• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: জুন ১৯, ২০১৯, ০৮:৩৯ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১৯, ২০১৯, ০৯:৩৪ এএম

বিএনপির বিকল্প জাতীয়তাবাদী শক্তির উত্থানে সক্রিয় কর্নেল অলি

বিএনপির বিকল্প জাতীয়তাবাদী শক্তির উত্থানে সক্রিয় কর্নেল অলি

দীর্ঘদিন ধরে দেশীয় রাজনীতিতে দুই ধারার রাজনীতি চলছে। একটি বাঙালি জাতীয়তাবাদের ধারা অন্যটি বাংলাদেশি জাতীয়বাদের ধারা। যার একটির নেতৃত্ব দিচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ অন্যটির নেতৃত্বে রয়েছে বিএনপি। কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, বর্তমানে ক্ষয়িঞ্চু শক্তির রাজনৈতিক দল বিএনপি বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ধারার রাজনীতির নেতৃত্ব থেকে সরে যাচ্ছে বা নেতৃত্ব দিতে ব্যর্থ হচ্ছে।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গত ১৫ মাস ধরে কারাবন্দি আছেন। ১৯৮১ সালের ৩০ মে বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের দুঃখজনক মৃত্যুর পর থেকেই এক সময়ের গৃহবধূ খালেদা জিয়া যেমন বিএনপির মত একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন, তেমনি দেশের অন্য সকল বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী ঘরানার রাজনৈতিক দলগুলোরও তিনিই নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন।  কিন্তু কারাবন্দি হওয়ার পর তিনি (খালেদা জিয়া) যেমন সঠিকভাবে বিএনপিরই নেতৃত্ব দিতে পারছেন না, তেমনি অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর লাগামও ধীরে ধীরে বিএনপির হাত ছাড়া হয়ে যাচ্ছে। সময় ও সুযোগ বুঝে ছোট ছোট দলগুলো ইতোমধ্যেই নিজেদের ঘরানাও বদলে ফেলেছে। অনেকে সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছে।

খালেদা জিয়া কারাবন্দি হওয়ার পর তার বড় ছেলে তারেক রহমানকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করা হয়। তারেক রহমান বিগত সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রথমদিকেই গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন কারাগারে ছিলেন। এক পর্যায়ে আদালতের নির্দেশে জামিন পেয়ে অসুস্থতার চিকিৎসার জন্য লন্ডনে চলে যান। তারেক লন্ডন গেছেন সেও প্রায় দীর্ঘ এক যুগ আগে। এর মধ্যে দেশ থেকে অর্থ পাচারের মামলায় তার বিরুদ্ধে কারাদণ্ডের রায়ও হয়েছে। আরও কিছু মামলা বিচারাধীন আছে। খালেদা জিয়ার কারাবন্দি হওয়ার পর বিএনপির প্রচেষ্টা ছিল তারেককে শুধু বিএনপি নয়, আগের মত বাংলাদেশি জাতীয়বাদী ধারার রাজনীতির প্রধান নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু অতীত ইতিহাস ও দীর্ঘদিন লন্ডনে  থাকার পর সেখানে তার ‘বিতর্কিত’ বক্তব্য ও কর্মকাণ্ডের কারণে তারেক রহমানের পক্ষে মায়ের অবর্তমানে শূন্যস্থান পূরণ করা সম্ভব হয়নি। এক কথায় বলতে গেলে তার ইমেজ এখনও অনেকের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। তাই দেশীয় রাজনীতির বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ধারায় দেখা দিয়েছে নেতৃত্ব শূন্যতা।

বিএনপি ও বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিশদলীয় জোট সূত্রে জানা গেছে, এই ধারার রাজনীতিতে নেতৃত্ব শূন্যতার বিষয়টি তাদের ভাবিয়ে তুলেছে। সে কারণে বিভিন্ন সময় এ নিয়ে বক্তব্যও উঠে এসেছে। কিছুদিন আগে বিএনপি জোটের অন্যতম শরিক লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) চেয়ারম্যান কর্নেল ড. অলি আহমদ বীর বিক্রম প্রকাশ্যে সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপির প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, বিএনপি সঠিক নেতৃত্ব দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। তিনি দলটির প্রতি আহ্বান রেখে বলেন,  ‘হয় আপনারা (বিএনপি) সঠিকভাবে নেতৃত্ব দেন, না হয় আমাদেরকে নেতৃত্ব ছেড়ে দেন। আমরা নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত।’

জানা গেছে, ক্ষয়িঞ্চু শক্তির বিএনপির বিকল্প হিসেবে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী ধারার রাজনীতির নেতৃত্ব দিতে চান এক সময়ের বিএনপিরই নেতা বর্তমানে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)র সভাপতি কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমদ। সে কারণে তিনি উদ্যোগও গ্রহণ করছেন। বিএনপি ও বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিশদলীয় জোটে থাকা বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের রাজনীতিকদের সঙ্গে তিনি এ বিষয়ে নিয়মিত কথা বলছেন। আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন।

