• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ১৬, ২০১৯, ০৫:৫২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১৬, ২০১৯, ০৬:৫৮ পিএম

রংপুরে সামরিক মর্যাদায় সমাহিত এরশাদ

রংপুরে সামরিক মর্যাদায় সমাহিত এরশাদ
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে রংপুরে তার নিজ বাসভবন পল্লী নিবাসের লিচুতলায় দাফন করা হয় - ছবি : টিভি থেকে নেয়া

সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের দাফ রংপুরে পূর্ণ সামরিক মর্যাদায় সম্পন্ন করা হয়েছে। সেখানে নিজ বাসভবন পল্লী নিবাসের লিচুতলায় মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকাল ৫টা ৫০ মিনিটে তাকে সমাহিত করা হয়।

দাফনের আগে বিকাল সাড়ে ৫টায় এরশাদের মরদেহ সামরিক যান ‘গান ক্যারেজ’ থেকে নামানো হয়। জাতীয় পতাকা ও সেনাবাহিনীর পতাকা মোড়া কফিনটি বহন করে কবরের পাশে নিয়ে যান সেনাসদস্যরা। এসময় তার আত্মীয়-স্বজ্বন, শুভানুধ্যায়ী, দলীয় নেতাকর্মীরা কাঁদছিলেন। 

সামরিক রীতি অনুযায়ী দাফনের আগে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জীবন বৃত্তান্ত পাঠ করা হয়। মরদেহ কবরে নামানো আগে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এর পর দাফনকার্য সম্পন্ন করা হয়।

জাতীয় পতাকা ও সেনাবাহিনীর পতাকা মোড়া কফিনটি বহন করে কবরের পাশে নিয়ে যান সেনাসদস্যরা - ছবি : টিভি থেকে নেয়া

দাফন শেষে সেনাসদস্যরা ‘হলি ফায়ার’ করেন। এর পর সেনাপ্রধানের পক্ষে মরহুমের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ৬৬ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল নজরুল ইসলাম। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সামরিক স্যালুট দেয়া হয় এবং বিউগল বাজানো হয়। এরপর মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া পাঠ করা হয়।

দাফনের পর মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া পাঠ করা হয়    - ছবি : টিভি থেকে নেয়া

গত রোববার (১৪ জুলাই) ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় এইচ এম এরশাদের মৃত্যু হয়। ওইদিন বাদ জোহর ঢাকা সেনানিবাস কেন্দ্রীয় মসজিদে প্রথম জানাজা হয়। সোমবার বিরোধী দলীয় নেতা এরশাদের দ্বিতীয় জানাজা হয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায়। এরপর বাদ আছর বায়তুল মোকররম জাতীয় মসজিদে তৃতীয় দফায় জানাজা হয়। 

এরশাদের মৃত্যুর দিনই জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, প্রয়াত এই নেতার দাফন হবে বনানীতে সামরিক কবরস্থানে। তবে রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও জাতীয় পার্টির নেতা মোস্তাফিজার রহমানসহ স্থানীয় নেতারা রংপুরের এরশাদকে কবর দেয়ার দাবি করেন। 

আজ সকাল সাড়ে ১০টায় বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার ঢাকা তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে এরশাদের কফিন নিয়ে রংপুরের উদ্দেশে রওনা হয়। কফিনের সঙ্গে ছিলেন জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও এরশাদের ছোট ভাই জি এম কাদের, এরশাদের ছেলে রাহগির আল মাহি শাদ এরশাদ, জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গাসহ একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা।

রংপুর ঈদগাহ ময়দান থেকে এরশাদের মরদেহ ঢাকায় আনতে বাধা দেয়া হয়  - ছবি : জাগরণ 

বেলা ১২টার পর ঈদগাহ ময়দানে এরশাদের মরদেহ নেয়ার পর থেকেই সেখানে রাখা মাইকে এরশাদকে রংপুরে দাফনের দাবি ওঠে। জানাজার আগে বক্তৃতায় মেয়র মোস্তাফিজ এই দাবি আবারও তোলেন। এরপর জি এম কাদের বক্তব্য শুর করেন। কিন্তু তাঁর বক্তব্যের মাঝেই দাফনের বিষয়টি উল্লেখ করে শ্লোগান শুরু হয়। বেলা ২টা ২৫ মিনিটে এরশাদের জানাজা শুরু হয়। জানাজার পর শত শত কর্মী এরশাদের মরদেহ বহনকারী গাড়িটি ঘিরে ধরে। তারা রংপুরে কবর দেওয়ার দাবি করেন। রংপুরের মানুষের ভালবাসার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে রংপুরেই এরশাদকে দাফন করার অনুমতি দেন রওশন এরশাদ।

আগামীকাল এরশাদের কুলখানী
আগামীকাল ১৭ জুলাই আছর নামাজের পর গুলশান আজাদ মসজিদে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কুলখানী অনুষ্ঠিত হবে। হুসেই মুহম্মদ এরশাদের রুহের মাগফিরাত কামনায় সবাইকে কুলখানীতে অংশ নিতে অনুরোধ জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবং সংসদে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি।

এএইচএস/ জেড এইচ/ এফসি

আরও পড়ুন