• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৬, ২০১৮, ০৭:৪৬ পিএম

আওয়ামী লীগের প্রতিশ্রুতিতে সন্তোষ জাফর ইকবালের

আওয়ামী লীগের প্রতিশ্রুতিতে সন্তোষ জাফর ইকবালের
অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। ফাইল ছবি

 

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে শিক্ষা খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়ায় প্রতিশ্রুতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন দেশের জনপ্রিয় শিশুসাহিত্যিক ও অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। আওয়ামী লীগের এবারকার ইশতেহার কেমন হয়েছে জানতে চাইলে প্রখ্যাত এই শিক্ষাবিদ বলেন, আমি বলবো, আমার কোন ছাত্র যদি এ রকম একটা ইশতেহার লিখে আমার কাছে নিয়ে আসতো, তাহলে তাকে আমি এ প্লাস দিতাম।

বুধবার (২৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় বক্তৃতাকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। ‘তারুণ্যের শক্তি বাংলাদের সমৃদ্ধি শীর্ষক’ ওই আলোচনা সভার আয়োজন করে সেন্টার ফোর রিসার্চ অ্যান্ড  ইনফরমেশন- সিআরআই। আলোচনায় অন্যান্যের মধ্যে অংশ নেন- অটিজম বিশেষজ্ঞ এবং সূচনা ফাউন্ডেশন চেয়ারপারসন সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আতিকুল ইসলাম, তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এবং তরুণ ক্রিকেটার মেহেদী হাসান মিরাজ।

ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, আমি খুব খুশি যে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে আগামীর বাজেটে শিক্ষা খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ রাখার কথা বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে গবেষণা খাতে বাড়তি বরাদ্দ থাকছে বলেও সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন তিনি।

তিনি বলেন, জিডিপির ৬ শতাংশ শিক্ষাখাতে বরাদ্দ দিলে ভালো হবে। তবে ২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪ শতাংশ করলে মোটামুটি ভাল। তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে প্রায় ৫ কোটি শিক্ষার্থী রয়েছে। যা অস্ট্রেলিয়ার মোট জনসংখ্যার দ্বিগুণ। এর চেয়েও আনন্দের বিষয় যে আমাদের ছেলে-মেয়েরা লেখাপড়ার সমান সুযোগ পায়। গত পরশু দিনের রেজাল্টে মেয়েরা ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে।

‘দেশে এত পড়ুয়া ছেলে-মেয়ে, আমরা তাদের সুশিক্ষিত করতে পারলে নাকে তেল দিয়ে ঘুমাতে পারি’- এই মন্তব্য করে ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, শিক্ষার্থীদের প্রতি বছর নতুন বই দেয়া হয়। সেই বই সংখ্যা ৪০ কোটি, চিন্তা করা যায়। এই বইগুলো যদি একটার পর আরেকটা করে সাজানো  হয়, তাহলে পৃথিবীর তিনবার ঘুরে আসা যাবে।

শিক্ষা আর গবেষণা খাতে সরকার অবদান রাখছে জানিয়ে তিনি অধ্যাপক জাফর ইকবাল বলেন, আগে পিএইচডি করার কোন ফান্ড ছিল না। এখন গবেষণার জন্য সরকার অনুদান দিচ্ছে।

এএইচএস/এসএমএম