• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০১৯, ০৬:২১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ২২, ২০১৯, ০৬:৩২ পিএম

ক্ষমতাসীনদের কাছ থেকে জনগণ বারবার ধোকা খায়: পঙ্কজ ভট্টাচার্য

ক্ষমতাসীনদের কাছ থেকে জনগণ বারবার ধোকা খায়: পঙ্কজ ভট্টাচার্য
প্রেসক্লাবে ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য -ছবি : জাগরণ

জনগণ বারবার ক্ষমতাসীনদের কাছ থেকে ধোকা খায় বলে মন্তব্য করেছেন ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য। এ সময় তিনি বস্তিতে নিয়মিত কেন আগুন লাগে তা খতিয়ে দেখতে ও নিম্ন আয়ের মানুষদের আবাসনের জন্য জাতীয় বস্তি কমিশন গঠনের দাবি জানান।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দুপুরে প্রেসক্লাবের ভিআইডি লাউঞ্জে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) ও বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিকের উদ্যোগে এক সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন পবা চেয়ারম্যান আবু নাসের খান ও সঞ্চালনা করেন সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ উজ্জল।

সংলাপে পঙ্কজ ভট্টাচার্য বলেন, বস্তিবাসীদের জন্য হাইকোর্টেও রুল জারি করা থাকলেও প্রতিবছর বস্তিতে আগুন লাগে আর বস্তি উচ্ছেদ হয়। কেন বস্তি পোড়ে তা খতিয়ে দেখা জরুরি। একটি পৃথক কমিশন গঠন করে সকল অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুধাবন করে বস্তিবাসীদের আবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। বস্তিতে আগুণ লাগে না লাগিয়ে দেয়া হয় তা খতিয়ে দেখতে হবে এবং বস্তি নিয়ে রাষ্ট্রের বর্ণবাদী দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করতে হবে।

সংলাপে অন্য বক্তারা বলেন, বস্তিবাসী আজ সমাজে গালি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। কিন্তু ঢাকা শহরের নিম্ন আয়ের এই মানুষরা যদি একদিন কাজ না করেন তবে শহর অচল হয়ে যাবে। অথচ কী অদ্ভুতভাবে নিয়মিত বিরতিতে আমাদের এই বস্তিগুলোকে পুড়তে দেখতে হয়।

সংলাপে বস্তিবাসী নেতারা বলেন, আমরা ভিক্ষা চাই না। আমরা চাই প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বস্তিবাসীদের জন্য যে ঘোষণাদিয়েছিলেন তার বাস্তবায়ন করা হোক। 

সংলাপে আরও বক্তব্য রাখেন-  ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক দেবাশীষ কুমার কুণ্ডু, পবার সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আব্দুস সোবহান, গবেষক ও লেখক পাভেল পার্থ, আওয়ামী বাস্তুহারা লীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ হালদার, বস্তিবাসী নেতা কুলসুম বেগম, রাফেজা বেগম ও প্রবাশ ফেরত নুরজাহান বেগম প্রমুখ।

সংলাপ থেকে মিরপুর ঝিলপাড়ের চলন্তিকা বস্তিতে ভয়াবহ অগিকাণ্ডে আনুমানিক ৫০০০ পরিবারের ক্ষতির পরিমাণ ১৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেয়ার পাশাপাশি উক্ত স্থানে তাদের দ্রুত পুনর্বাসনের ব্যবস্থার দাবি জানানো হয়। 

টিএস/একেএস

আরও পড়ুন