• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২১, ১২:৫০ এএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ২০, ২০২১, ০৭:০৫ এএম

শেষ পর্ব

নারীর সম-অধিকারে ধার্মিকদের এত আপত্তি কেন?

নারীর সম-অধিকারে ধার্মিকদের এত আপত্তি কেন?
জাগরণ গ্রাফিক্স ডেস্ক।

অনেকের কাছে শোনা যায়, নারী সম্পত্তি পায় দুই জায়গা থেকে- পিতামাতার কাছ থেকে এবং স্বামীর কাছ থেকে। তাই সম্পত্তিতে নারীর সমান অধিকার কী দরকার? প্রশ্ন হচ্ছে পুরুষও কি দুই জায়গা থেকে সম্পত্তি পায় না? পুরুষ পিতামাতার কাছ থেকেও পায় আবার স্ত্রীর কাছ থেকেও পায়। অনেক শিক্ষিত মানুষ প্রশ্ন করে, স্বামী কি স্ত্রীর সম্পত্তি পায়? অবশ্যই পায়। মুসলিম উত্তরাধিকার আইনে নারী পাবে পুরুষের অর্ধেক। হোক তা ভাইবোনের ক্ষেত্রে বা স্বামী স্ত্রীর ক্ষেত্রে। পিতামাতার সম্পত্তিতে বোন পাবে ভাইয়ের অর্ধেক। স্বামীর সম্পত্তির দুআনা বা ৮ ভাগের এক ভাগ পাবে স্ত্রী, যদি স্বামীর সন্তান থাকে। আর সন্তান না থাকলে পাবে চার আনা বা ৪ ভাগের এক ভাগ। আবার, স্ত্রীর সম্পত্তির চার ভাগের এক ভাগ পাবে স্বামী, যদি স্ত্রীর সন্তান থাকে। আর সন্তান না থাকলে স্বামী পাবে স্ত্রীর সম্পত্তির অর্ধাংশ। (সুরা নিসা, আয়াত ১২)।

ধর্মশাস্ত্রগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, নারী স্বাধীন নয়; নারী পুরুষের অধীন; পুরুষের সেবাদাসী।                                                

সব ধর্মের ধার্মিকরাই বলে বেড়ান, তাদের ধর্ম নারীদের সম্মান দিয়েছে, মর্যাদা দিয়েছে, এটা দিয়েছে, ওটা দিয়েছে। মূলে কিছুই না। নারীর সম-অধিকার বা সম্পত্তির অধিকার দেয়ার প্রশ্ন তুললে সব ধার্মিকেরা বলেন, ওসবের কী দরকার? স্রষ্টা যেখানে তাদের এই অধিকার দেয়নি, সেখানে এসব প্রশ্ন অবান্তর। ধর্মশাস্ত্রগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, নারী স্বাধীন নয়; নারী পুরুষের অধীন; পুরুষের সেবাদাসী। হয়তো শাস্ত্রে দাসীদের সাথে ভালো আচরণ করার কথা আছে। দাসীদের সাথে ভালো আচরণ করেন আর কর্কশ আচরণ করেন- সবই নিজের কাজ ও স্বার্থ আদায়ের জন্যেই। কেননা, দাসীর তো মালিক হওয়ার সুযোগ নেই। তদ্রূপ নারীও দাসী। যেহেতু তাঁর মালিক হওয়ার সুযোগ নেই, থাকলেও অর্ধেক। আবার অর্ধেক থাকলেও বাস্তবে তার প্রয়োগ নেই। ইসলামি বিধান মতে, নারীর চলাফেরার অধিকার নেই, বাড়ির বাইরে বের হওয়ার স্বাধীনতা নেই। একান্ত প্রয়োজন হলে পুরুষ অভিভাবককে সঙ্গে নিয়ে বের হতে হবে। নারীকে পর্দা করতে হবে। পর্দাও এক ধরনের শৃঙ্খল। অভিভাবকত্ব, পর্দা সবই বৈষম্যের নিদর্শন। কেননা, পুরুষের জন্য এসবের দরকার নেই, আছে শুধু মেয়েদের বেলায়। এভাবে দেখা যায়, কোনও ভালো কাজে, সম-অধিকার ও মানবাধিকারে ধার্মিক ভাইদের অনুপস্থিতি। তবে সেসকল কর্মের বিরোধিতায় তারা সদা প্রস্তুত থাকে।

