• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ১, ২০১৯, ০১:৫৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ১, ২০১৯, ০৯:১৮ পিএম

বিশেষায়িত হাসপাতালে খালেদার চিকিৎসা দাবি ফখরুলের

বিশেষায়িত হাসপাতালে খালেদার চিকিৎসা দাবি ফখরুলের
বিএসএমএমইউ হাসপাতালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ- ছবি: কাশেম হারুন

 

আবারো বিশেষায়িত হাসপাতালে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার দাবি জানিয়েছে বিএনপি। সোমবার (১ এপ্রিল) দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে এসে সাংবাদিকদের মাধ্যমে এ দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এরআগে দুপুর ১২ টা ৩৭ মিনিটে ঢাকার পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে খালেদা জিয়াকে বহনকারী কালো রঙের গাড়িটি হাসপাতালে পৌঁছায়।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা বারবার বলেছি, বিএসএমএমইউতে বেগম জিয়া চিকিৎসা নিতে আসতে চান না। কারণ এখানে তিনি মনে করেন তার যথাযথ চিকিৎসা হচ্ছে না। এজন্য আমরা বারবার বলেছি, তাকে একটি বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য। কিন্তু সরকার এই কথাগুলোকে কর্ণপাত করেনি। তাকে আজকে আবারও এখানে নিয়ে এসেছে।

তিনি বলেন, আমরা বেগম জিয়ার স্বাস্থ্যের ব্যাপারে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন ও শঙ্কিত।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা আশা করবো। সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। যাতে এখানে বেগম জিয়াকে সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেয়া হয় এবং ভালো পরিবেশ যাতে তৈরি করা হয়। সুতরাং এখানে তাকে এমনভাবে যাতে রাখা না হয় তিনি যেন মনে না করেন তাকে বন্দী অবস্থায় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

 

এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ আছে যে, বেগম জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করেই তার চিকিৎসা করবে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে কারাগারে আটক করে রাখা হয়েছে। তিনি কারাগারে অত্যন্ত অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। গতবারও বেগম জিয়ার চিকিৎসকদের ছাড়পত্র ছাড়াই তাকে বিএসএমএমইউতে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতাল থেকে নেয়ার পর কোন ডাক্তার তাকে দেখেননি। এমনকি যে মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছিল, সেই মেডিকেল বোর্ডকে জেল কর্তৃপক্ষ নিয়ে যাননি।

তিনি বলেন, প্রায় ৪ মাস পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আমরা দেখা করার পর প্রথমবারের মতো কারাগারে মেডিকেল বোর্ড নিয়ে যায়। কিন্তু তারা শুধুমাত্র বেগম জিয়ার সঙ্গে কথা বলেন। তারপর শুধুমাত্র রক্ত পরীক্ষা হয়। আর রক্ত পরীক্ষার প্রায় এক মাস পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে।

টিএস/টিএফ