• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৬, ২০১৯, ০১:২৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ৬, ২০১৯, ০১:৪১ পিএম

মহাসড়কে টোলের সিদ্ধান্ত গণবিরোধী: রিজভী 

মহাসড়কে টোলের সিদ্ধান্ত গণবিরোধী: রিজভী 
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ- ছবি: জাগরণ

দেশের মহাসড়ক থেকে টোল আদায় করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশকে সম্পূর্ণ গণবিরোধী বলে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। তিনি বলেন, জনগণের পকেট কাটতেই এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সরকার। মহাসড়ক থেকে টোল আদায় করা হলে তা যাত্রীদের পকেট থেকেই দিতে হবে। যানজটের তীব্রতা বাড়বে, সময়ও নষ্ট হবে। টোলসহ অতিরিক্ত সকল খরচের মাশুল দিতে হবে জনগণকেই। তিনি আরও অভিযোগ করেন, মধ্যরাতের সরকার উন্নয়নের বুলি কপচিয়ে লুটপাটের নীতিতে দেশ চালাচ্ছে। তারা জনগণকে নানা ট্যাক্সের মধ্যে বন্দি করে ফেলেছে। 

শুক্রবার (৬) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।  

রিজভী আহমেদ বলেন, সিটি ও পৌর কর নিয়মিত বাড়ানো হয়েছে। একটা ট্রেড লাইসেন্স নিতে গেলে জনগণকে এখন ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা গুনতে হচ্ছে। বাড়ির হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়িয়েছে বহুগুণ। গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানির বিল কয়েক বছরে বাড়িয়েছে ১০ গুণের বেশি। মানুষ মোবাইলে কথা বলবে, সেখান থেকেও টাকা কেটে নিচ্ছে সরকার। এ সরকার সারাদেশে লুটপাট চালিয়ে দেশকে ফোঁকলা করে ফেলেছে। এখন তাদের জনগণের ওপর ট্যাক্স না বসিয়ে তাদের কোন উপায় নেই। তাই একের পর এক ফন্দি করে জনগণের টাকা কেটে নিচ্ছে সরকার। 

সরকারকে এ ধরণের গণবিরোধী কর্মকাণ্ড থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়ে রিজভী বলেন, দেশের মহাসড়কগুলো টোল আদায়ের জন্য উপযুক্তই না। সারাদেশের অধিকাংশ রাস্তা খানাখন্দে ভরা। বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে মহাসড়কগুলোতেও। এসব কারণে সড়কে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। সড়কে মৃত্যুর মিছিল থামছে না। এছাড়াও নানা কারণে সকল সড়কে যানজট লেগেই আছে। যানজটের কারণে গাড়ি ঠিকমত চলতে পারে না৷ এর মধ্যে টোলঘর বসালে প্রতিবন্ধকতা আরও বাড়বে।

তিনি বলেন, এমনিতে বাস ভাড়া অনেক বেশি। সড়কে টোল আদায় করলে বাস ভাড়া আরও বাড়বে। সরকার নির্ধারিত ভাড়া পরিবহন মালিকরা নেন না। এখন টোলের টাকাও যাত্রীদের কাছ থেকে উঠানো হবে। টোলের ফলে যাত্রীদের অর্থ অপচয় হবে, সময় অপচয় হবে। ফলে যাত্রীরাই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যা ও নির্যাতন আরও বেড়ে গেছে। বেড়েছে বিএসএফের নৃশংসতার ধরণও। দেশের উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে বাংলাদেশিদের প্রতি ভয়ংকর নৃশংস আচরণ করেছে বিএসএফ। বিএসএফ বাংলাদেশিদের ওপর যে নিষ্ঠুর আচরণ করছে তা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। আটক বাংলাদেশিদের নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে। সুযোগ দিন দিন বিএসএফের হাতে বাংলাদেশি হত্যার সংখ্যা বাড়লেও নীরবতা পালন করে আসছে বর্তমান সরকার। সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে সীমান্ত নিরাপদ হচ্ছে না। সীমান্ত হত্যা বন্ধে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। আমি সরকারের এ ধরণের ঘৃণ্যনীতির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, জামিনে থাকলেও জামিন বাতিল আবারও কারাগারে পাঠানো হয়েছে দেশের প্রতিথযশা আইনজীবী, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে তার মুক্তি দাবি করছি।

টিএস/টিএফ

আরও পড়ুন