• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ২০, ২০১৯, ০৭:৪৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২০, ২০১৯, ০৭:৪৫ পিএম

‘দেশে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মাফিয়াদের রাজত্ব কায়েম হয়েছে’

‘দেশে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মাফিয়াদের রাজত্ব কায়েম হয়েছে’

বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, সরকারের দমন-দলন নীতির কারণে যে রাজনৈতিক শূন্যতা তৈরি হয়েছে তা দেশকে ক্রমান্বয়ে সর্বগ্রাসী নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ছে, জানমালের নিরাপত্তাহীনতা গুরুতর হয়ে উঠছে। পারিবারিক-সামাজিক মূল্যবোধ ভেঙে পড়ছে। দেশে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মাফিয়াদের ররাজত্ব কায়েম হয়েছে। ক্রমে তারা বেপরোয়া হয়ে উঠছে। মনে হয় সরকারের মধ্যে অনেকগুলো সরকার কাজ করছে।

শনিবার (২০ জুলাই) পার্টির কেন্দ্রীয় নেত্রী বহ্নিশিখা জামালীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিনিধি সভায় তিনি এ কথা বলেন। এতে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নেতা আকবর খান, আনছার আলী দুলাল, রাশিদা বেগম, মাহমুদ হোসেন, এ্যাপোলো জামালী, সরদার রইছউদ্দীন, মোজাম্মেল হোসেন, প্রশান্ত দেব ছানা, সাইফুল ইসলাম, রহিমা বেগম, রাশেদ সরোয়ার, অরবিন্দু বেপারী বিষ্ণু, রফিকুল ইসলাম অভি, নাসিরউদ্দীন, সফিকুল ইসলাম নেওয়াজ, হারুন অর রশীদ, আরিফুল ইসলাম প্রমুখ।

সাইফুল হক বলেন, গত ৩০ ডিসেম্বরের পর রাষ্ট্র পরিচালনায় সরকারের রাজনৈতিক ও নৈতিক কর্তৃত্ব হ্রাস পাওয়ায় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা পেশাগত দায়িত্বের বাইরে যেয়ে অস্বাভাবিকভাবে কর্তৃত্বপরায়ন ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে চলেছে। হত্যা, গুম, খুন, সন্ত্রাস, দুর্নীতি, লুটপাট, অর্থপাচার, জবরদখল শাসনের সাধারণ নিয়মে পরিণত হয়েছে। এই পরিস্থিতি দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতকে পুরোপুরি অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে। নির্বাচন কমিশন ও দুদক এর মত সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহ অকার্যকর হয়ে পড়েছে। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহ দুর্বল, অকার্যকর ও ভেঙ্গে পড়ায় গণদুর্ভোগ আরও চরমে উঠেছে।

তিনি বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থা ভেঙ্গে দিয়ে দেশ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনি ব্যবস্থাকে বিদায় করে দেয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নিয়মতান্ত্রিক পথে সরকার পরিবর্তনের সুযোগও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এই অবস্থা পরিবর্তনে তিনি আন্দোলনের পথে জনগণের বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার ডাক দেন। সভায় বানভাসি দুর্গত অঞ্চলে জরুরীভিত্তিতে খাদ্য, নগদ অর্থ ও ত্রাণসামগ্রী পৌঁছাতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

সভায় বাম জোটের চার মাসব্যাপী আন্দোলনের কর্মসূচির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণের ঐক্য জোরদার করার অঙ্গকার ব্যক্ত করা হয়।

টিএস/এসএমএম

আরও পড়ুন