• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: জুন ২৬, ২০১৯, ০৬:২৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২৬, ২০১৯, ০৬:২৭ পিএম

‘ভোটের প্রয়োজন না থাকায় প্রশাসনকে অঢেল সুবিধা বাজেটে’

‘ভোটের প্রয়োজন না থাকায় প্রশাসনকে অঢেল সুবিধা বাজেটে’
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক- ছবি: জাগরণ

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, জবাবদিহিতা ও ভোটের প্রয়োজন না থাকায় বাজেটে শ্রমিক, কৃষক, নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের উপেক্ষা করা হয়েছে। লুটেরা পুঁজিপতি, কালো টাকার মালিক, ঋণখেলাপী, বিত্তবানশ্রেণি এবং আমলাতন্ত্র ও প্রশাসনকে জবাবদিহীতাহীন অঢেল বাড়তি সুবিধা দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বাজেটে প্রস্তাবিত প্রবৃদ্ধিকেন্দ্রীক উন্নয়নকৌশল কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও চরম দারিদ্র্য কমাতে পারবে না। স্বল্পসংখ্যক লোকের হাতে অর্থ ও সম্পদের আরও পুঞ্জিভূত হবে। ধনী-দরিদ্র্যের বৈষম্য আরও বাড়িয়ে দেবে। 

বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে প্রস্তাবিত বাজেট সম্পর্কে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। 

সাইফুল হক বলেন, বাজেট রাষ্ট্রীয় সম্পদের লুণ্ঠনকে জোরদার করে এক দেশে দুই অর্থনীতির ধারাকে শক্তিশালী করবে। বাজেট মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও সরকারি দলের বৈষম্য হ্রাসের নির্বাচনি প্রতিশ্রুতিরও পরিপন্থী। সংবাদ সম্মেলনে অনুন্নয়নখাতে ব্যয় হ্রাসসহ বাজেট সম্পর্কে তার দলের পক্ষ থেকে ১৫টি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা তুলে ধরাও হয়। 

তিনি বলেন, অর্থনৈতিক মাফিয়াদেরকে বাজেটে যেসব সুবিধা দেয়া হয়েছে তাতে ব্যাংক ও আর্থিকখাতসহ অর্থনীতিতে দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা ও নৈরাজ্য আরও বৃদ্ধি পাবার আশঙ্কা তৈরি করেছে। তিনি বলেন, বাজেটের নীতি-দর্শন একদিকে স্বাধীনতার ঘোষণা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী আর অন্যদিকে আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহারে বর্ধিত ‘বৈষম্য’ বিলোপেরও পরিপন্থী। এই বাজেট স্বল্প আয়ের সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ-দুর্গতিকে আরও বাড়িয়ে দেবে। তিনি রাজস্ব ব্যয়সহ অনুন্নয়নখাতে ব্যয় কমিয়ে উৎপাদনশীল ও সামাজিক খাতে ব্যয় বরাদ্দের আহ্বান জানান। 

অপরদিকে পাটির পক্ষ থেকে প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে সামগ্রিকভাবে অনুন্নয়নখাতে বাজেট বরাদ্দ কমিয়ে উন্নয়নখাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। রাজস্ব ব্যয়সহ অনুৎপাদনশীল খাতে বরাদ্দ হ্রাস করে শিল্প-কৃষির মত উৎপাদনশীল খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করা আবশ্যক। সরকার পরিচালনার খরচ যথাসম্ভব কমিয়ে আনা দরকার। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে অপচয় বন্ধে বিশেষ পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।

আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট সম্পর্কে আজ সকালে সেগুনবাগিচায় সংহতি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পেশ করেন পার্টির কেন্দ্রীয় নেত্রী বহ্নিশিখা জামালী। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা আকবর খান, আনছার আলী দুলাল, মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, মহানগর কমিটির মুক্তা ইসলাম, জোনায়েদ হোসেন, আবদুল জব্বার, ইমরান হোসেন প্রমুখ। 

টিএস/টিএফ