• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৪ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ১৯, ২০১৯, ০৩:৪৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ১৯, ২০১৯, ০৩:৪৯ পিএম

অর্বাচীনের মতো কথা বলছেন ব্যর্থ মন্ত্রীরা : মির্জা ফখরুল

অর্বাচীনের মতো কথা বলছেন ব্যর্থ মন্ত্রীরা : মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর- ফাইল ছবি

‘বিএনপি চামড়া কিনে ফেলে দিয়েছে’ শিল্পমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই ধরনের অর্বাচীনের মতো কথা বলা ছাড়া তাদের তো আর কোনো কিছু করার নেই। তারা দেশ চালাতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। কারণ একটি অনির্বাচিত সরকার দেশ চালাতে পারে না। জনগণের ম্যান্ডেট তাদের প্রতি নেই। সংসদ বলুন আর সরকারেই বলুন, কোথাও জনগণের প্রতিনিধিত্ব নেই। 

সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে বিএনপির অঙ্গ সংগঠন জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত ও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পরে তিনি এসব কথা বলেন। 

মির্জা ফখরুল বলেন, এই অবৈধ সরকার সুপরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করেছে। এখন তারা অর্থনীতিকে ধ্বংস করার জন্য কাজ করছে। তাদের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে দেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করা। সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোকে বিরাজনীতিকরণের মধ্যে নিয়ে যাওয়া। রাজনীতি দূর করে দিয়ে তারা এখানে প্রভুত্ব করতে চায়। সেটা সম্ভব হবে না। এই দেশের মানুষ কখনোই তা মেনে নেবে না। এদেশের মানুষ অবশ্যই আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে গণতন্ত্রের প্রতীক দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবে। 

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া বিএনপির মহাসচিব বলেন, জিয়াউর রহমান নন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যায় আওয়ামী লীগের নেতারাই জড়িত। দীর্ঘকাল ধরেই এই ইতিহাস তারা বিকৃত করার চেষ্টা করছে। এটা ধ্রুবতারার মতো সত্য, জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তিনি কোনো হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। ইতিহাসে প্রমাণিত। জড়িত ছিল তাদের লোকেরা। যারা পরবর্তিতে সরকার গঠন করেছে, সংসদে গেছে।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর সম্পর্কে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা খুব বেশি কিছু প্রত্যাশা করছি না। কারণ আমরা গত ১০-১২ বছরে শুনলাম আওয়ামী লীগের সঙ্গে ভারত সরকারের সম্পর্ক সুউচ্চ পর্যায়ে আছে। তো এখন পর্যন্ত তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আমরা পাইনি। সীমান্তে হত্যা বন্ধ হয়নি। বাণিজ্য ঘটতি পূরণ করার জন্য কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। আমাদের কোনো সমস্যার সমাধান হয়নি। যেটা হয়েছে, ভারতের সমস্যার সমাধান হয়েছে। সেজন্য আমরা খুব বেশি আশাবাদী হতে পারছি না।
 
এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পদক ফজলুল হক মিলন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শরফত আলী সপু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, সহ-সভাপতি গোলাম সারোয়ার সহ-সেচ্ছাসেবক দলের কয়েকশ নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

টিএস/বিএস 
 

আরও পড়ুন