প্রাক-ইসলামি যুগে আরবে নারীর অধিকার ছিল না- এ বিষয়টি সংশয় সৃষ্টি করে। কেননা বিবি খাদিজা রাঃ ছিলেন একজন ধনী ব্যক্তি এবং আন্তর্জাতিক মানের ব্যবসায়ী। হযরত মুহম্মদ সঃ ছিলেন তাঁর একজন কর্মচারী। হিন্দা বিনতে উতবা, আবু সুফিয়ানের স্ত্রী ও মুয়াবিয়া রাঃ এর মাতা ছিলেন বিশিষ্ট নেত্রী। তিনি বদর যুদ্ধে, উহুদ যুদ্ধে কুরাইশ নেতৃবৃন্দের মধ্যে অন্যতম ছিলেন। তৌরাত কিতাবে অনেক নারী নেতৃত্বের কথা আছে।

মুসলিম ধার্মিক ভাইয়েরা বলে থাকেন, ইসলাম নারীদেরকে সবচেয়ে বেশি অধিকার দিয়েছে। ইসলাম পূর্বযুগে আরবে নারীদের কোনও অধিকার ছিল না। কন্যা সন্তানদেরকে জীবন্ত কবর দেয়া হতো, নারীদের মানুষ মনে করা হতো না ইত্যাদি। ধার্মিক ভাইদের প্রতি আমার নিবেদন, নারীদের বেশি অধিকার দেয়ার দরকার নেই; শুধু সমান অধিকার দিলেই চলবে। প্রাক- ইসলামি যুগে আরবে নারীর অধিকার ছিল না- এ বিষয়টি সংশয় সৃষ্টি করে। কেননা বিবি খাদিজা রাঃ ছিলেন একজন ধনী ব্যক্তি এবং আন্তর্জাতিক মানের ব্যবসায়ী। হযরত মুহম্মদ সঃ ছিলেন তাঁর একজন কর্মচারী। হিন্দা বিনতে উতবা, আবু সুফিয়ানের স্ত্রী ও মুয়াবিয়া রাঃ এর মাতা ছিলেন বিশিষ্ট নেত্রী। তিনি বদর যুদ্ধে, উহুদ যুদ্ধে কুরাইশ নেতৃবৃন্দের মধ্যে অন্যতম ছিলেন। তৌরাত কিতাবে অনেক নারী নেতৃত্বের কথা আছে। যেমন শিবার রানী বিলকিস যিনি রাজা সুলেমানকে কঠোর প্রশ্ন করেছিলেন। তারপরে উপঢৌকন বিনিময় করে বন্ধুত্ব দৃঢ় করেন। (১ রাজাবলি ১০ : ২ ও ১৩)। (কুরআনের সুরা আন নামল- এ শিবার রানীর কথা উল্লেখ রয়েছে)। যিহুদার রানী অথলিয়া রাজত্ব করেন ৬ বছর আনুমানিক খ্রিঃপূর্ব ৮৯৭–খ্রিঃপূর্ব ৮৯১। (২ রাজাবলি ১১ : ৩)। ইসরায়েলের রানী দবোরা। তিনি রাজত্ব করেন ৪০ বছর আনুমানিক খ্রিঃপূর্ব ১৩১৫-খ্রিঃপূর্ব ১২৭৫। (বিচারকর্তৃগণের বিবরণ ৫:৩১)। আরবের মক্কার কাবা ঘরে প্রায় ৩৬০ টি দেবদেবীর মূর্তি ছিল। প্রধান দেবতা ছিল হুবাল এবং তাঁর কন্যা লাত, উজ্জা ও মানাত ছিল প্রধান দেবী। সমাজে যদি নারীর মর্যাদা না থাকত বা তাকে যদি দাসী মনে করা হতো, তাহলে লাত, উজ্জা ও মানাত এত উচু মানের দেবী হওয়ার কথা ছিল না। এগুলো তো তৎকালীন আরব সমাজেরই একটি চিত্র।

আর কন্যা সন্তানদের জীবন্ত কবর দেয়া হতো- এ কথা কতটুকু বিশ্বাসযোগ্য সে প্রশ্ন তোলাই যায়। কন্যা সন্তানদের জীবন্ত কবর দেয়া হলে তো আরবে নারী শূন্য হয়ে যাওয়ার কথা। নারী শূন্য হয়ে গেলে তো পুরুষ বিয়ে করার জন্য নারী পাওয়ার কথা নয়। নারী পুরুষের মিলন ব্যতীত মানুষ সৃষ্টি হওয়ার কথা নয়। তখন নারীর ঘাটতি ছিল এমন প্রমাণ পাওয়া যায় না। কেননা প্রত্যেক পুরুষ একাধিক বিয়ে করত। হোক তিনি নবি বা রাসুল। তাহলে, নারীকে জীবন্ত কবর দিলে বিয়ে করার জন্য এত মেয়ে পেতো কিভাবে? বিষয়টি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। ঢাকা শহরের ডাস্টবিনে মাঝে মধ্যে শিশু বাচ্চা পাওয়া যায়। এটা কি প্রমাণ করে ঢাকা শহরের মানুষ সন্তানদের হত্যা করে ফেলে দেয়? এসব বিচ্ছিন্ন ঘটনা, ব্যতিক্রম। যদি তাই মনে করি যে প্রাক ইসলামি যুগে নারীদের কোনও অধিকার ছিল না আর রাসুল সঃ তাদেরকে সম্পত্তিতে পুরুষের অর্ধেক অধিকার দিয়েছেন, তাহলে আজকের যুগে রাসুল সঃ সম্পত্তিতে নারী পুরুষের সম-অধিকার দিতেন। হিন্দু ধর্মে নারী সম্পত্তি পায় না। কিন্ত হিন্দু প্রধান দেশ ভারত, নেপাল পৈত্রিক সম্পত্তিতে নারী পুরুষের সম-অধিকার দিয়েছে।

