• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: মে ২৫, ২০১৯, ০১:৫৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ২৫, ২০১৯, ০২:০২ পিএম

কৃষকদের স্বার্থ আদায়ে সরকারের কাছে বিএনপির ১২ দফা দাবি 

কৃষকদের স্বার্থ আদায়ে সরকারের কাছে বিএনপির ১২ দফা দাবি 
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

কৃষকদের স্বার্থ আদায়ে ও কৃষি পণ্যর ন্যায্য মূল্যের জন্য সরকারে কাছে ১২ দফা দাবি জানিয়েছে বিএনপি। শনিবার (২৫ মে) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ দাবিগুলো উত্থাপন করেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা সরকারের কাছে কৃষি পণ্যের ন্যায্য মূল্য, বিশেষ করে ধানের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি। কৃষি উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে হবে। সকল প্রকার কৃষি ঋণ মওকুফ করার দাবি জানাচ্ছি। কৃষকদের উৎপাদিত ধানের বিপরীতে সরকার ঘোষিত মূল্য অনুযায়ী কৃষককে কমপক্ষে ৩ মাসের জন্য সমপরিমান টাকা বিনা সুদে প্রদান করা, সরকারি পর্যায়ের ধান চাল গুদামজাত করণেরর ক্ষমতা হলো প্রায় ২১.৮ লাখ মে. টন; গুদামজাতকরণের ধারণ ক্ষমতা বাড়িয়ে বেশি পরিমানে সরকারকে ধান ক্রয় করতে হবে।

তিনি বলেন, চাল আমদানীর ক্ষেত্রে দুর্নীতির মাত্রা এতই ব্যাপকতা লাভ করেছে যে, সরকারের অংশীদারী একটি দলের প্রধান সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেননও চাল আমদানীতে সরকারের দুর্নীতির কথা স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছেন। এছাড়াও সরকারি দলের সাংসদ রমেশ চন্দ্র সেনও এহেন পরিস্থিতির জন্য এ সরকারের সাবেক খাদ্য মন্ত্রী কামরুল ইসলামকে দায়ী করেছেন।
 
তিনি বলেন, কৃষকদের সহায়তা দিতে সরকারের সদিচ্ছা থাকলে বেসরকারি গুদাম ভাড়া করে সেখানে ধান চাল সংগ্রহ করতে হবে। কৃষকের কাছ থেকে বেশি পরিমান ধান ক্রয়ের জন্য আমরা ১০ হাজার কোটি টাকার অতিরিক্ত বরাদ্দ দাবি করছি। কৃষকদের হয়রানি কমিয়ে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান বা চাল কিনতে হবে।

তিনি বলেন, দেশের ১৬ কোটি মানুষের খাদ্যের যোগান দাতা কৃষক পরিবারের অবস্থা আজ খুবই নাজুক ও দূর্বিসহ। কিন্তু কৃষকরা ধানের ন্যায্য মূল্য না পেয়ে হতাশাগ্রস্থ। দেশের প্রায় ১.৫ কোটি কৃষক পরিবারের আজ ত্রাহি অবস্থা। 

মির্জা ফখরুল বলেন, কৃষকদের বিশেষ করে ধান চাষিদের চাওয়া হচ্ছে-সরকার ন্যায্য মূল্যে চাষিদের কাছ থেকে সরাসরি ধান ক্রয় করুক। কৃষকদের চাওয়া খুবই সামান্য ও যৌক্তিক। আমরা কৃষকদের এই যৌক্তিক দাবির সঙ্গে একমত। 

বিএনপি মহাসচিব বলেন, গত বছরের উৎপাদনকে হিসেবে নিলে বোরো ধানের উৎপাদন হবে প্রায় ২ কোটি মে. টন। আর সরকার সংগ্রহ করবে মাত্র ১৩ লক্ষ টন, যা উৎপাদনের মাত্র ৬.৫ শতাংশ। আমাদের দাবি ধান অথবা চাল সংগ্রহের পরিমান কমপক্ষে বোরো উৎপাদনের ১৫ শতাংশ করা হোক। এতে বেশি পরিমান কৃষককে সহায়তা দেয়া যাবে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকারের দুর্নীতি ও অদূরদর্শীতার কারণে কৃষি নির্ভর বাংলাদেশের কৃষি আজ ধ্বংসের মুখে। বার বার গরীব কৃষক তার উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য না পেয়ে ফসল উৎপাদনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। এর সুদূরপ্রসারী পরিণাম অত্যন্ত ভয়াবহ।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

টিএস/একেএস