• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ১৫, ২০১৯, ০৬:০৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ১৫, ২০১৯, ০৬:০৮ পিএম

ছাত্রলীগের কমিটি বাতিলের দাবিতে পদবঞ্চিতদের মানববন্ধন

ছাত্রলীগের কমিটি বাতিলের দাবিতে পদবঞ্চিতদের মানববন্ধন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলা পাদদেশে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে ছাত্রলীগের পদ বঞ্চিতরা -ছবি : জাগরণ

সদ্য ঘোষিত ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটি বাতিল এবং মধুর ক্যান্টিনে সংগঠনের নারী নেত্রীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন কমিটিতে ছাত্রলীগের পদ বঞ্চিতরা।

বুধবার (১৫ মে) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে তারা এ মানববন্ধন কর্মসূচি করেন। মানববন্ধন থেকে তারা ঘোষিত কমিটি বাতিল করে যোগ্যদের স্থান দেয়া এবং হামলায় জড়িতদের শাস্তির দাবি করেন। এছাড়া নারী নেত্রীদের ওপর হামলাকে ছোট ঘটনা বলায় আওয়ামী লীগ নেতাদের কড়া সমালোচনা করেন হামলার শিকার নেত্রীরা।

মানববন্ধনে নতুন কমিটিতে উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদপ্রাপ্ত ও ডাকসুর কমনরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক বিএম লিপি আক্তার বলেন, অনেকেই ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে। আমাদের উদ্দেশ্য যারা কমিটিতে এসেছে, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে, তাদের বাদ দিয়ে দক্ষ ও যোগ্যদেরকে নিয়ে কমিটি করা। 

এ সময় নতুন কর্মসূচির বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের ৪৮ ঘণ্টার সময় দেয়া ছিল। কাল বৃহস্পতিবার এটি শেষ হবে। তারপরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে কি কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

তিনি বলেন, এক বছর পর কমিটি হয়েছে, এখানে সবার মন জয় করে কমিটি করা সম্ভব নয়। আর যারা কমিটিতে স্থান পেয়েছে তাদের সমালোচনা সহ্য করার ক্ষমতা থাকতে হবে। যারা যোগ্যতা অনুযায়ী পোস্ট পেয়েছে তাদের আমরাও শুভেচ্ছা জানিয়েছি। কিন্তু অনেকেই রয়েছে যাদের কোন যোগ্যতাই নেই, তাদের বিরুদ্ধে অপকর্মের সাক্ষ্য, প্রমাণ রয়েছে। তারা কমিটিতে থাকলে ছাত্রলীগ প্রশ্নবিদ্ধ হবে।

এ সময় পদবঞ্চিতদের যুক্তিযুক্ত মত প্রকাশ করতে দেয়া দেওয়া হয়নি বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কমিটি গঠন করেছে, কিন্তু হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি। কমিটির সদস্যরাও আমাদের সঙ্গে আলোচনায় আসেনি। তাহলে এটা প্রহসন করা হলো আমাদের সঙ্গে।

আওয়ামী লীগ নেতারা হামলার ঘটনাকে সামান্য ঘটনা বলার বিষয়ে কমিটিতে উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদ পাওয়া নিপু ইসলাম তন্বী বলেন, আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের কাছে সম্মান প্রদর্শন করে জানতে চাই, মধুর ক্যান্টিনের ঘটনাটি কোন পর্যায়ে গেলে তাদের কাছে মনে হতো এটি বিশাল আকারের ঘটনা। আমাদের আর কতটুকু লাঞ্ছিত করলে তাদের কাছে মনে হতো ছাত্রলীগের নারীদের ওপর নির্যাতন হয়েছে। আমরা মারা যাওয়ার পরে কি ঘটনার সত্যতা প্রকাশ পেত?

তিনি বলেন, ছাত্রলীগের নিবেদিত প্রাণ হিসেবে মধুর ক্যান্টিনের মতো জায়গায় সংগঠনেরই কিছু ছোট-বড় ভাই দ্বারা নির্যাতিত হই, এরপর আর কোন মা-বাবা-ভাই-বোন ছাত্রলীগ করার জন্য তাদের ঘরের সন্তানকে পাঠাবে না। নারী নেত্রীরা বার বার নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। আর কত নারী নেত্রীর ওপর আঘাত আসলে টনক নড়বে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের। আমরা কবে নিস্তার পাবো?

তিনি বলেন, কোটা আন্দোলনের সময় ছাত্রলীগের নেত্রী এশার ওপর হামলা হয়েছে। এরপর তাকে অনেকেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন দেখে রাখবেন, তাকে মূল্যায়ন করা হবে। কোথায় সেই মূল্যায়ন? প্রশ্ন থেকে যায়।

মানববন্ধনে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ বঞ্চিত শতাধিক নেতা-কর্মী অংশ নেন। এতে কমিটি বাতিলসহ বিভিন্ন দাবি সম্বলিত ব্যানার বহন করেন তারা।

এমআইআর/এসএমএম