নারী-পুরুষের সম-অধিকারের ব্যাপারে সংবিধানে এতগুলো সুস্পষ্ট বিধান থাকার পরেও নারী পুরুষে বৈষম্য থাকা দুঃখজনক।

গঙ্গার জল অনেক গড়িয়েছে, সময় পরিবর্তিত হয়েছে। ইউরোপ, আমেরিকা, ভারত, চীন নারী পুরুষের সম-অধিকার আইনি স্বীকৃতি দিয়েছে। ইহুদি, খ্রিস্টান ধর্ম- তা মেনে নিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের সময় এসেছে উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে নারী পুরুষের সম-অধিকার মেনে নেয়া। বাংলাদেশ সরকারেরও এই বিষয়ে উদ্যোগী হওয়া দরকার। কেননা বাংলাদেশের সংবিধানে আছে নারী-পুরুষে কোনও বৈষম্য করা যাবে না। বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৮ (১) এ আছে, “কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী-পুরুষভেদ বা জন্মস্থানের কারণে কোনও নাগরিকের প্রতি রাষ্ট্র কোনও বৈষম্য প্রদর্শন করিবে না।” সংবিধানের এই অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নারী হওয়ার কারণে রাষ্ট্র তার প্রতি বৈষম্য প্রদর্শন করতে পারে না। করলে তা হবে সংবিধানের সুস্পষ্ট লংঘন। নারী পৈত্রিক সম্পত্তিতে অংশ পাবে না- এটা কি সংবিধানের সুস্পষ্ট লংঘন নয়? রাষ্ট্র সংবিধানের রক্ষক। রাষ্ট্র সংবিধান পালন না করলে নারী কোথায় আশ্রয় পাবে?  অনুচ্ছেদ ২৮ (২) এ আছে, “রাষ্ট্র ও গণজীবনের সর্বস্তরে নারী পুরুষের সমান অধিকার লাভ করিবে।” এই অনুচ্ছেদে নারী-পুরুষের সমান অধিকার দেয়া হয়েছে। সংবিধানের এই অনুচ্ছেদ বলে পৈত্রিক সম্পত্তিতে নারী পুরুষের সম-অধিকার দিয়ে সংসদে একটা আইন পাস করলেই হয়। সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদে আছে, “সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয়লাভের অধিকারী।” নারী-পুরুষের সম-অধিকারের ব্যাপারে সংবিধানে এতগুলো সুস্পষ্ট বিধান থাকার পরেও নারী পুরুষে বৈষম্য থাকা দুঃখজনক। সম্পত্তিতে নারীকে পুরুষের সম-অধিকার না দেয়া ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক ঘোষিত মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্রের পরিপন্থী। ওই ঘোষণার ১ নং ধারায় আছে, সমস্ত মানুষ সমান মর্যাদা এবং অধিকার নিয়ে জন্মগ্রহণ করে।

কাজী নজরুল ইসলাম ‘নারী’ কবিতায় বলেছেন,

‘‘বিশ্বের যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর

অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।’’

