• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১, ২০১৯, ০২:৩৭ পিএম

মানিকগঞ্জে তামাক চাষে কমছে কৃষিজমি

মানিকগঞ্জে তামাক চাষে কমছে কৃষিজমি
মানিকগঞ্জে বাড়ছে তামাক চাষ -ছবি : জাগরণ

 

মানিকগঞ্জে দ্রুত কমে যাচ্ছে কৃষিজমি। বেশি লাভ হওয়ার কারণে তামাক চাষে ঝুঁকে পড়েছে কৃষকেরা। যে সব জমিতে বোরো ধান, ভুট্টাসহ বিভিন্ন রবি শস্য উৎপাদন হতো; বেশি লাভ ও বিক্রির নিশ্চয়তা পেয়ে তারা তামাক চাষ করছেন। 

কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর মানিকগঞ্জে এক হাজার ৫৪১ হেক্টর জমিতে তামাক চাষ হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এর চেয়ে অনেক বেশি জমিতে তামাক চাষ হয়েছে বলে কৃষকরা জানায়। আগে সাটুরিয়া ও ঘিওর উপজেলায় তামাক চাষ হতো। বর্তমানে জেলার সকল উপজেলায় তামাক চাষ হচ্ছে।  

সাটুরিয়া উপজেলার তিল্লী এলাকার কৃষক কালু, শরিফসহ অনেকেই জানায়, ধান চাষে লোকশান হয়। কিছুদিন ভুট্টা চাষ করেছি। তামাকে বেশি লাভ হওয়ার কারণে এখন তামাক চাষ করছি। তাছাড়া সিগারেট কোম্পানির লোকেরা সব সময় খোঁজখবর নেয়, বীজ সারের ব্যবস্থা করে দেয় এবং ভাল দামে কিনে নেয়। এসব কারণে এ এলাকায় তামাক চাষ বেড়ে যাচ্ছে। 

বাড়ি সংলগ্ন জমিতেও তামাক চাষ হচ্ছে। ফলে তামাকের ঝাঁঝালো গন্ধে বাড়ির শিশু ও বৃদ্ধরা হাঁচি-কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছে। তামাক চাষ ছাড়াও প্রতিবছর নদীভাঙন, ইটভাটায় উর্বর মাটি ব্যবহারসহ বিভিন্ন ভাবে কৃষিজমি কমে যাচ্ছে। ফলে জেলায় খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কা করছেন বিশিষ্টজনেরা। 

যেসব জমিতে ধান, গম, আলু, পেঁয়াজসহ বিভিন্ন পণ্য উৎপাদিত হয় নিয়ম না থাকলেও প্রতিবছর তিন ফসলি জমির উপর নির্মিত হচ্ছে ইটভাটা। সেসব ইটভাটায় কৃষিজমির উপরিভাগের মাটি ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে উর্বর শক্তি হারিয়ে জমি চাষের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। আবার অনেক জমি মাটিকাটার কারণে গভীর পুকুরে পরিণত হচ্ছে।

মানিকগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ হাবিবুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘তামাক চাষে কৃষকদের নিরুৎসাহিত করার পরেও সিগারেট কোম্পানির লোভনীয় প্রস্তাবে লোকজন ব্যাপক হারে তামাক চাষ করে যাচ্ছে। তবে আমরা তামাক চাষের কুফল কৃষকদের মাঝে প্রচার করছি। গতবারের চেয়ে এবার মানিকগঞ্জে তামাক চাষ কিছুটা কমেছে।

এনএ