পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে সড়ক ও রেলপথে চরম নৈরাজ্য চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রোববার (২৬ মে) রাজধানীর বিজয়নগরে অবস্থিত হোটেল অরনেটে বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিশদলীয় জোট শরিক বাংলাদেশ লেবার পার্টির আয়োজনে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় অনুষ্ঠিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রতিটি ঈদের আগে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয় এবারের ঈদে দুর্ভোগ হবে না। গতকালও এজন্য নাকি নতুন একটি ট্রেন উদ্ধোধন করা হয়েছে। কিন্তু আমরা কি দেখতে পাচ্ছি, সাধারণ যাত্রীরা টিকিট কেনার আগেই অর্ধেক টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। চরম নৈরাজ্য চলছে। সর্বক্ষেত্রে লুটপাট আর নৈরাজ্য চলছে। কোন জবাবদিহিতা নেই। কে কার কথা শুনবে? মা-বাবা তো নেই। কারণ বর্তমানে দেশে মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার নেই, গণতন্ত্র নেই।

মির্জা ফখরুল বলেন, গোটা জাতি আজ অস্থিতিশীল, অশান্তি পরিবেশের মধ্যে আছে। আওয়ামী লীগ হচ্ছে সেই দল, যে দল ১৯৭৫ সালে বাকশাল প্রতিষ্ঠিত করেছিলো। আজকে সেই বাকশালকে আবার প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছে তারা। তারা সব সময় শুধু সংবিধানের দোহাই দেয়। একদিকে গণতন্ত্রের কথা বলে তারাই অন্যদিকে গণতন্ত্রকে হত্যা করে।

তিনি বলেন, এই মাস সব দিক দিয়ে কষ্টের মাস। সবসময় আমরা পালন করি সিয়ামের মধ্য দিয়ে। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের এক যুগ ধরে আরও বেশি পরীক্ষা করছে। আমাদের থাকতে হচ্ছে কখন জেলখানায় কখনও তার চেয়ে কষ্টের জায়গায়। এমন একটি নির্বাচন হয়ে গেল। যে নির্বাচন সমস্ত আশাকে ধুলিসাৎ করে দিয়েছে। অবৈধভাবে আগের রাতে চুরি করে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে দেশনেত্রী মিথ্যা মামলায় কারাবরণ করছে। আপস করেননি বলে তিনি এখনও কারাগারে আছেন। গণতন্ত্রের সঙ্গে তিনি ওৎপ্রোতভাবে জড়িত।

এ সময় তিনি আরও বলেন, জনগণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দেশনেত্রীকে মুক্ত করবে, গণতন্ত্রকে মুক্ত করবে। বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে ইফতার ও দোয়া মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, মাওলানা আব্দুল হালিম, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান হাবিব প্রমুখ।

টিএস/ একেএস