• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ১৯, ২০১৯, ০৩:০০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ১৯, ২০১৯, ০৩:০০ পিএম

আরামকে হারাম করে দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা : আমু

আরামকে হারাম করে দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা : আমু
‘শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু -ছবি : জাগরণ

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, বাংলার মানুষের মুক্তির দূত ও মুক্তি দিশারি হচ্ছেন শেখ হাসিনা। দেশে ও আন্তর্জাতিকভাবে যা কিছু অর্জন সবকিছুই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।

শেখ হাসিনা আরামকে হারাম করে দেশের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন।

রোববার (১৯ মে) রাজধানীর শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরে মিলনায়তনে ‘শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। 

আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপ-কমিটি আয়োজিত সেমিনারে আমু বলেন, শেখ হাসিনার অর্জন গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা ফিরিয়ে দেয়া। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা দিয়েছেন, দেশ দিয়েছেন, সেই দেশের কোনও চৌহদ্দি ছিল না, সেই দেশের কোনও সীমা নেই, না ছিল স্থল সীমানা, না ছিল জলের সীমানা। এই দেশ যে কেউ নিয়ে যেতে পারতো। সেই সীমানা নির্ধারণ করলেন শেখ হাসিনা। তিনি ইন্দিরা-মুজিব চুক্তি বাস্তবায়ন করলেন। সিটমহল সমস্যা সমাধান করলেন। আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করে সমুদ্রসীমা ফিরে আনলেন। পার্বত্য শান্তি চুক্তি করার মাধ্যমে ৩৫ বছরের রণাঙ্গনে শান্তি প্রতিষ্ঠা করলেন। মাতৃভাষা বাংলার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায় করলেন। 

আওয়ামী লীগের এই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ বলেন, শেখ হাসিনার রাজনৈতিক দূরদর্শিতাই রক্তপাত ছাড়া দেশকে সামরিক শাসন মুক্ত করেছেন। গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছেন। কোনও দেশে যদি সামরিক জান্তারা ক্ষমতা দখল করে, সেই দেশে বিনা রক্তপাতে, বিনা যুদ্ধে ক্ষমতা নেয়া যায় না। শেখ হাসিনার রাজনৈতিক নেতৃত্বের কারণেই সামরিক জান্তা স্বৈরশাসক হাত থেকে রাজনৈতিকভাবে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এই দেশে আজ বারবার নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন আসে। এই নির্বাচনকে কিভাবে কলুষিত করা হলো। বাংলাদেশ সংবিধানের সামরিক আইন জারি করার কোনো বিধান নেই। সুতরাং সামরিক সরকার গঠন করার পর জিয়াউর রহমান ও তার সরকারকে বৈধতা দেয়ার জন্যই প্রয়োজন ছিলো রেটিফিকেশনের। সেই রেটিফিকশনের করতে হলে দুই-তৃতীয়াংশ মেজরিটি লাগে সংসদে। দুই-তৃতীয়াংশ মেজরিটি নেয়া জন্য প্রথম জিয়াউর রহমানের নির্বাচনি কারচুপি শুরু করে। এরশাদের আমলে আরও রেটিফিকশন করে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করা হয়। আজকে যারা বড় বড় কথা বলেন এ দেশের নির্বাচন প্রক্রিয়া হত্যা, গণতন্ত্র হত্যার মূল হোতাই তো তারা।

সাবেক শিল্পমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এদেশে গণতন্ত্র ফিরে এসেছে৷ বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন একটি সুখি সমৃদ্ধশালী বাঙালি জাতি বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত হোক। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা দিয়েছেন, তিনি অর্থনৈতিক মুক্তি দিয়ে যেতে পারেননি। অর্থনৈতিক মুক্তি দেয়া লক্ষ্যে যখন তিনি দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচি ঘোষণা করছেন ঠিক ঐ মুহূর্তে তাকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। এই দেশের ইতিহাসকে  পেছনের দিকে নেয়া হয়। গণতান্ত্রিক অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল বাংলাদেশকে একটি অগণতান্ত্রিক স্বৈরাচারী বাংলাদেশকে নব্য পাকিস্তানের সৃষ্টি পথে নিয়ে যাওয়ার জন্য আবির্ভূত হয়।

বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমালোচনা করে আমির হোসেন আমু বলেন, জিয়াউর রহমান দল ভাঙার রাজনীতি করতেন। রাজনীতিবিদদের জন্য রাজনীতি নয়, এটা তিনি স্টাবলিস্ট করতে চেয়েছিলেন। তিনি পরিষ্কার বলেছিলেন আমি রাজনীতিবিদদের জন্য রাজনীতি কঠিন করে তুলবো। এটা তিনি বাস্তবায়নের কারসাজি করেছেন৷ তিনি রাজনীতিবিদদের চরিত্র হরণ করা থেকে শুরু করে সব ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন। আওয়ামী লীগকে বারবার ভেঙেছেন। আওয়ামী লীগের কাউন্সিলকে ঘিরে আবার নতুন করে ভাঙার সুর বাজছিলো। সেই মুহূর্তে দলীয় ঐক্য বজায় রাখতে শেখ হাসিনাকে সভাপতি নির্বাচিত করা হয়।

তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ও তথ্য ও গবেষণা উপ-কমিটির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. হারুন-অর-রশিদ, অর্থনীতিবিদ ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার।

এর আগে সেমিনারের মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ও লেখক হারুন হাবীব। সঞ্চালনায় ছিলেন আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মারুফা আক্তার পপি।

এএইচএস/এসএমএম