• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ১, ২০১৯, ০৯:৪৩ এএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ১, ২০১৯, ০৭:১২ পিএম

বনানীর অগ্নিকাণ্ডে থলের বিড়াল বেরিয়ে গেছে: তথ্যমন্ত্রী 

বনানীর অগ্নিকাণ্ডে থলের বিড়াল বেরিয়ে গেছে: তথ্যমন্ত্রী 
বক্তব্য রাখছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ


বনানীর অগ্নিকাণ্ডে থলের বিড়াল বেরিয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন সরকারের তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, বনানীতে আগুন লাগার পর বিএনপি সংবাদ সম্মেলন করে বলছে দেশে গণতন্ত্র না থাকায় সেখানে আগুন লেগেছে। আগুনের সাথে গণতন্ত্রের কি সম্পর্ক। পুরান ঢাকায় আগুন লাগার পরও তারা এই কথা বলেছিল।

রবিবার বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, আসলে বনানীর অগ্নিকাণ্ডে থলের বিড়াল বেরিয়ে গেছে। ১৮ তলা ভবনের অনুমোদন নিয়ে আরও ৫ তলা বাড়ানো হয়েছে। বর্ধিত ৫ তলার মালিক বিএনপির কুড়িগ্রাম জেলার সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য তাসবিরুল ইসলাম। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও রিজভী সাহেব কি বলবেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি অভিযোগ করছে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র না কিনে, সমরাস্ত্র কিনছে। বিএনপির কাছে আমার প্রশ্ন তাহলে কি আমাদের সমরাস্ত্র কিনতে হবে না। বিশ্বের সাথে প্রতিযোগিতায় আমাদের সেনাবাহিনী শান্তিরক্ষার ক্ষেত্রে উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। আমাদের সেনা সদস্যরাই শুধু বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে আসছে তা নয়। আমাদের সমরাস্ত্রের জন্যেও জাতিসংঘ পয়সা দেয়। নিজেদের প্রয়োজনেই আমাদের সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী করতে হবে। 

আওয়ামী লীগের এ মুখপাত্র বলেন, আমি মনে করি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে তার বিরুদ্ধে বিএনপির সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া উচিত। আপনারা সেটি না করে সব কিছুকে রাজনীতিকরণ করার চেষ্টা করছেন। আমি আপনাদেরকে অনুরোধ জানাবো রাজনীতিকরণ না করে সবাই মিলে আর্তপীড়িতদের পাশে দাঁড়াই। আর যারা বিল্ডিং কোড না মেনে ভবন নির্মাণ করছে, আর যারা বিল্ডিং কোড অনুযায়ী ভবনের অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র রাখছে না। তাদের বিরুদ্ধে সকল দলমত নির্বিশেষে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলি। ভবিষ্যতে আমরা যাতে এ ধরনের দুর্যোগ থেকে মুক্তি পাই। তাহলে আমরা জনগণকে রক্ষা করতে পারবো।

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা আসার পর ফায়ার স্টেশন ও ফারায় সার্ভিসের জনবল বৃদ্ধি পেয়েছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে বাংলাদেশ ফায়ার স্টেশন ছিলো ২০৪টি। এখন ফায়ার স্টেশন ৪০২টি। জনবল ছিলো ৪ হাজার ৩৭৭ জন। বর্তমানে ১০ হাজার ৮শ ৮০ জন। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ৪৯টি ক্যাটাগরিতে অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম কিনেছে। ফায়ার সার্ভিসকে আরও আধুনিকায়ন করার কাজ করে যাচ্ছে।

বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের স্টিয়ারিং কমিটির সভাপতি অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরীর সভাপতিত্বে আলোচনায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএফইউজের সভাপতি মোল্লা জালাল, মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আখতার হোসেন, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সহসভাপতি রফিকুল আলম, সহসভাপতি অভিনেত্রী ফারহানা আমিন নতুন, জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা, জোটের নেতা এসডি রুবেল, মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বাবলু, আওয়ামী লীগ নেতা মোত্তাছিম বিল্লাহ, লিয়াকত আলী খান, জি.এম আতিক, কন্ঠশিল্পী বৃষ্টি রাণী সরকার, কন্ঠশিল্পী মাধবী সরকার প্রমুখ।

টিএস/আরআই