বিএনপির উদ্দেশ্যে কর্নেল অলির আহ্বান সম্পর্কে এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম দৈনিক জাগরণকে বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে বিএনপির সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি। আমাদের চেয়ারম্যানের আহ্বানে সরাসরি বিএনপি সাড়া না দিলেও প্রত্যক্ষভাবেই তো বিএনপির সিনিয়র নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ থেকে শুরু করে অন্যান্য নেতারা স্বীকার করে নিয়েছেন যে বিএনপির নেতৃত্ব পরিবর্তন হওয়া প্রয়োজন। বিএনপি নেতৃত্ব দিতে পারছে না। বেগম খালেদা জিয়া জেলে, তিনি সরাসরি নেতৃত্ব দিতে পারছেন না। তারেক রহমানের পক্ষেও লন্ডন থেকে সার্বক্ষণিক নেতৃত্ব দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। নেতৃত্ব পরিবর্তন হওয়া দরকার। বিএনপি নেতারা বলছেন, নেতৃত্বে ব্যর্থ হলে তাদের সরে যাওয়া উচিত।

তিনি বলেন, আমরা প্রথম যখন মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবি উত্থাপন করলাম, সেই মিটিংয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন যে তাহলে কি আমরা নির্বাচনের সংসদ মেনে নিচ্ছি কিনা। আমাদের চেয়ারম্যান অলি আহমদ বলেছেন বিএনপি সংসদে যোগ দিয়ে সংসদ মেনে নিয়েছে। গত পড়শুদিনও বিএনপির সিনিয়র নেতা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন। যার বিষয়বস্তুই ছিল-মধ্যবর্তী নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা। অর্থাৎ আমরা যা বলছি, সেটার পক্ষে বিএনপিও তো তার একটা অবস্থান নিচ্ছে।

সূত্র জানায়, একাদশ জাতীয় নির্বাচনের ভরাডুবির পর বিএনপির সঙ্গে বিশদলীয় জোটের শরিকদের সম্পর্কের উষ্ণতায় টানাপোড়েন দেখা দেয়। ক্ষমতাসীন দলের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণার পরও নির্বাচনে যাওয়া, নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখানের পর আবার সংসদ সদস্য হিসেবে বিএনপির নির্বাচিত ৬ এমপির শপথ গ্রহণ, আন্দোলনে নিষ্ক্রিয়তা, পুরনো শরিকদের গুরুত্বহীন করে সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুর রাজনীতিক ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে বেশি গুরুত্ব দেয়াসহ নানা কারণে বিএনপির প্রতি ক্ষুব্ধ বিশদলীয় জোট শরিকরা। এসব ক্ষুব্ধতা শরিকদের বিভিন্ন বক্তব্যে উঠে আসতে থাকে। এক পর্যায়ে বিএনপির সিনিয়র নেতারাও দল ও শরিকদের ক্ষুব্ধতাকে স্বীকার করে নেন।

বিশদলীয় জোট সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির প্রতি ক্ষুব্ধতার কারণে জোট শরিকরা বিকল্প জোটের চিন্তা-ভাবনা করছে। সম্ভাব্য সেই জোটের নেতৃত্ব দেবেন এক সময়ের বিএনপিরই সিনিয়র নেতা বর্তমানে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমদ বীর বিক্রম। বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী কর্নেল অলি সম্প্রতি সরকার বিরোধী চলমান রাজনীতি নিয়ে নিজের বিরক্তির কথা প্রকাশ করে প্রকাশ্যেই বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘হয় আপনারা (বিএনপি) সঠিকভাবে নেতৃত্ব দিন, না হয় আমাদের নেতৃত্ব দিতে দিন। আমি নিজে নেতৃত্ব গ্রহণে প্রস্তুত।’

সূত্র জানায়, কর্নেল অলির এ আহ্বানে বিএনপি কোনো প্রতি উত্তর না করায় বা দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় এবার তিনি নিজেই বিকল্প জাতীয়তাবাদী শক্তির নেতৃত্ব গ্রহণে প্রস্তুতি নিতে উদ্যোগী হয়েছেন। সে লক্ষ্যে আগামী ২৭ জুন জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে এলডিপির ব্যানারে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। সেই সংবাদ সম্মেলনে এলডিপির পক্ষ থেকে জোট শরিকদের অনেক নেতাতো বটেই এমনকি খোদ বিএনপির বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতাকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। যদিও এলডিপির পক্ষ থেকে ওই সংবাদ সম্মেলনকে বিকল্প জাতীয়তাবাদী জোট গঠনের প্রক্রিয়া হিসেবে স্বীকার করা হচ্ছে না। দলটির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে-মিথ্যা মামলায় কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও দেশে মধ্যবর্তি গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনের দাবিতে তাদের এ সংবাদ সম্মেলন।

