• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৩, ২০১৯, ০৬:০৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ১৩, ২০১৯, ০৬:০৪ পিএম

বুদ্ধিজীবী হত্যা ও রায়ের বাজার

বুদ্ধিজীবী হত্যা ও রায়ের বাজার

 রায়ের বাজার মনে করতেই চোখের গহীনে ভেসে ওঠে একটা ছবি। খালের মতো স্থির জলাভুমি।  পাশে ইটের স্তুপ। তার মধ্যে  পাশে পড়ে আছে হাত বাঁধা চোখ বাঁধা অনেক মানুষ।এদের সবার পরনে বাসায় পরা পোশাক। এরা ছিলো দেশের সূর্য সন্তান। অসম মেধাবী এইসব মানুষকে এখানে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে তা ভাষায় বর্ণনা করার মতো নয়।

 সবার পোশাকে বোঝা যায় বাসায় যে ভোবে ছিলো তাকে সেভাবে তুলে আনা হয়েছে। সেইসব সূর্য সন্তানদের পরিবারগুলোর সাথে কথা বলে আরেকটি বিষয় নিশ্চিত হওয়া  গেছে-সেটা হলো এইসব সূর্যসেন্তানদের বেশ আগে থেকেই লক্ষ করা হতো। এবং তাদের ১০ ডিসেম্বর থেকে তুলে নেয়া শুরু হয়। তাদের আলবদর বা পাকিস্তানি বর্বর বাহিনী তুলে নেয়ার সময় ওই পরিবারগুলো জেনেছিলো কারা তাদের ধরিয়ে দিলো। আবার এমন হয়েছে ধরে নেয়ার পরে কোন আলবদর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কাছে হয়তো তার পরিবার গিয়েছে, অমনি ওই ব্যক্তি বলেছে , ওরা কেন নিয়েছেতো জানি না,তবে বাসায় যান ফিরে আসবে। আর ফিরে আসেনি । দেশবরেণ্য চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. আলীম চৌধুরীর বাসার নীচে থাকতেন মাওলানা মান্নান। সব সময় তার দরোজা খোলা থাকতো। কিন্তু ডা. আলীম চৌধুরীকে যেদিন ধরে নিয়ে যাওয়া হয় সেদিন দরোজা বন্ধ ছিলো । শত করাঘাতেও দরোজা খোলেনি। শহীদ সাংবাদিক সিরাজউদ্দীন হোসেন কে ১০ ডিসেম্বর রাত সাড়ে তিনটায় ধরে নিয়ে যায় পাক হার্মাদ ও তাদের দোসররা। তাকে পাঞ্জাবি পরার সুযোগও দেয়া হয়নি। দেশের সূর্য সন্তানদের অনেকের লাশ পাওয়া গিয়েছিলো রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে। 

তাদের লাশ দেখে একান্ত কাছের লোক ছাড়া সনাক্ত করা সম্ভব ছিলো না। বুদ্ধিজীবী হত্যায় জামায়াতে ইসলামীর সে সময়ের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র সংঘ হানাদার বাহিনীর চোখ ও কান হিসেবে কাজ করেছে। মাওলানা নিজামী ছিলেন সে সময় ছাত্র সংঘের মূল নেতা। আল-বদর বাহিনীর সুপ্রিম কমান্ডারও ছিলেন তিনি। জামায়াত নেতা মুজাহিদ, কামারুজ্জামান ছিলেন ঘাতক আল-বদর বাহিনীর কমান্ডে। এ বাহিনীর সদস্যরা বুদ্ধিজীবীদের চোখ বেঁধে নিয়ে যেত নির্যাতন ক্যাম্পে। যেখানে তাদের ওপর নির্মম নির্যাতন চালানো হতো। সারা দেহ ক্ষত-বিক্ষত করে আনন্দ পেতো আল-বদর নামের নব্য ড্রাকুলারা। 

