• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: জুলাই ২৫, ২০১৯, ০৮:৫৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২৫, ২০১৯, ০৮:৫৭ পিএম

ভাসানী ন্যাপের ৬২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী শুক্রবার

ভাসানী ন্যাপের ৬২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী শুক্রবার
মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী

জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী প্রতিষ্ঠিত ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) ৬২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী শুক্রবার। ১৯৫৭ সালে মওলানা ভাসানী ন্যাপ প্রতিষ্ঠা করেন। একটি গুরুত্বপূর্ণ বিরোধী রাজনৈতিক দল হিসেবে এটি পূর্ব পাকিস্তানে ১৯৬৯-এর গণঅভ্যূত্থান সংগঠনে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা রেখেছিল।

এ উপলক্ষে দলের শুক্রবার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের প্রতিষ্ঠাতা স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর অস্থায়ী প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, ২৭ জুলাই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
 
বর্তমানে বাংলাদেশে মওলানা ভাসানী প্রতিষ্ঠিত ন্যাপ বিভিন্ন নামে ব্রাকেটবন্দি হয়ে একাধিক অংশে বিভক্ত। এর মধ্যে জেবেল রহমান গাণির নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ ন্যাপ ও অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের নেতৃত্বাধীন ন্যাপ (মোজাফফর) নিববাচন কমিশনে নিবন্ধন প্রাপ্ত।

১৯৫৭ সালের ৬-১০ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইলের কাগমারীতে আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে আওয়ামী লীগ সভাপতি মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী এবং আওয়ামী লীগ নেতা ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মধ্যে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে বিশেষ করে সাম্রাজ্যবাদীদের স্বার্থ রক্ষার স্যান্টো ও সিয়েটা চুক্তি নিয়ে মতবিরোধ দেখা দেয়। এ প্রশ্নে দলের ডানপন্থী পাতি বুর্জোয়া নেতাকর্মীরা সোহরাওয়ার্দীর পক্ষাবলম্বন করেন এবং বামপন্থী অংশ মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে স্বাধীন ও জোটনিরপেক্ষ পররাষ্ট্রনীতি এবং পূর্ব-পাকিস্তানের সর্বাধিক স্বায়ত্তশাসনের দাবি তোলেন। ফলে আওয়ামী লীগ আদর্শিক কারণে বিভক্ত হয়ে পড়ে। ওই বছর ১৮ মার্চ মওলানা ভাসানী নিজের প্রতিষ্ঠিত আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ ত্যাগ করেন। আওয়ামী লীগের বামপন্থী এবং স্বায়ত্তশাসনের দাবিদার অংশের উদ্যোগে ঢাকার রূপমহল সিনেমা হলে ২৪-২৫ জুলাই গণতান্ত্রিক কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সম্মেলনে ২৬ জুলাই পাকিস্তান ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) গঠিত হয়। ন্যাপেরও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নির্বাচিত হন মওলানা ভাসানী এবং সম্পাদক নির্বাচিত হন পশ্চিম পাকিস্তানের মাহমুদুল হক ওসমানী। ন্যাপের অন্যান্য নেতাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন পূর্ববাংলা থেকে হাজী মুহাম্মদ দানেশ, অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ, মহিউদ্দিন আহমদ, মশিউর রহমান (যাদু মিয়া), পীর হাবিবুর রহমান, এসএ আহাদ, আবদুল মতিন, আবদুল হক, আতাউর রহমান এবং পশ্চিম পাকিস্তান থেকে ছিলেন খান আবদুল ওয়ালী খান, আবদুল মজিদ সিন্ধী, মিয়া ইফতেখার প্রমুখ।

টিএস/বিএস