• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৯, ০২:৪০ পিএম

৮ বছরে তামাকের ব্যবহার কমেছে ১৮.৫ শতাংশ

৮ বছরে তামাকের ব্যবহার কমেছে ১৮.৫ শতাংশ


২০০৯ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত, এই ৮ বছরে বাংলাদেশে তামাকের ব্যবহার ১৮.৫ শতাংশ কমেছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

এছাড়া ২০২৫ সাল নাগাদ তামাকের ব্যবহার ৩০ শতাংশে নামিয়ে আনা এবং ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে সম্পূর্ণ তামাক মুক্ত করা সম্ভব বলেও উল্লেখ করেন তিনি।  

আজ মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য এবং  ভবিষ্যত পরিকল্পনার কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

‘আত্ম-জিজ্ঞাসা’ শিরোনামের মাসমিডিয়া ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পক্ষে তার লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমান খান। 

ভাইটাল স্ট্রাটেজিসের বাংলাদেশ হেড অব প্রোগ্রামস মো. শফিকুল ইসলামসহ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ২০০৯ সালে বাংলাদেশে তামাকের ব্যবহার ছিলো ৪৩.৩ শতাংশ, যা সরকারের নানা উদ্যোগে ২০১৭ সালে ৩৫.৩ শতাংশে নেমে আসে। রিলেটিভ রিডাকশন বিবেচনায় (অপক্ষোকৃত হ্রাস) নিলে ৮ বছরে (২০০৯-২০১৭) বাংলাদেশে তামাকের ব্যবহার কমেছে ১৮.৫ শতাংশ। 

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ২০২৫ সাল নাগাদ তামাকের ব্যবহার ৩০ শতাংশে নামিয়ে আনা এবং ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে সম্পূর্ণ তামাক মুক্ত করা সম্ভব হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, তামাকের উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সেবন, প্রতিটি ক্ষেত্রেই পরিবেশ, জনস্বাস্থ্য অর্থনীতির মারাত্মক ক্ষতি করে। ধূমপান ও ধোঁয়াবিহীন তামাক সেবন- দুটোই ভয়াবহ ও প্রাণীঘতী নেশা। এতে আরো উল্লেখ করা হয়- তামাকের কারণে প্রতি বছর পৃথিবীতে ৭০ লক্ষাধিক মানুষের অকাল মৃত্যু হয়। এর মধ্যে পরোক্ষ ধূমপানেই মৃত্যু হয় ৯ লক্ষ মানুষের। 

‘ধূমপানকে মাদক সেবনের প্রবেশ পথ’ উল্লেখ করে লিখিত বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এর থেকে নতুন প্রজন্মকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান।
 
এমএম/আরআই