• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ৩১, ২০১৯, ০৪:১৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ৩১, ২০১৯, ০৪:১৯ পিএম

‘ফখরুলের দুই সময়ে মানুষ হত্যায় বিএনপিকে ক্ষমা চাইতে হবে’

‘ফখরুলের দুই সময়ে মানুষ হত্যায় বিএনপিকে ক্ষমা চাইতে হবে’
জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ - ছবি : জাগরণ

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার দুই সময়ের দায়িত্বে দলটি যে সাধারণ মানুষ হত্যা করেছে এর জন্য বিএনপিকে ক্ষমা চাইতে বলেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, মির্জা ফখরুল সাহেবদের বলব, মির্জা ফখরুলের ভারপ্রাপ্ত এবং পূর্ণ মহাসচিব দুই সময় মিলেই জাতির ওপর যে হত্যাযজ্ঞ তারা চালিয়েছেন, অন্য কথা বলার আগে এসব নির্মম অপরাধের জন্য বিএনপির উচিত আগে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া।

বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্য কুশীলবদের বিচারের জন্য একটি কমিশন এবং পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ ও সন্ত্রাসের হুকুমদাতাদেরও বিচারের জন্য একটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা উচিত বলে এসময় মন্তব্য করেন তিনি। শনিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এমন আহ্বান জানান। বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ এ সভার আয়োজন করে।    

হাছান মাহমুদ বলেন, ২০১৩, ’১৪, ’১৫ সালে অবরোধের নামে ও নির্বাচন বানচালের হীন চক্রান্তে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে ঘুমন্ত বাসযাত্রী, থেমে থাকা গাড়ির ঘুমন্ত চালক, অন্তঃসত্ত্বা মা, স্কুলফেরত শিশু-কিশোর, ইজতেমার মুসল্লিকে পুড়িয়ে হত্যাসহ দুবারের শাসনামলে বিএনপি  সহস্রাধিক মানুষকে হত্যা করে, তারা চার হাজার গাড়ি ও ত্রিশটি লঞ্চ পোড়ায়, ২০১৪ সালের নির্বাচনের সময় তারা কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের বইসহ ৫০০ স্কুলঘর পুড়িয়ে দেয়, পোড়া মানুষ আর পোড়া বইয়ের জন্য আহাজারিতে বাতাস ভারি হয়েছিল।  

‘বিএনপি দলটিই জনগণের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আছে' উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান যেমন বঙ্গবন্ধু হত্যার কুশীলব, হত্যাকারীদের রক্ষক ও পুরস্কারদানকারী, তেমনি ক্ষমতায় থাকতে গিয়ে তিনি ১৬০০ সেনাসদস্যকে নির্বিচারে এমনকী কাউকে কাউকে ছুটি থেকে ডেকে এনে হত্যা করেছেন। তার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াও ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে সহস্রাধিক আওয়ামী লীগ কর্মী হত্যা, ২০০৪ সালে প্রকাশ্য দিবালোকে বৃষ্টির মতো গ্রেনেড ছুঁড়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রাণনাশের অপচেষ্টা, জঙ্গিদের মদদ দিয়ে হত্যা-খুনের রাজনীতি কায়েম এবং পেট্রোলবোমা ছুঁড়ে মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছেন। যাদের রাজনীতির মূলমন্ত্র হচ্ছে মানুষ হত্যা, সরকারের সমালোচনা করার অধিকারই তো তাদের থাকে না।

সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার জাকির আহমদ। উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু ও আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম পোদ্দার প্রমুখ। 

এএইচএস/ এফসি

আরও পড়ুন