সাম্প্রদায়িক শক্তি দেশে ভেতরে ভেতরে বড় ধরনের হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক  ওবায়দুর কাদের। 

তিনি বলেছেন, ‘এখনও বাংলাদেশে অসাম্প্রদায়িক মানবতা বিরোধী শক্তি হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। সাম্প্রদায়িক অশুভ শক্তি জঙ্গিবাদের ভয়ঙ্কর মূর্তিতে মাঝে মাঝে আবির্ভুত হয়। হলি আর্টিজান, শোলাকিয়ার সেই ট্র্যাজেডির পর আমরা যদি মনে করি সেই সাম্প্রদায়িক অশুভ শক্তির পতন হয়েছে তাহলে আমরা শ্রীলংকার মতই ভুল করবো। আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। এখনও ষড়যন্ত্র আছে’।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) সন্ধ্যায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে দলের সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠানের উদ্বোধন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।  

আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ওই সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
 
ওবায়দুল কাদের বলেন, যেই বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীন হয়েছে,যেই চেতনার ভিক্তিতে দেশ স্বাধীন হয়েছে, সেই চেতনা বিরোধী শক্তি এখনও খুবই দুর্বল এ কথা মনে করার কোনো কারণ নেই।

সাম্প্রদায়িক শক্তি তলে তলে বড় ধরনের হামলা পরিচালনার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকার আজকে নির্বাচনে বিপুল ভাবে বিজয়ী হয়ে চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় এসেছে, এটা আজকে পাকিস্তান পন্থি অশুভ শক্তি তারা মেনে নিতে পারছে না। এই অশুভ শক্তি আমাদের এই সরকারের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে। সাম্প্রদায়িক শক্তি প্রস্তুতি নিচ্ছে বড় ধরনের কোনো হামলা পরিচালনার জন্য। কাজেই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। অসাম্প্রদায়িক শক্তিকে নিয়ে এর বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

অসম্প্রদায়িক চেতনা থেকে আওয়ামী লীগ এক চুলও সরেনি দাবি করে তিনি বলেন, ‘সাংস্কৃতিক অঙ্গনে আমাদের একটা বিভ্রান্তি আছে যে, আওয়ামী লীগ নির্বাচনী এলায়েন্সের মধ্যে দিয়ে স্বাধীনতার চেতনা মুল্যবোধের পরিপন্থি কাজ করছে। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই আওয়ামী লীগ কৌশল গত কারণে কৌশলগত পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু আদর্শিক ভাবে বাংলাদেশের জন্মের চেতনা থেকে আমাদের শিকড় থেকে আমরা এক চুলও সরে যাইনি। আমরা আমাদের শিকড়ের সঙ্গে আছি, থাকবো।

সাংস্কৃতিক অঙ্গনের শিল্পীদের পাশে সবসময়ই শেখ হাসিনা আছেন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশে সংস্কৃতির সবচেয়ে বড় পৃষ্ঠপোষক বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সাংস্কৃতিক অঙ্গনে আমাদের সংস্কৃতিবান শিল্পী সাহিত্যিকদের দুঃখের দিনে পাশে দাঁড়ানোর এমন রাষ্ট্র নায়ক শেখ হাসিনার মত কেউ ছিলেন না। সাংস্কৃতির সঙ্গে যারা জড়িত আপনারা কোনো অবস্থাতেই হতাশ হবেন না। আপনাদের বিপদে আপনাদের সংকটে শেখ হাসিনা আপনাদের পাশে আছেন। শেখ হাসিনার সরকার, সংস্কৃতিক বান্ধব সরকার।

আওয়ামী লীগের ওই  সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করে আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক উপ কমিটি। 

উদ্বোধনের সময় উপস্থিত ছিলেন-  অনুষ্ঠানের উপ কমিটির চেয়ারম্যান আতাউর খান, সদস্য সচিব  ও আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, দুর্যোগ ও ত্রাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, সদস্য রিয়াজুল কবির কাওছার ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাত, সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ। 

সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় সঙ্গীত পরিবেশন করেন- শিল্পী ফাহমিদা নবী, বাপ্পা মজুমদার ও তার দল দলছুট, কিরণ চন্দ্র রায়, বাউল শিল্পী ঋজু বাউল, আবৃত্তি শিল্পী ভাস্কর বন্দোপাধ্যানসহ আরও অনেকে।

এএইচএস/বিএস