গত কয়েকদিন আগে গিয়েছিলাম  রায়ের বাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে। সেখানে কথা হয় স্থানীয় সুবল সাধুর সঙ্গে। তাকে জিজ্ঞেস করি,মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ঢাকা ছিলেন কি না। তিনি ঢাকায় ছিলেন। পালানোর কয়েকবার চেষ্টা করেও পালাতে পারেননি। একবার প্রায় ধরা পড়ে গেছিলেন। তাকে জিজ্ঞেস করি বুদ্ধিজীবীদের ধরে আনতে দেখতেন? তিনি বলেন না, তাদেরতো গাড়িতে করে আনা হতো তাই দেখো যেত না। তবে গভীর রাতে গুলি চলতো যখোন তখন ভাবতাম আর বাঁচবো না। গুলির সময় কি কোনকোন্না বা চিৎকারের শব্দ শোনা যেত? তিনি বলেন খুব কম। কয়েকদিন শুনেছি। তাদের চোখ মুখ বাধা থাকতোতো। গুলি চলতো কখন? রাত একটার পরে। তখন আমরা ভয়ে খাটের নীচে পালাতাম। কোন ঘর থেকে কেউ বের হত না। সবাই ভাবতো কেউ নাই। এভাবে অবরুদ্ধ দিন-রাত কাটতো। রাতে একটু বাইরে বের হতাম তাও অনেকবার চারদিক ইতি-উতি দিয়ে ।

 কথা হয় মেজর(অব:) তানসেন রহমানের সঙ্গে। তারা রায়ের বাজারের স্থানীয় বাসিন্দা। মুক্তিযুদ্ধের পুরোটা সময় রায়ের বাজারে ছিলেন। তাকে জিজ্ঞেস করি, বধ্যভূমি হিসাবে রায়ের বাজারকে বেছে নেয়ার কারন কি হতে পারে? তিনি বলেন, বুদ্ধিজীবীদের তুলে আনা হতো ফিজিক্যাল ট্রেনিং কলেজে। এখান থেকে কাছে রায়ের বাজার। তখনকার রায়ের বাজারতো একদম আলাদা। ধরুন,টালি অফিসের পর থেকে ইটখোলা আর বদ্ধ জলাশয়। বুড়িগঙ্গা তখন আরও কাছে। বর্ষাকালে মনে হতো কূলবিহীন জলের শহর। ভেতরে ছিলো ধনচে গাছ। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এ জায়গাকে হত্যা-খুনের নিরাপদ জোন ভাবতো। 

তাই হয়তো এখানটাকে বেছে নিয়েছে। শুধু রায়ের বাজার না,সব বধ্যভূমির গঠণ প্রকৃতি একই রকম। জলা এলাকা,আশ-পাশে জনবসতি নেই এমন। ১৯৭১ এর ডিসেম্বর মাসে স্বাধীনতা যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে এসে পাকিস্তান বাহিনী যখন বুঝতে শুরু করে যে তাদের পক্ষে যুদ্ধে জেতা সম্ভব না, তখন তারা নবগঠিত দেশকে সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও শিক্ষাগত দিক থেকে দূর্বল এবং পঙ্গু করে দেয়ার জন্য পরিকল্পনা করতে থাকে। সেজন্য তারা মরন কামড় দিতে পরিকল্পনা ফাঁদতে শুরু করে।  তাদের এ পরিকল্পনাকে এগিয়ে নেয় দুজন ব্যক্তি। তারা হলেন হেইট ও ডুসপিক নামে দুই মার্কিন নাগরিক।

 পকিস্তানি বর্বর বাহিনীর জেনারেল রাও ফরমান আলীর ডায়েরিতে হেইট ও ডুসপিক নামে দুজন মার্কিন নাগরিকের কথা পাওয়া যায়। এদের নামের পাশে ইউএসএ এবং ডিজিআইএস লেখা ছিল।এর মধ্যে হেইট ১৯৫৩ সাল থেকে সামরিক গোয়েন্দা-বাহিনীতে যুক্ত ছিল এবং ডুসপিক ছিল সিআইএ এজেন্ট। জানা যায় ইন্দোনেশিয়ার বুদ্ধিজীবী হত্যা পরিকল্পনায়ও এদের নাম ছিলো এ কারণে সন্দেহ করা হয়ে থাকে, পুরো ঘটনার পরিকল্পনায় সিআইএ'র ভূমিকা ছিল।সিদ্ধান্ত হয়, বুদ্ধিজীবীরাই জাগিয়ে রাখেন জাতির বিবেক। লেখক-সাংবাদিকরা  তারা তাদের  লেখার মাধ্যমে প্রকাশ করে হয় তাদের চেতনা, গানের সুর ও তুলি আচড়ে তার চেতনা  প্রকাশ করে শিল্পী , শিক্ষালয়ে পাঠদানে, চিকিৎসা, প্রকৌশল, রাজনীতি ইত্যাদির মাধ্যমে জনগণের সান্নিধ্যে আসে।

