• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ১৯, ২০১৯, ০৫:৫০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১৯, ২০১৯, ০৫:৫০ পিএম

আওয়ামী লীগের জন্যও এটা প্রযোজ্য : মেনন

আওয়ামী লীগের জন্যও এটা প্রযোজ্য : মেনন
রাশেদ খান মেনন - ফাইল ছবি

বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি বলেছেন, রাষ্ট্রযন্ত্রের বিভিন্ন অংশ নির্বাচনের উপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করলে রাজনৈতিক দল নির্বাচন কেবল নয়, রাষ্ট্র পরিচালনায়ও প্রাসঙ্গিকতা হারিয়ে ফেলবে। এটা সবার জন্য যেমন, আওয়ামী লীগের জন্যও প্রযোজ্য। এটা গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক।

বুধবার (১৯ জুন) জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন তিনি।

মেনন বলেন, নির্বাচনকে যথাযথ মর্যাদায় ফিরিয়ে আনার কাজটি আমাদের করতে হবে। কারণ রোগ এখন উপজেলা নির্বাচন পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। পাঁচ দফা উপজেলা নির্বাচনে আমাদের দলের অভিজ্ঞতা, এমনকী আওয়ামী লীগ নিজ দলের প্রার্থীদের অভিজ্ঞতাও করুণ। নির্বাচন কমিশন, প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বলেও কোনো লাভ হচ্ছে না। বরং তাদের যোগসাজশ রয়েছে। এর ফলে নির্বাচন ও সামগ্রিক নির্বাচনি ব্যবস্থা সম্পর্কে জনমনে অনাস্থা সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনে ভোট দেয়ার ব্যাপারে জনগণ আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। এটা নির্বাচনের জন্য কেবল নয়, গণতন্ত্রের জন্যও বিপজ্জনক।

তিনি বলেন, সেই ১৯৬৩ সাল থেকে ভোটাধিকারের জন্য লড়াই করেছি। সর্বশেষ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিএনপি-জামায়াতের ভুয়া ভোটার তালিকা আর নীল-নক্সার নির্বাচনের বিরুদ্ধে ১৪ দল অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন এবং জনগণের ভোট প্রয়োগের আন্দোলনে সফলতা অর্জন করেছিলাম। আবার যেন এই বৃদ্ধ বয়সে সবটাই ‘পুনর্মুষিকোভব’ (পুনরায় ইঁদুর হও) করতে না হয়।

সরকারের বিদ্যুৎ, মাথাপিছু আয়, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে উন্নয়মূলক কর্মকাণ্ডের বর্ণনা করে মেনন বলেন, আমাদের আর্থিক খাতের দুর্গতি এই পথে কাঁটা হয়ে রয়েছে। ব্যাংক খাতে লুটপাট, নৈরাজ্য ও বিশৃংখলা কারও অবিদিত নয়। ঋণখেলাপির দায়ে ব্যাংকগুলো নুব্জ। চলছে তারল্য সংকট। করের টাকা দিয়ে ব্যাংকের ঘাটতি মূলধন পূরণ করার জন্য বরাদ্দ এবারেও রাখা হয়েছে বাজেটে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীন ভূমিকা দূরে থাক, ব্যাংকগুলোকে কার্যকর নজরদারি করতেও অক্ষমতার পরিচয় দিচ্ছে। নিজের অর্থই তারা সামাল দিতে পারেনি এবং এর কোনো জবাবদিহিতা দেশবাসী পায়নি।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক বিবেচনায় ব্যাংক প্রদান, ব্যাংক মালিকদের আবদারে ব্যাংক আইন সংশোধন করে ব্যাংকগুলোকে পারিবারিক মালিকানার হাতে তুলে দেয়া, একই ব্যক্তি একাধিক ব্যাংকের মালিক বনে ব্যাংক খাতকে নিয়ন্ত্রণ করা, ব্যাংক মালিক এসোসিয়েশন কর্তৃক সিআরআর নির্ধারণ করা, এসবই ব্যাংক খাতে এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী। এমনকী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে তারা ব্যাংক ঋণের উপর সুদের হার এক অংকের উপর না রাখার বিষয়ে কথা দিয়ে এলেও তারা সেকথা রাখেনি কেবল, ঔদ্ধত্যভাবে বলেছে ‘হুকুম দিয়ে সুদের হার ঠিক করা যায় না।’

এইচএস/ এফসি