• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৯, ২০১৯, ০২:৪৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ১৯, ২০১৯, ০২:৪৬ পিএম

শপথ নেয়ার প্রশ্নই আসে না : মওদুদ

শপথ নেয়ার প্রশ্নই আসে না : মওদুদ
রিস্টার মওদুদ আহমদ - ফাইল ছবি

একাদশ জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির নির্বাচিত ৬ জনের শপথ নেয়ার প্রশ্নই আসে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। 

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে শত নাগরিক কমিটির আয়োজনে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদের লেখা ও সম্পাদনায় ‘খালেদা জিয়া-তৃতীয় বিশ্বের কণ্ঠস্বর’ শীর্ষক গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসবে তিনি এসব কথা বলেন।

ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত সংসদে যাওয়া নিয়ে কোনো আলোচনা নয়। নির্বাচিতদের শপথ নেয়ার প্রশ্নই আসে না। এই সিদ্ধান্ত আমরা আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সম্মতিক্রমে স্থায়ী কমিটির সদস্যরা নিয়েছি। সুতরাং এই সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে আসার প্রশ্নই আসে না। বিষয়টা এখানেই নিষ্পত্তি হওয়া প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।

বিএনপির ওপর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সীমাহীন নির্যাতন বিএনপিকে আরও বেশি শক্তিশালী করেছে মন্তব্য করেন তিনি। আওয়ামী লীগের এই নির্যাতন-দুর্বিচারের কারণে বিএনপি আগামী শত বছর রাজনৈতিক দল হিসেবে টিকে থাকবে- উল্লেখ করে মওদুদ বলেন, আওয়ামী লীগের এই সীমাহীন অত্যাচার আর নির্যাতন বিএনপিকে আরও বেশি শক্তিশালী আর প্রতিষ্ঠিত করেছে।

বিএনপির সিনিয়র এই নেতা আরও বলেন, রাজনৈতিক কারণে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় বেগম জিয়া আজ কারারুদ্ধ। সরকারের ইচ্ছা থাকলে তিনি আরও আগেই মুক্তি পেতেন। তার সবগুলো মামলা জামিনযোগ্য হলেও আমরা তাকে মুক্ত করতে পারছি না। তারপরও বলতে চাই, তিনি আমাদের মধ্যে যত শিগগিরই ফিরে আসবেন ততই আমাদের মঙ্গল। তার ফিরে আসা মানেই হলো বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরে আসা।

প্রকাশনা উৎসবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস-চেয়ারম্যান ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়াও বইটির দুই লেখক অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমেদ ও কবি আব্দুল হাই শিকদার উপস্থিত ছিলেন।

টিএস/ এফসি