• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ২৬, ২০১৯, ০৫:০০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২৬, ২০১৯, ০৫:০০ পিএম

ভবিষতে একটি জোটের নেতৃত্ব দেবে জাতীয় পার্টি

ভবিষতে একটি জোটের নেতৃত্ব দেবে জাতীয় পার্টি
জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ কাদের -ফাইল ছবি

জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, জাতীয় পার্টি বাংলাদেশে ক্ষমতার নিয়ামক শক্তি এটা প্রমান হয়েছে। শুধু ক্ষমতার নিয়ামক শক্তি হিসেবে আমরা সন্তুষ্ট নয়, আমরা গণমানুষের ভাগ্য উন্নয়নে ক্ষমতায় যেতে চাই। আমরা আদর্শ আর নীতি নিয়ে গণমানুষের পক্ষে কর্মসূচি দিয়ে সাধারণ ভোটারদের প্রত্যাশা পূরণ করবো। দেশের মানুষ মনে করে একমাত্র জাতীয় পার্টিই দেশ ও মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবে। তারা মনে করে শুধু জাতীয় পার্টিই সাধারণ মানুষের ভরসার একমাত্র ঠিকানা।

তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে আমরা কোনও একটি জোটের নেতৃত্ব দিয়ে ক্ষমতায় যেতে পারবো। এজন্য দলকে আরও শক্তিশালী করতে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের প্রতি আহবান জানান জিএম কাদের।

বুধবার (২৬) রাজধানীর এজিবি কলোনী কমিউনিটি সেন্টারে জাতীয় পার্টি চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, জাতীয় পার্টিকে নিয়ে আর বেচাকেনা চলবে না। কেউ এই অপচেষ্টা করতে চাইলে, সবাইকে নিয়ে তা প্রতিরোধ করা হবে। ভবিষ্যতে আর কেউ মনোনয়ন বাণিজ্য করতে পারবে না জাতীয় পার্টিতে।

তিনি বলেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ভাই হিসেবে আমি গর্বিত। শুধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ভাই বা পারিবারিক পরিচয়ে আমি নেতৃত্ব দিতে চাই না। তৃণমূল নেতা-কর্মীরা যতদিন সমর্থন দেবেন, ততদিন গণমানুষের কল্যাণে ইতিবাচক রাজনীতি করবো।

জিএম কাদের বলেন, জাতীয় পার্টির মালিক তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। আগামী দিনে তৃণমূল নেতা-কর্মীরাই দলের শীর্ষ নেতৃত্ব নির্বাচন করবে, দলের রাজনৈতিক কর্মকৌশল নির্ধারণ করবে এবং কর্মসূচি প্রণয়নে সিদ্ধান্ত দিয়ে বাস্তবায়নও করবে। গঠনতন্ত্র এবং হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নির্দেশিত পথেই জাতীয় পার্টি চলবে।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ, সংসদ সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, জাতীয় পার্টি আর কারও ক্ষমতার সিড়ি হবেনা।

তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। জাতীয় পার্টি কারো জোটের অধীনে নির্বাচন করবে না। দলীয় প্রতীক নিয়েই জাতীয় পার্টি নির্বাচনি প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হবে। দেশের মানুষ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এবং জাতীয় পার্টিকে ভালোবাসে। আগামী নির্বাচনে সাধারণ মানুষ লাঙ্গল প্রতীকেই ভোট দেবে। আগামী জাতীয় নির্বাচনে জাতীয় পার্টির বিজয় সুনিশ্চিত। তাই তৃণমূল পর্যায়ে জাতীয় পার্টিকে আরও শক্তিশালী করতে নেতা-কর্মীদের প্রতি আহবান জানান মসিউর রহমান রাঙ্গা।

তিনি চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগকে জাতীয় পার্টির দুর্গে পরিণত করতেও আহবান জানান।

মসিউর রহমান রাঙ্গা ১৯৯৬ সালের কথা উল্লেখ করে বলেন, সেদিন জাতীয় পার্টির সমর্থন নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করেছে। জাতীয় পার্টির বদৌলতে ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতার স্বাদ পেয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ এর প্রতিদান দিয়েছে জাতীয় পার্টি নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা-মামলা করে। ইউনিয়ন-উপজেলা পর্যায়ের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অনেক স্থানে জাতীয় পার্টির বিজয় ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে।

এ সময় রাঙ্গা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, জাতীয় পার্টি নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা হলে আমরা আর বসে থাকবো না। পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে সঙ্গে নিয়ে আমরা ছুটে যাবো। কথা বলবো প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে।

জাতীয় পার্টির ভবিষ্যৎ রাজনীতি সম্পর্কে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, জাতীয় পার্টিতে আর পকেট কমিটি হবে না। কাউন্সিলের মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে। আমরা তৃণমূল পর্যায়ে কাউন্সিলে উপস্থিত হয়ে নেতা-কর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে নেতৃত্ব নির্বাচন করবো।

সকাল থেকেই চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ থেকে তৃণমূল নেতা-কর্মী মতিঝিল এজিবি কলোনী কমিউনিটি সেন্টারে অবস্থান নেন।

সভায় হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘ জীবন কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন দলের যুগ্ম ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ঈছা রুহুল্লাহ আসিফ।

সভায় বক্তৃতা করেন প্রেসিডিয়াম সদস্য সোলায়মান আলম শেঠ, আতিকুর রহমান আতিক, সংসদ সদস্য ব্যারিষ্টার শামিম হায়দার পাটোয়ারী, রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, কাজী মামুনুর রশীদ, আলমগীর সিকদার লোটন, এমরান হোসেন মিয়া, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা সংসদ সদস্য রওশন আরা মান্নান, ড. নুরুল আজহার শামীম, মাহমুদুর রহমান মাহমুদ, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আলম মাষ্টার, জিয়াউল হক মৃধা, সরদার শাহজাহান, জহিরুল ইসলাম জহির, জহিরুল আলম রুবেল, পীর ফজলুর রহমান মেজবাহ, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, শফিউল্লাহ শফি, সুলতান আহমেদ সেলিম, আমির উদ্দিন আহমেদ ডালু, সম্পাদকমণ্ডলির সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য এম এ মুনিম চৌধুরী বাবু, ইসাহাক ভূঁইয়া, ফখরুল আহসান শাহাজাদা, হেলাল উদ্দিন, সুলতান মাহমুদ, খোরশেদ আলম খুশু, আবদুল হামিদ ভাসানী, বেলাল হোসেন, সাবেক সংসদ সদস্য মৌলভি ইলিয়াস, এমএ রাজ্জাক খান, হারুণ অর রশিদ, ইফতেখার আহসান হাসান, জামাল রানা, অ্যাডভোকেট লাকি বেগম, আহাদ চৌধুরী শাহিন, কেন্দ্রীয় নেতা এমএ সালাম, নাজমুল খান, আহমেদ রিয়াজ, জাকির হোসেন মৃধা, সুজন দে, সোলায়মান সামি, মাসুদুর রহমান, শফিকুল ইসলাম দুলাল, লোকমান ভূঁইয়া রাজু, ফজলে এলাহী সোহাগ, মোতাহার হোসেন, মাখন সরকার, আবু সাদেক বাদল, আনোয়ার হোসেন তোতা, জোনাকী হুমায়ুন মুন্সী।

জেডএইচ/এসএমএম