সূত্র আরও জানায়, কর্নেল অলি বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী রাজনীতির নেতৃত্ব দেয়ার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন। সেই আলোকে তিনি নিজ উদ্যোগে বিভিন্ন জনের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি তিনি ভারত সফরও করেছেন। এরপর গত ১০ জুন রাতে তার মহাখালী ডিওএইচএসের বাসায় চীনা রাষ্ট্রদূতকে আমন্ত্রণ জানিয়ে আলোচনা ও নৈশভোজ করেছেন। গত রবিবার রাতেও তিনি জামায়াতের নেতাদের সঙ্গে তার বাসায় বৈঠক করেছেন বলে জানা গেছে। এছাড়া বিভিন্ন উইংয়ে তিনি যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। মোট কথা খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে বিএনপির নেতৃত্বর ব্যর্থতার কারণে কর্নেল অলি আহমদ দেশের সকল জাতীয়তাবাদী শক্তির নেতৃত্ব গ্রহণে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন। 

কর্নেল অলি আহমদের নেতৃত্বে বিকল্প জাতীয়তাবাদী শক্তির উত্থান সম্পর্কে সম্প্রতি প্রকাশ্যে বক্তব্য রেখেছেন বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিশদলীয় জোটের আরেক শরিক লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর উপস্থিতিতে গত রবিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে তার দলের এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, বিশদলীয় জোটের ভেতর থেকে আরেকটি জোটের চিন্তা করা হচ্ছে। তবে, আমরা সেই জোটে যাব না। আমরা বিএনপির নেতৃত্বে জোটে ছিলাম, আছি এবং থাকব। আমরা বিএনপির নেতৃত্বের বাইরে যাব না।

কর্নেল অলি আহমদের নেতৃত্বে বিকল্প জোটের বিষয়ে জানতে চাইলে এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব সাহাদাত হোসেন সেলিম দৈনিক জাগরণকে বলেন, ‘আলাদা জোট করে কি হালে পানি পাওয়া যাবে? কেউ কি মূল্যায়ন করবে আমাদের? জোট-টোট কিচ্ছু না। এসব বাত কা বাত। বিশদল বা যাই হোক, যা করতে হয় বিএনপির নেতৃত্বেই করতে হবে। বিএনপিকে সাইড লাইনে বসিয়ে কিচ্ছু করা যাবে না। তবে বিএনপি নিজে নিজেই সাইড লাইনে চলে যাচ্ছে। বিএনপি নিজের দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হচ্ছে। সেখানে আমরা বলি, সবাই বলে, নেতৃত্বের এ শুন্যস্থান পূরণ করতে হবে।’ 

তিনি বলেন, আমরা কিছুদিন আগে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করেছি। বিএনপিকে আমরা আহ্বান জানিয়েছি, হয় আপনারা নেতৃত্ব দেন না হয় নেতৃত্ব ছেড়ে দেন। সেই আহ্বানের ফলোআপ হিসেবে আমরা একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করছি। আগামী ২৭ জুন জাতীয় প্রেসক্লাবে এ নিয়ে আমরা সংবাদ সম্মেলন করব। সেখানে বিশদলের অনেক নেতাকেই আমরা আমন্ত্রণ জানিয়েছি, এমনকি বিএনপিরও বেশ কয়েক নেতাকে আমরা আমন্ত্রণ জানিয়েছি। এর বেশি কিছু না।

এক প্রশ্নের জবাবে এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব সেলিম বলেন, এলডিপির ব্যানারেই এ সংবাদ সম্মেলন হবে। কেউ চাইলেও তো অন্য ব্যানারে কিছু করা সম্ভব না। ম্যাডামের মুক্তি ও মধ্যবর্তী নির্বাচনের আমাদের এ দাবির পক্ষে তো প্রবল জনমত আছেই। সেই জনমতকে ঐক্যবদ্ধ করে আমাদের কাঙ্ক্ষিত দাবি আদায় করতেই আমাদের এ উদ্যোগ।

অপর প্রশ্নের জবাবে শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, আমাদের দাবি আদায়ের জন্য এ কর্মসূচিতে শুধু জোট নয়, আমরা বিএনপির অনেক নেতাকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছি।

জোট সূত্র জানায়, এলডিপির পক্ষ থেকে জোট শরিকদের অনেক শীর্ষ নেতার সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হচ্ছে। কর্নেল অলি ও এলডিপির পক্ষে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম সবার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। জানা গেছে, বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিশদলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ডা. শফিকুর রহমান, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, খেলাফত মজলিশের আহমদ আব্দল কাদের, মরহুম শফিউল আলম প্রধানের দল জাগপার সভাপতি ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, এনপিপি একাংশের চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদসহ অন্য নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। 

বিএপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমদ, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসূফ, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপনসহ আরও কয়েক নেতাকেও এলডিপির এ সংবাদ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
বিশদলীয় জোট শরিক জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা দৈনিক জাগরণকে এলডিপির পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, আমন্ত্রণ পেয়েছি। উদ্দেশ্য সম্পর্কে এখনও কিছু জানি না। আগে জেনে তারপর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।

টিএস/আরআই