নারী যে পুরুষের চেয়ে কম কাজ করে না, কম সৃষ্টি করে না- তা নিজ গৃহের দিকে তাকালেই দেখা মেলে। আগে পুরুষ কাজ করত বাইরে, নারী করত গৃহে। এখন অনেক নারী ঘরে বাইরে উভয় জায়গায় কাজ করে। আগে গৃহকর্মের অন্ত ছিল না। আর তা করতে হতো নারীকে। আমি গ্রাম্য মহিলা ও মা-চাচীদের দেখেছি, তাঁরা সন্ধার অগে গোসল করার সময় পেতেন না। সারাদিন বিরামহীন কাজ করতেন। আমার মায়ের কথা বলছি। আমরা ৮ ভাইবোন। এক ভাই মারা গেছে। এখন তিন ভাই, চার বোন। মা এতগুলো সন্তান জন্ম দিয়ে লালন পালন করেও সংসারের যাবতীয় কাজ করতেন তিনিই। তাঁকে সাহায্য করার জন্য কোনও কাজের মহিলা ছিল না। তখন হালচাষ করার জন্য গরু ছিল। গোয়াল ঘরের ও আস্তাবলের (আতাল) গোবর ফেলানোর কাজ ছিল মায়ের। মা গোবর রোদে শুকিয়ে ঘুঁটে বানাতেন জ্বালানী হিসেবে ব্যবহারের জন্য। শীতকালে গোয়াল ঘরে গরুর জন্য নাড়া (খড়) বিছিয়ে দিতেন। কয়েকদিন পর পর তা বদল করে দিতেন। বাড়িতে নানা ধরনের শস্য আসত। শরিষা, মসুর, ছোলা, কলাই, কালাই, মুগ, তিল, পেঁয়াজ, পেঁয়াজের দানা, পেঁয়াজের গুঁটি, রসুন, ধান, গম, পাট প্রভৃতি। এগুলো ক্ষেত থেকে বাড়িতে আনলেই হয় না। এগুলোকে প্রসেস করতে হয়। শরিষা, মসুর, ছোলা, কলই, কালাই, মুগ, তিল, গম গাছসহ কেটে আনা হয়। সেগুলো শুকিয়ে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে শস্য বের করা হয়। তারপর তা আবার রোদে শুকিয়ে বাতাসে উড়িয়ে ধুলাবালি পরিস্কার করে ঘরে সংরক্ষণ করা হয়। তখন পাকা বাড়িঘর ছিল না। মাঝে মধ্যে ঘরবাড়ি লেপতে হতো। এঁটেল মাটি পানি দিয়ে গুলিয়ে ঘর লেপা হতো। গোবরপানি গুলিয়ে ঘরের বাইরের অংশ লেপা হতো। আর রান্নাবান্না তো আছেই। রান্নার জন্য জ্বালানী ছিল নাড়া, খড়, ঘুঁটে, তুষ ইত্যাদি। তখন ধান ভাঙ্গানো মেশিন ছিল না। ঢেঁকি দিয়ে চাল ছাটতে হতো। ঢেঁকি পাড়াতে পাড়াতে অনেকে সন্তানও প্রসব করে ফেলত। এসব কাজ মহিলাদেরই করতে হতো, আমার মা-কেও করতে হতো। এত কিছু করার পরও আমার মায়ের কোনও অধিকার ছিল না; এখনও নেই। এরপরেও আমার পিতা মাকে মারতেন, পেটাতেন, বকাঝকা করতেন, বাড়ি থেকে চলে যেতে বলতেন। এই রকমই ছিল সমাজে মহিলাদের অবস্থা। হয়তো আমার বাবা একটু বেশি অবিবেচক, বেশি রাগী ছিলেন। তখন মায়েরা এত পরিশ্রম করেও নিজের হাতে রান্না করে পেট পুরে ভালো খাবারটা খেতে পারতেন না। ভালোটা খেতেন স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি, সন্তানেরা। নিজে খেতেন উচ্ছিষ্টটুকু। এসব বিবেচনা করলে নারী দাসী ব্যতীত ভিন্ন কিছু নন। এখন শহরে এই সবের পরিবর্তন ঘটলেও গ্রামে খুব পরিবর্তন হয়নি।

নারীকে মানুষ বিবেচনা করলে, দাসত্ব থেকে মুক্ত করতে চাইলে, তাঁকে পিতামাতার সম্পত্তিতে পুরুষের সম-অধিকার দিতে হবে। শুধু তাই নয়, স্বামীর সম্পত্তিতে স্ত্রীর, স্ত্রীর সম্পত্তিতে স্বামীর সম-অধিকার থাকা উচিত। যেটা ইউরোপ, আমেরিকা ও চীনে আছে। কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘মহুয়া’ কাব্যগ্রন্থে ‘সবলা’ কবিতায় বলেন,

‘‘নারীকে আপন ভাগ্য জয় করিবার

কেন নাহি দিবে অধিকার

হে বিধাতা?’’

 

লেখকসহযোগী অধ্যাপক, ইতিহাস বিভাগ, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ, ফরিদপুর। ই-মেইল- rejaulkarim1975@gmail.com

 

দ্রষ্টব্যঃ প্রকাশিত লেখাটি লেখকের একান্ত নিজস্ব মতামত এবং এর দায়-​দায়িত্বও লেখকের একান্ত নিজস্ব।

আরও পড়ুন