সিলেটের তথা বাংলাদেশের একটি অগ্রণী উচ্চশিক্ষিত আলোকিত পরিবার। হুমায়ুন ভাইয়ের মা বেগম সিরাজউন্নেছা চৌধুরী ছিলেন নারীমুক্তি ও নারী শিক্ষা বিস্তারে খ্যাতনামা অগ্রপথিক। পাকিস্তান গণপরিষদের একজন সক্রিয় সদস্য। বাবা মরহুম আবদুর রশীদ ছিলেন একজন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা। পরবর্তীকালে চাকরি ত্যাগ করে চা শিল্প এবং রাজনীতিতে সাফল্যের সঙ্গে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন। ভারতের আইন পরিষদেরও সদস্য ছিলেন। ভাইবোন সবাই ছিলেন উচ্চশিক্ষিত ও লব্ধপ্রতিষ্ঠ। প্রগতিশীল চেতনা ও নেতৃত্বের বিকাশ হুমায়ুন রশীদের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই হয়েছে।

তাদের পারিবারিক বাড়ি আদিতে সুনামগঞ্জ। ১৯২৮ সালে হুমায়ুন রশীদের জন্ম হয় সিলেটে।

উপমহাদেশে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিদায় ঘণ্টা বাজল ১৯৪৭ সালে। জন্ম হলো ভারত ও পাকিস্তান। ১৯৪৭ সালে অনুষ্ঠিত একটি গণভোটের মাধ্যমে সিলেট জেলা (বর্তমানে বিভাগ) পাকিস্তানভুক্তির পক্ষে মতামত জানালেও বিভক্তির সময় অন্যায়ভাবে করিমগঞ্জ মহকুমা বাদ দিয়ে সিলেট পাকিস্তানের সঙ্গে সংযোজিত হলো। এই ১৯৪৭ সালেই হুমায়ুন রশীদ উত্তর ভারতের আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক (সম্মান) উত্তীর্ণ হন। পরে তিনি ব্যারিস্টারি পড়তে লন্ডনের 'ইনার টেম্পলে' যোগদান করেন। লন্ডন ইউনিভার্সিটির সঙ্গে সংযুক্ত ইনস্টিটিউট অব ওয়ার্ল্ড অ্যাফেয়ার্স থেকে তিনি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে ডিপ্লোমা লাভ করেন। তিনি ব্রিটেনের পাকিস্তান ছাত্র ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন এবং দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব সম্পাদন করেন। তার উদ্যোগেই পাকিস্তান স্টুডেন্টস ফেডারেশনের পক্ষ থেকে লন্ডনে প্রথম এশীয় ছাত্র কনফারেন্স সাফল্যের সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়।

১৯৫৩ সালে তিনি তীব্র প্রতিযোগিতামূলক পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সুপিরিয়র সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ফরেন সার্ভিসে যোগদান করেন। হুমায়ুন ভাইয়ের ভাষা শিক্ষার বিষয়ে আগ্রহ ও দক্ষতা ছিল। তিনি ইংরেজি-বাংলা ছাড়াও উর্দু, ফরাসি ও ইতালিয়ান ভাষায় পারদর্শিতা অর্জন করেছিলেন। আরবি, স্প্যানিশ, পর্তুগিজ, জার্মান ও ভাষা ইন্দোনেশিয়াতেও তার গ্রহণযোগ্য ব্যুৎপত্তি ছিল। পাকিস্তান সরকারের অধীনে তিনি রোম, বাগদাদ, প্যারিস, লিসবন, জাকার্তা ও দিল্লিতে দূতাবাসে দায়িত্বপূর্ণ কাজে নিযুক্ত ছিলেন। দেখা যাচ্ছে, যেখানেই তিনি নিযুক্ত ছিলেন, সে দেশের ভাষা তিনি রপ্ত করতেন। এটা তার গভীর দায়িত্ববোধ এবং কর্মে উৎকর্ষ লাভের প্রচেষ্টার পরিচায়ক।

