• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ২১, ২০১৯, ০৮:৩৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ২১, ২০১৯, ০৮:৩৩ পিএম

তারেক-জোবাইদার পাচারকৃত অর্থ ফেরানোর চেষ্টায় অনুসন্ধানে দুদক

তারেক-জোবাইদার পাচারকৃত অর্থ ফেরানোর চেষ্টায় অনুসন্ধানে দুদক
তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমান (ডানে)

 

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বড় ছেলে লন্ডনে পলাতক তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানের পাচারকৃত অর্থ দেশে ফেরানোর চেষ্টা করছে দুদক।

মানি লন্ডারিং অভিযোগ তদন্ত করতে গিয়ে দুদক এই উদ্যোগ নিয়েছে।

এর আগে পলাতক থাকায় খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে(মৃত) আরাফাত রহমান কোকোর পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছিল।

দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল জানান, ‘‘খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর টাকা ফেরত আনা হয়েছিল। এবার বড় ছেলে তারেক রহমান ও স্ত্রী জোবাইদা রহমানের অর্থও দেশে ফেরত আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’’ 

এরইমধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনের একটি টীম অনুসন্ধান শুরু করে দিয়েছে ব্রিটেনে থাকা তারেক দম্পতির তিনটি ব্যাংক হিসাবের বিষয়ে।

অনুসন্ধান শেষে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করা হবে বলে জানান দুদকের ওই আইনজীবী।

তিনি জানান, এর আগে তিন দফায় কোকোর পাচার করা ২০ কোটি ৮৮ লাখ ৭০ হাজার টাকার সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রা দেশে ফেরত আনা হয়। এছাড়া সাবেক তত্বাবধায়ক সরকারের শাসনামলে ২০১১ সালের ২৩ জুন মানি লন্ডারিংয়ের অপরাধে আদালত কোকোকে ছয় বছরের কারাদণ্ডসহ ৩৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকা জরিমানাও করেছিল আদালত।

দুদকের একাধিক আইনজীবী বলেছেন, গত বুধবার তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানের নামে ইংল্যান্ডের ব্যাংকে থাকা তিনটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ইমরুল কায়েস।

দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত এই আদেশ দেন।

জানা গেছে, বাংলাদেশ থেকে সন্দেহজনক লেনদেন হওয়ার অভিযোগে ব্রিটেনের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (এফআইইউ) তিনটি ব্যাংক হিসাব আগেই জব্দ করা হয়।

দুদকের কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম মনে করছে ওই অর্থের বিষয়ে এখনই কোনো ব্যবস্থা না নিলে পরবর্তীতে ওই টাকা বেহাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান জাগরণকে বলেন, গত বছর বিএনপির তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের মানি লন্ডরিং বিষয়ে দুদকের একটি অনুসন্ধান শুরু হয়। ব্রিটেনে এফআইইউ তদন্ত করে তাদের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে রেখেছে।

দুদক অনুসন্ধান করে দেখেছে ওই হিসাব জব্দ করা প্রয়োজন।

মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ১৪ (১) ধারা অনুযায়ী দেশে বা দেশের বাইরে থাকা ব্যাংক হিসাব জব্দ করতে পারে। তিনি বলেন, আমাদের আদালতের আদেশটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে। সে দেশের মন্ত্রণালয় আদেশটি ওই ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট পৌঁছে দেবেন।

মিউচ্যুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিসটেন্স অ্যাক্ট অনুযায়ী তারা এই আদেশ মানতে বাধ্য। বাংলাদেশ ১৩৮ দেশের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ রয়েছে।

আইনজীবী খুরশিদ আলম খানের দেয়া তথ্য মতে, এর আগে বিএনপির সমর্থিত সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোরশেদ খানের ব্যাংক হিসাব হাইকোর্টের মাধ্যেমে ফ্রিজ করা হয়েছিল। সে তথ্যও হংকং পুলিশ বাংলাদেশকে জানিয়েছিল। এছাড়া রবিন চৌধুরী নামের একজন ও ড. খন্দকার মোশারফ হোসেনের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা আছে। তাদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং-এর মামলা চলছে।

তিনি বলেন, এখন এ সকল মামলার তদন্ত ও অনুসন্ধান চলছে। ওই বিষয় প্রমাণিত হলে অবশ্যই তারেক রহমান এবং তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করা হবে।

এইচএম/এসএমএম