• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৯, ২০১৯, ০২:৩৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ১৯, ২০১৯, ০৮:৪০ পিএম

সংসদে যাবে না বিএনপি

সংসদে যাবে না বিএনপি

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দল থেকে নির্বাচিত ৬ জন শপথ গ্রহণ ও সংসদে যাবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আর এই সিদ্ধান্তের কোন পরিবর্তন হবে না বলেও জানিয়েছেন দলটির নীতি নির্ধারকরা।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল থেকে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার মিলনায়তনে শত নাগরিক আয়োজিত ‘খালেদা জিয়া তৃতীয় বিশ্বের কণ্ঠস্বর’ গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসবে বিএনপির সিনিয়র নেতারা এ কথা জানান। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক জীবনের উপর এই গবেষণা গ্রন্থটি সম্পাদনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ ও কবি আবদুল হাই শিকদার। 

প্রকাশনা অনুষ্ঠানে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, হতাশ হবেন না। হতাশার কথা  শুনতে চাই না। বিএনপি নিঃশেষ হয়ে যায়নি। যারা বলেন, বিএনপি নিঃশেষ হয়ে গেছে- আমি তাদের সাথে একমত না। বিএনপি প্রতিটি সংকটের মূহুর্তে উঠে দাঁড়িয়েছে এবং জনগণকে সাথে নিয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ বিএনপি দেশের জনগণের দল। 

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, বিএনপিকে ভেঙে ফেলার জন্য বারবার চেষ্টা হয়েছে। বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য বারবার চেষ্টা হয়েছে। এবারও বেগম জিয়া কারাগারে একটি কারণে, সেটা হলো- বিএনপিকে নিঃশেষ করা। বিএনপিকে ধ্বংস করে বেগম জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে সরে দেয়া। কিন্তু সম্ভব হবে না, হতে পারে না। কারণ বিএনপি ও বেগম জিয়ার রাজনীতি হচ্ছে, এদেশের মানুষের রাজনীতি। তাই কখনও হতাশ হবেন না। হতাশার কথা বলবেনও না। আমরা সবাই অত্যন্ত আশাবাদী। আমরা বিশ্বাস করি- আমাদের নেত্রী জেলে থাকুন আর বাইরে থাকুন, তিনিই আমাদের অনুপ্রেরণা। তিনিই এদেশের হারানো, লুট হওয়া গণতন্ত্রকে মুক্ত করবেন। 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য  ড. মোশাররফ হোসেন বলেন, দেশে  অস্বাভাবিক  অবস্থা  চলছে। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে হলে গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে হবে। আর গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।

দলটির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, বিএনপি থেকে নির্বাচিত ৬ জনের সংসদে যাওয়ার প্রশ্নই উঠে না। কারণ আমরা দলীয় সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কেউ শপথ নেবে না। আমরা স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সুতরাং এখানে কোন পরিবর্তন ও ফিরে যাওয়ার প্রশ্ন আসে না।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তির কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু প্যারোলে মুক্তির বিষয়টি তাদের কাছে ঠাট্টা ও মশকরা ছাড়া আর কিছু নয়। আর এ ধরণের অসঙ্গতি প্রস্তাব সরকারের কাছ থেকে আসতে পারে না এবং আসবে না। 

সূচনা বক্তব্যে গ্রন্থ প্রকাশনা উৎসবের সভাপতি অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, এই বইটি বিক্রি করে যে পয়সা হবে, সেই পয়সা আমি নেবো না। এই অঙ্গীকার নিয়ে আমি বইটি লিখেছি। আর এই টাকা দিয়ে আমরা একটি ফাউন্ডেশন তৈরি করবো।

প্রকাশনায় শত নাগরিক কমিটির আহবায়ক ড. এমাজউদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী,বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

‘খালেদা জিয়া তৃতীয় বিশ্বের কণ্ঠস্বর’ এই ৮৬০ পৃষ্ঠার বইটির লেখক হলেন ১২ জন এবং বিষয় সূচি হয়েছে ১২টি। এই ১২ জন লেখক হলেন অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ, ড. মুস্তাফিজুর রহমান, ড. হাসান মোহাম্মদ, ড. আবদুল লতিফ মাসুম, শওকত মাহমুদ, আবদুল হাই শিকদার, ড. দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন, ড. মাহফুজ পারভেজ, সৈয়দ আবদাল আহমদ, ড. ফজলুল হক সৈকত, কাজী মোহাম্মদ মাহাবুবুর রহমানসহ অন্যরা। 

টিএস/টিএফ