১৯৭১ সালে তিনি দিল্লিতে পাকিস্তানি দূতাবাস থেকে কর্মত্যাগ করে বাংলাদেশ সরকারের আনুগত্য ঘোষণা করেন এবং মুক্তিযুদ্ধকালেই দিল্লিতে বাংলাদেশ মিশনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স বা দূতাবাসের ভারপ্রাপ্ত নিযুক্ত হন। সেখানে তিনি অন্যান্য দেশ কর্তৃক বাংলাদেশের স্বীকৃতির জন্য ফলপ্রসূ চেষ্টা করে যান। ১৯৭২ সালের জানুয়ারি মাসের প্রথম দিকে যখন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারি মিশনের সদস্য হিসেবে সদ্য নিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুস সামাদ আজাদের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর মুক্তি, অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আমদানি এবং কিছু জরুরি দ্বিপক্ষীয় বিষয় আলোচনার জন্য দিল্লি যাই, তখন দেখেছি- ভারতীয় সরকারের সব স্তরেই তার কার্যকর যোগাযোগ এবং অনুকূল প্রভাব ছিল, যা আমাদের কর্তব্য সম্পাদনে বিশেষ সহায়ক হয়। বলা বাহুল্য, সদ্য কারামুক্ত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব তখন লন্ডন থেকে ঢাকার পথে দিল্লিতে স্বল্প বিরতি করেন। এর সার্থক আয়োজনে মিশনপ্রধান হিসেবে তার উল্লেখযোগ্য অবদান ছিল। স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের প্রথম রাষ্ট্রদূত হিসেবে তিনি ফেডারেল রিপাবলিক অব জার্মানিতে নিযুক্ত হন। তখন তিনি অস্ট্রিয়া ও সুইজারল্যান্ডেও রাষ্ট্রদূতের যুগপৎ দায়িত্ব পালন করেন। হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী সৌদি আরবেও বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত হন। ১৯৮১ সালে তিনি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব এবং জুন ১৯৮২-তে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত হন। রাষ্ট্রপতি এরশাদের ক্ষমতাকালীন তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিযুক্ত হন এবং জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অষ্টম অধিবেশনে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৮৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব উইলিয়াম অ্যান্ড মেরি মহাত্মা গান্ধী শান্তি পদকে বিভূষিত করে। বস্তুতপক্ষে পৃথিবীর বিভিন্ন বিবদমান স্থানে শান্তি স্থাপনের জন্য তার নিজস্ব অবস্থান থেকে তিনি যথাসাধ্য ও সার্থক অবদান রাখতে সদা সচেষ্ট ছিলেন। তিনি উ-থান্ট শান্তি পদক ও বাংলাদেশ সরকার থেকে পরবর্তীকালে মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক লাভ করেন।

সরকারি দায়িত্ব সম্পাদন করার পর অবসরে তিনি ঢাকায়ই বসবাস শুরু করেন। তখন তিনি কমনওয়েলথ সোসাইটি অব বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেন এবং সংস্থাটির প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। সেই সোসাইটি বেসরকারিভাবে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষার জন্য যোগাযোগ রাখতে একটি উল্লেখজনক ভূমিকা পালন করে। এই সোসাইটি স্থাপনকালে তার সঙ্গে সহযোগিতা করার সুযোগ ও সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। এই সোসাইটির কার্যক্রমের সঙ্গে আমি ঘনিষ্ঠভাবে সংশ্নিষ্ট ছিলাম এবং পাঁচ বছর সোসাইটির নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের দায়িত্বও পালন করি। জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের কার্যক্রমেও ছিল তার উৎসাহ।

জনাব চৌধুরী পরে রাজনীতিতে যোগদান করেন এবং আওয়ামী লীগের মনোনয়নে পার্লামেন্টের সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৯৬ সালের ১৪ জুলাই জাতীয় সংসদের স্পিকার নির্বাচিত হন এবং আমৃত্যু এই পদেই অধিষ্ঠিত ছিলেন। বলা বাহুল্য, পরম দক্ষতা ও সাফল্যের সঙ্গে তিনি তার দায়িত্ব পালন করে সবারই সশ্রদ্ধ আস্থা অর্জনে সমর্থ হন। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী হুমায়ুন রশীদ জীবনের সব ক্ষেত্রেই সাফল্যের উজ্জ্বল স্বাক্ষর রেখেছেন।

হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী ছিলেন আন্তরিকভাবে জনদরদি একজন নীতিনিষ্ঠ অকুতোভয় দেশপ্রেমিক। যখনই সুযোগ পেয়েছেন, সুবিধা পেয়েছেন, সমাজের বঞ্চিত-অবহেলিত জনগোষ্ঠীর সহায়তায় যথাসাধ্য এগিয়ে এসেছেন। কোম্পানীগঞ্জ তুলনামূলকভাবে একটি অবহেলিত উপজেলা ছিল। সিলেট-১-এর জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে এমপি হিসেবে তিনি কোম্পানীগঞ্জ এবং সারা নির্বাচনী এলাকার বিপুল উন্নয়নকর্মে ব্রতী হন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শে ছিল তার অবিচল নিষ্ঠা ও বিশ্বাস। বঙ্গবন্ধুর প্রতি ছিল তার প্রগাঢ়তম শ্রদ্ধাবোধ ও আস্থা।

মানুষের চরিত্রের পরীক্ষা হয় কোনো বিপদকালে বা প্রতিকূলতার মুখোমুখি অবস্থায়। ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে ঘটেছিল জাতির জীবনের কলঙ্কতম ও নিষ্ঠুরতম ট্র্যাজেডি। বিশ্বাসঘাতক কিছু দুর্বৃত্তের বর্বরোচিত পাশবিক হামলায় জাতি হারিয়েছিল তাদের পিতা ও মাতাকে। জনকল্যাণে চিরনিবেদিত সেই প্রাতঃস্মরণীয় পরিবারের কেউই রক্ষা পাননি সেই নরঘাতকদের ঘৃণ্য ছোবল থেকে। আল্লাহতায়ালার অশেষ মেহেরবানিতে বঙ্গবন্ধুতনয়া শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা তখন বিদেশে। ওই সময় দেশ-বিদেশে বঙ্গবন্ধুর স্নেহধন্য এবং রাষ্ট্রীয় সুবিধাপ্রাপ্ত অনেকেরই অগ্রহণযোগ্য, গর্হিত আচরণ আমাদের দারুণভাবে ক্ষুব্ধ করেছে, নিরাশ করেছে, হতবুদ্ধি করেছে। কিন্তু সেই ক্রান্তিলগ্নে নির্ভয় হুমায়ুন রশীদ প্রকৃত দেশপ্রেমিকের মতো স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে এগিয়ে এলেন পরম শোকাহত ও চরম বিপদগ্রস্ত বঙ্গবন্ধুতনয়াদের সহায়তা প্রদানে। সে কাহিনি আজ সবার জানা। প্রাথমিক সহযোগিতার সেই আনুকূল্যের মূল্য ছিল অপরিসীম। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি শেখ মুজিবের যোগ্য উত্তরসূরি গণতন্ত্রের মানসকন্যা শেখ হাসিনা তার অগাধ দেশপ্রেম, জাতির প্রতি তার গভীর দায়বদ্ধতাবোধ, তার অনমনীয় দৃঢ়তা, আদর্শনিষ্ঠা ও তার অতুলনীয় নেতৃত্বদানের ক্ষমতায় সেই ভয়াবহ শোককে বাস্তবিক অর্থেই রূপান্তরিত করলেন অমিত শক্তিতে। তারই বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী, জনকল্যাণকামী নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ জাতি আজ উন্নয়নের মহাসড়কে দ্রুতগতিতে ধাবমান। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার মহান সংগ্রামে দৃঢ় পদক্ষেপে অগ্রসরমান।

হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের ক্ষণে এসব কথা মনে পড়ে বৈকি! এটাই তো তার সার্থক জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন। আর কত মহান, কত বিরাট এই প্রাপ্তি!

সদস্য, উপদেষ্টা পরিষদ, বাংলাদেশ
আওয়ামী লীগ