 একটি জাতিকে অন্ধ করে করে দেয়ার জন্য পাকিস্তানি জানোয়াররা সিদ্ধান্ত নেয় জাতিকে বুদ্ধিজীবী শূন্য করে দেয়ার। ২৫ মার্চ রাতে ঢাকায় নিরীহ জনগণের উপর পাকবাহিনীর আক্রমণের সময় থেকেই শুরু হ য় বুদ্ধিজীবী নিধনযজ্ঞ। পাকিস্তানি সেনারা তাদের  অপারেশন সার্চলাইট কর্মসূচির আওতা য় চিহ্নিত বুদ্ধিজীবীদের খুঁজে বের করে হত্যা করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যাল য়ের কয়েকজন শিক্ষককে ২৫ মার্চ রাতেই হত্যা করা হয়। তবে বুদ্ধিজীবীদের পরিকল্পিত হত্যাযজ্ঞ ১৬ ডিসেম্বর পাকবাহিনীর আত্মসমর্পণের বেশ কয়েকদিন আগে বিশেষত ঢাকা শহর ভয়াবহ রূপ নেয়। ১৪ ডিসেম্বর রাতে ঢাকা য় দুই শ’রও বেশি বুদ্ধিজীবীকে তাঁদের বাড়ি থেকে তুলে নেয়া হয় এবং জানা যায় ওই রাতে রায়ের বাজার বধ্যভুমিতেই হত্যা করা হয় প্রায় দুই হাজার মানুষকে। 

ঢাকায় এ হত্যাকান্ড শুরু হয় এবং ক্রমে ক্রমে তা সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানে, বিশেষত জেলা ও মহকুমা শহরে সম্প্রসারিত হয়।হত্যাকারীরা চিহ্নিত বুদ্ধিজীবীদের তাঁদের নিজ নিজ বাড়ি থেকে গেস্টাপো কায়দায় তুলে নিয়ে কালো কাপড়ে চোখ বেঁধে কোনো বিশেষ নির্যাতন কেন্দ্রে নিয়ে যেত। এসব নির্যাতন কেন্দ্র ছিল মিরপুর, মোহাম্মদপুর, নাখালপাড়া, রাজারবাগ, ফিজিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার ( মোহাম্মদপুর) এবং শহরের অন্যান্য এলাকায়। বেশিরভাগ সম য় তারা শহরে জারিকৃত কার্ফুর সুযোগে বুদ্ধিজীবীদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যেত। তাঁদের উপর চলত নির্মম  দৈহিক নির্যাতন। তারপর বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বেয়নেটের আঘাতে তাঁদের দেহ ক্ষতিবিক্ষত করে হত্যা করা হতো। 

ঢাকা শহরের প্রধান  প্রধান বধ্যভূমি ছিল আলেকদি, কালাপানি,জল্লাদখানা, রাইনখোলা, মিরপুর বাংলা কলেজের পশ্চাদ্ভাগ, হরিরামপুর গোরস্তান, মিরপুরের শিয়ালবাড়ি, মোহাম্মদপুর থানার পূর্ব প্রান্ত ও রায়ের বাজার। রায়ের বাজার ও মিরপুরের জলাভূমিতে ডোবানালা, নিচু জমি ও  ইটের পাঁজার মধ্যে বুদ্ধিজীবীদের বহুসংখ্যক মৃতদেহ বিক্ষিপ্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। কালো কাপড়ে চোখ বাঁধা এবং পেছনে হাত বাঁধা অবস্থায় ক্ষতবিক্ষত এই লাশগুলোর অধিকাংশেরই দেহ ফুলে উঠেছিল। তাঁদের বুকে মাথায় ও পিঠে ছিল বুলেটের আঘাত এবং সারাদেহে বেয়নেটের ক্ষতচিহ্ন।

 এঁদের মধ্যে ছিলেন ৯৯১ জন শিক্ষাবিদ, ১৩ জন সাংবাদিক, ৪৯ জন চিকিৎসক, ৪২ জন আইনজীবী, ৯ জন সাহিত্যিক ও শিল্পী, ৫ জন  প্রকৌশলী,এবং অন্যান্য ২ জন। এই পরিকল্পিত গণহত্যাটি বাংলাদেশের ইতিহাসে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড নামে পরিচিত। বন্দী অবস্থা য় বুদ্ধিজীবীদের বিভিন্ন বধ্যভূমিতে হত্যা করা হ য়। দেশ স্বাধীন হও য়ার পর তাদের ক্ষত-বিক্ষত ও বিকৃত লাশ রা য়েরবাজার এবং মিরপুর বধ্যভূমিতে পাও য়া যা য়। অনেকের লাশ শনাক্তও করা যা য়নি, পাও য়াও যা য়নি বহু লাশ।পাকিস্তানী সামরিক জান্তার পক্ষে এ হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ছিল মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী। 

