• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: জুলাই ১০, ২০১৯, ০৭:২২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১০, ২০১৯, ০৭:২২ পিএম

১৪ জুলাই জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘেরাও

‘লুটপাটের টাকা যোগাতে জনগণের পকেট কাটা চলবে না’

‘লুটপাটের টাকা যোগাতে জনগণের পকেট কাটা চলবে না’
বাম গণতান্ত্রিক জোটের সংবাদ সম্মেলন - ফাইল ছবি

বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা প্রশ্ন রেখে বলেছেন, গ্যাস খাতের চুরি, দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনার দায়-দায়িত্ব জানগণ কেন নেবে। তিতাসের সিস্টেম লসের নামে দুর্নীতি দূর করতে পারলে বছরে ৮ হাজার ৪শ কোটি টাকা বাঁচানো সম্ভব। সামগ্রিকভাবে গ্যাস খাতের চুরি, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা দূর করলে বছরে ১৬ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব। সরকারের ভুল নীতি ও দুর্নীতি পরিহার করলে খরচ অর্ধেকে নামিয়ে আনা সম্ভব। তারা বলেন, লুটপাটের টাকা যোগাতে জনগণের পকেট কাটা চলবে না।

বুধবার (১০ জুলাই) বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা কমিটির সভায় নেতারা একথা বলেন। জোট সমন্বয়ক ও ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নুর সভাপতিত্বে সভায় অংশ নেন সিপিবি সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশীদ ফিরোজ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, বাসদ (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় পরিচালনা কমিটির সদস্য মানস নন্দী, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল হক ও গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির লিয়াকত আলী। 

তারা বলেন, এ বছরের বাজেট বক্তৃতায় উল্লেখ করা হয়েছে সরকার এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না যেন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পায়। অথচ বাজেট পাশের দিনই গ্যাসের দাম ৩২.৮০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ফলে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি পাবে, ফলশ্রুতিতে সব ধরনের শিল্পপণ্যের দাম বৃদ্ধি পাবে, যা জনগণের দুর্ভোগ বাড়াবে। তাই গ্যাসের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে এবং বিইআরসিতে রাজনৈতিক দলসমূহসহ বিভিন্ন মহল দাম কমানোর যে যুক্তি উপস্থাপন করেছিল তা বিবেচনায় নিয়ে দাম কমাতে হবে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, আন্তর্জাতিক বাজার থেকে যে গ্যাস ভারত কেনে ৬ ডলারে, সেখানে বাংলাদেশ তা কেনে ১০ ডলারে। আন্তর্জাতিক বাজারে গ্যাসের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। তারপরও সাধারণ ভোক্তাদের বাড়তি দাম দিতে হচ্ছে। এটা করা হচ্ছে- এলএনজি ব্যবসায়ীদের সুবিধা দিতে।

বাম নেতারা বলেন, উন্নয়ন হচ্ছে দেশের মাত্র ১ শতাংশ লুটেরা ধনিকের, তা হলে বাকি ৯৯ শতাংশ সাধারণ মানুষ কেন তথাকথিত ‘উন্নয়নের প্রসব বেদনা’র শিকার হবে। নেতৃবৃন্দ সরকারের প্রতি গ্যাস নীতি নিয়ে প্রকাশ্য বিতর্কের আহ্বান জানান। এর পাশাপাশি আগামী ১৪ জুলাই ( রোববার) গ্যাসের বর্ধিত দাম প্রত্যাহারের দাবিতে ‘জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘেরাও’ এবং সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের জন্য নেতৃবৃন্দ দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তারা।

টিএস/ এফসি

আরও পড়ুন