• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১১, ২০১৮, ১২:০৭ পিএম

বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ, ফরিদগঞ্জে গ্রেফতার ৯

বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ, ফরিদগঞ্জে গ্রেফতার ৯

 

চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় ৬৫০ জনকে আসামি করে মামলা দিয়েছে পুলিশ। এদের মধ্যে ১৫০ জন নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আর ৫০০ জনকে অজ্ঞাত হিসেবে দেখানো হয়।

সোমবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে ফরিদগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক আবুল কলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

ফরিদগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুনুর রশীদ চৌধুরী আজ মঙ্গলবার সকালে বলেন, ‘নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করে বিএনপি শো-ডাউন বের করে। বিষয়টি আলোচনা করতে গেলে কোনও কারণ ছাড়াই বিএনপি নেতা-কর্মীরা পুলিশের উপর হামলা চালায়। পুলিশের উপর হামলা ও নাশকতার চেষ্টায় মামলাটি করা হয়। এ পর্যন্ত বিএনপির ৯ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছি।’

জানা গেছে, সোমবার বিএনপি প্রার্থী এম এ হান্নান জেলা রির্টানিং অফিস থেকে ধানের শীষ প্রতীক পাওয়ার পর নেতা-কর্মী নিয়ে শো-ডাউন বের করেন। ওইসময় ফরিদগঞ্জ সদর বাজারে প্রবেশ করলে পুলিশের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ফরিদগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে পুলিশের সাথে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে পুলিশসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়। ওইসময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ ও শর্টগানের ৬ রাউন্ড গুলি ছুঁড়েন। এসময় পুলিশ বিএনপি কর্মী আরিফ হোসেন ও ইমাম হোসেনকে আটক করে।

সংঘর্ষে আহতরা হলেন, ফরিদগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক ওমর ফারুক, এস আই সুমন্ত মজুমদার, এস আই আবুল কালাম ও এস আই গোলাম রসুল। বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে আহত হন- উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক শরীফ মোহাম্মদ, পৌর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আমানত গাজী, সাবেক ভিপি মজিবুর রহমান, মহিলা নেত্রী ফরিদা ইয়াছমিন, শ্রমিক দলের দলের সভাপতি আজিম, বিএনপি নেতা মানিক, নান্নু মিজি, ইকবাল হোসেন, শাহিনসহ আরও কয়েকজন।

সন্ধ্যায় এম এ হান্নান পুলিশকে দায়ী করে সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি বলেন, ‘বিনা উস্কানিতে পুলিশ আমাদের শান্তিপূর্ণ শোডাউনে অতর্কিত হামলা করেছে। আমাদের নেতাকর্মীদের পিটিয়ে আহত করেছে। গ্রেফতার করেছে। অতি উৎসাহী হয়ে পুলিশ আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করছে। হামলায় বিএনপির প্রায় ২৫/৩০ জন নেতাকর্মী আহত হয়।’


সাইসে