• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: এপ্রিল ২০, ২০১৯, ০৫:০৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ২০, ২০১৯, ০৫:০৪ পিএম

স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির আগেই সফল হব, আশাবাদ ড. কামালের

স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির আগেই সফল হব, আশাবাদ ড. কামালের
আরামবাগের ইডেন কমপ্লেক্সে গণফোরাম কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের নির্বাহী কমিটির বৈঠকে ড. কামাল হোসেন; ছবি- দৈনিক জাগরণ


গণফোরামের সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান নেতা ড. কামাল হোসেন বলেছেন, দেশের জনগণ আন্দোলনের মাধ্যমে সফল হবে। কোটা ও নিরাপদ সড়ক আন্দোলনসহ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যেসব তরুণরা সম্পৃক্ত ছিল, তাদের জন্য সামনের দিনগুলোতে উজ্জ্বল ভবিষ্যত অপেক্ষা করছে। আমরা স্বাধীনতার ৫০ বর্ষ পূর্তির আগেই সফল হব। 

শনিবার ( ২০ এপ্রিল) নিজের ৮৩তম জন্মদিনে তিনি আশাবাদ প্রকাশ করে বলেন, গণফোরাম এখন আগের চেয়ে শক্তিশালী হয়েছে। একে আরও শক্তিশালী করতে দলীয় নেতাকর্মীদের এগিয়ে আসতে হবে। 

আরামবাগের ইডেন কমপ্লেক্সে গণফোরাম কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের নির্বাহী কমিটির বৈঠকে দেয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের ৮৩তম জন্মদিন উপলক্ষে এ সভা আহ্বান করে দলটি। দলীয় প্রধানের জন্মদিনে নেতাকর্মীদের ফুলেল ভালবাসায় সিক্ত হন ড. কামাল হোসেন। তিনি দলীয় নেতাকর্মী ও শুভাকাঙ্খীদের নিয়ে জন্মদিনের কেক কাটেন।

ড. কামাল হোসেন বলেন, দেশ আরও এগিয়ে যাবে। গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সবাইকে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। এবার ভালো ভালো লোকজন এগিয়ে এসে আমাদের দলে (গণফোরামে) যোগ দিয়েছেন। তারা যোগদান করছেন এজন্য যে, আমাদের দল কর্মক্ষম, আমাদের দলের জনপ্রিয়তা বাড়ছে এবং তারা এসে অবদান রাখতে চান।

তিনি বলেন, আমাদের সবচেয়ে বড় কাজ হবে সাংগঠনিক কাজে নিজেদের নিয়োজিত করা। এজন্য সদস্য সংগ্রহ বাড়াতে হবে। আমরা মনে করি, গণফোরাম দেশের জাতীয় দল, যেখানে সকল মহলের প্রতিনিধিত্ব থাকবে।

রাজনীতিতে ‘গঠনমূলক’ পরিবর্তন আনতে হবে জানিয়ে ড. কামাল বলেন, যে পরিবর্তন সবাই চাচ্ছে সেটা হচ্ছে কার্যকর গণতন্ত্র। আমাদের এই গঠনমূলক রাজনীতির মধ্য দিয়ে, গঠনমূলক কর্মসূচির ভিত্তিতে যে রাজনীতি দেশে গড়ে উঠছে, তার মধ্য দিয়ে আগামীতে দেশে আকাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আমরা আনতে পারবো।

গণফোরামকে শক্তিশালী করার উপর জোর দিয়ে ড. কামাল হোসেন বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে শক্তিশালী সংগঠন ছাড়া অর্থপূর্ণ কাজ করা যাবে না। দেশে পরিবর্তন আনা যাবে না। আমরা গর্ব করি যে, আমরা টাকার বিনিময়ে রাজনীতি করি না। আমরা ধর্মকে কাজে লাগিয়ে রাজনীতি করি না। আমরা জনগণের ওপর ভিত্তি করি অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি করি।

আরামবাগের ইডেন কমপ্লেক্সে গণফোরামের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কামাল হোসেন পৌঁছালে নেতাকর্মীরা ফুল দিয়ে তাকে শুভেচ্ছা জানান। তাদের নিয়ে পরে কেক কাটেন তিনি। 
দলের নির্বাহী সভাপতি এ্যাড. সুব্রত চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু দলের সভাপতিকে কেক খাইয়ে দেন। বৈঠকে শুরুর আগে জন্মদিনের এই সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে একজন শিল্পী দুটি গানও গেয়ে শোনান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন গণফোরাম নেতা মফিজুল ইসলাম খান কামাল, আলতাফ হোসেন, সিরাজুল হক, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, ড. রেজা কিবরিয়া, আ ম সা আ আমিন, মহসিন রশিদ, জগলুল হায়দার আফ্রিক, মোশতাক আহমেদ, রফিকুল ইসলাম পথিক প্রমুখ।

প্রসঙ্গত: বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ড. কামাল হোসেনের গ্রামের বাড়ি বরিশালের শায়েস্তাগঞ্জে হলেও তিনি ১৯৩৭ সালে কলকাতায় জন্ম গ্রহণ করেন। বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী হামিদা হোসেন তার স্ত্রী। তাদের দুই মেয়ে ব্যারিস্টার সারা হোসেন ও দিনা হোসেন।
স্বাধীনতার আগে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হওয়া ড. কামাল হোসেন ১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান তৈরি কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলে তিনি প্রথমে আইনমন্ত্রী, পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। 
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যও ছিলেন কামাল। ১৯৯২ সালে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডের সঙ্গে মতবিরোধে দল থেকে বেরিয়ে এসে ১৯৯৩ সালে তিনি নতুন রাজনৈতিক দল গণফোরাম গঠন করেন। তিনি দলটির সভাপতি। বিগত জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের প্রধান বিরোধীদল বিএনপির সঙ্গে নতুন রাজনৈতিক জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করেন ড. কামাল হোসেন। তিনি এ জোটের আহ্বায়ক।

টিএস/আরআই