আর তাকে তালিকা  প্রস্তুতিতে সহযোগীতা ও হত্যাকাণ্ড বাস্তবা য়নের পেছনে ছিল মূলত জামা য়াতে ইসলামী কর্তৃক গঠিত কুখ্যাত আল বদর বাহিনী। বুদ্ধিজীবী হত্যার  প্রধান ঘাতক ছিল বদর বাহিনীর চৌধুরী মঈনুদ্দীন (অপারেশন ইন-চার্জ) ও আশরাফুজ্জামান খান ( প্রধান জল্লাদ)। ১৬ ডিসেম্বরের পর আশরাফুজ্জামান খানের নাখালপাড়ার বাড়ি থেকে তার একটি ব্যক্তিগত ডায়েরী উদ্ধার করা হয়, যার দুটি পৃষ্ঠায়  প্রায় ২০ জন বুদ্ধিজীবীর নাম ও বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের কোয়ার্টার নম্বরসহ লেখা ছিল। 

তার গাড়ির ড্রাইভার মফিজুদ্দিনের দেয়া সাক্ষ্য অনুযায়ী রায়ের বাজারের বিল ও মিরপুরের শিয়ালবাড়ি বদ্ধভূমি হতে বেশ কয়েকজন বুদ্ধিজীবীর গলিত লাশ পাওয়া যায় যাদের সে নিজ হাতে গুলি করে মেরেছিল। আর চৌধুরী মঈনুদ্দীন ৭১ সালে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিল। বুদ্ধিজীবীদের গতিবিধি দেখার জন্য তাকে পূর্বদেশ পত্রিকায় চাকরি দেয়া হয়েছিলো। যে কারণে সে অবজারভার ভবন হতে বুদ্ধিজীবীদের নাম ঠিকানা রাও ফরমান আলী ও ব্রিগেডিয়ার বশীর আহমেদকে পৌঁছে দিত। এছাড়া আরো ছিলেন এ বি এম খালেক মজুমদার (শহীদুল্লাহ কা য়সারের হত্যাকারী), মাওলানা আবদুল মান্নান (ডা. আলীম চৌধুরীর হত্যাকারী), আবদুল কাদের মোল্লা (কবি মেহেরুন্নেসার হত্যাকারী)  প্রমুখ। চট্টগ্রামে  প্রধান হত্যাকারী ছিলেন ফজলুল কাদের চৌধুরী ও তার দুই ছেলে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং গিয়াস কাদের চৌধুরী।

মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে বধ্যভূমির একটি বর্ণনা শুনলে শরীর হিম হয়ে আসে ”পাশে দুটো লাশ, তার একটির হৃৎপিন্ড কে যেন ছিঁড়ে নিয়েছে। সেই হৃৎপিন্ড ছেঁড়া মানুষটিই হল ড. রাব্বী।ড. রাব্বীর লাশটা তখনও তাজা। জল্লাদ বাহিনী বুকের ভেতর থেকে কলিজাটা তুলে নিয়েছে।তারা জানতো যে তিনি চিকিৎসক ছিলেন। তাই তার হৃৎপিন্ডটা ছিঁড়ে ফেলেছে।”

এমনি আরো অজস্র লোমহর্ষক ঘটনার বিবরণ পাওয়া যায়  প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায়। এই ঘাতকদালালচক্র দেশের সাথে , স্বজনের সাথে বিশ্বাসঘাতকতার চূড়ান্ত ঘৃণ্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে নিজেদের জায়গা করে নিয়েছে ইতিহাসের ঘৃণ্যতম জায়গায়। 
জাতিকে মেধাশূন্য করার যে  প্রক্রিয়া একাত্তরের ঘাতকচক্র শুরু করেছিল তাদের উত্তরসূরিরাও একই উদ্দেশ্যে এই দেশের নতুন  প্রজন্মের কাছে নানা ভুল তথ্য ,ভুল ইতিহাস পরিবেশন করে যাচ্ছে যাতে করে এদেশের মানুষ ও প্রজন্মের পর প্রজন্ম একটা বিভ্রান্ত জাতিতে পরিণত হয়। এই ঘাতক-দালালদের সম্পূর্ণরূপে নির্মুল ও এই রক্তাক্ত ইতিহাস পাঠ্যক্রমে বিস্তারিতভাবে সংযোজন করা না হলে জাতির সামনে আরো ভয়াবহ সময় আসবে এতে কোন ভুল নেই।

লেখক: সাংবাদিক ও গবেষক

আরও পড়ুন