চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে বিএনপির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় ৬৫০ জনকে আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে ১৫০ জন নামধারীসহ ৪ শতাধিক ব্যক্তিকে অজ্ঞাত আসামি হিসেবে দেখানো হয়।

সোমবার (১০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে ফরিদগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক আবুল কালাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। উক্ত মামলায় বিএনপির ৯ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এর আগে সোমবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ফরিদগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়। ওই সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠি চার্জ ও ৬ রাউণ্ড শটগানের গুলি ছোঁড়ে।

আহতরা হলেন- থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওমর ফারুক, এসআই সুমন্ত মজুমদার, এসআই আবুল কালাম ও এসআই গোলাম রসুল, উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক শরীফ মোহাম্মদ, পৌর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আমানত গাজী, সাবেক ভিপি মজিবুর রহমান, মহিলা নেত্রী ফরিদা ইয়াছমিন, শ্রমিক দলের সভাপতি আজিম, বিএনপি নেতা মানিক, নান্নু মিজি, ইকবাল হোসেন, শাহিনসহ আরো কয়েকজন।

মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুনুর রশীদ চৌধুরী বলেন, সোমবার নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে বিএনপি প্রার্থী আলহাজ্ব এম এ হান্নান জেলা রির্টানিং অফিস থেকে ধানের শীষ প্রতীক পাওয়ার পর নেতা-কর্মী নিয়ে শো-ডাউন বের করেন। ওই সময় ফরিদগঞ্জ সদর বাজারে প্রবেশ করলে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়।

এর প্রেক্ষিতে বিএনপি’র প্রার্থী এম এ হান্নান সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি বলেন, বিনা উস্কানিতে পুলিশ আমাদের শান্তিপূর্ণ শোডাউনে অতর্কিত হামলা করেছে। আমাদের নেতা-কর্মীদের পিটিয়ে আহত ও গ্রেফতার করেছে। তাছাড়া অতি উৎসাহী হয়ে পুলিশ আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করছে। হামলায় বিএনপির প্রায় ২৫/৩০ জন নেতাকর্মী আহত হয়।’

এসসি/আরআই