• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৯, ০৩:৪৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৯, ০৩:৪৯ পিএম

খালেদার পরিবারকে ৪৫ একর খাস জমি 

‘মাতাসাগর’ নিয়ে করা আপিল শুনানির উদ্যোগ

‘মাতাসাগর’ নিয়ে করা আপিল শুনানির উদ্যোগ
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া-ফাইল ছবি

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পরিবারকে দিনাজপুরে ৪৫ একর খাস জমি বরাদ্দ দেয়ার বিষয়ে হাইকোর্টে করা আপিল দ্রুত শুনানির উদ্যোগ নিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখাকে এ বিষয়ে নথিপত্র প্রস্তুত করার জন্য বলা হয়েছে।

গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী বশির আহমেদ।

‘মাতাসাগর’ নামে পরিচিত এই জমি নিয়ে আপিলের শুনানি কবে নাগাদ হবে তা নিশ্চিত করেন নি তিনি।

১৯৮১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি মাতাসাগরকে খালেদা জিয়ার বাবা এম এস্কান্দার মজুমদারের আবেদনক্রমে লিজ দেয়া হয়েছিল। সেখানে প্রতিষ্ঠা করা হয় দিনাজপুর লাইভস্টক অ্যান্ড পোলট্রি ফার্ম নামে মুরগির খামার। এর বর্তমান মালিক বিএনপি সরকারের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ফজলুর রহমান পটলের পরিবার।

মাতাসাগর
দিঘির এই দৃষ্টিনন্দন পরিবেশ নষ্ট করেছে পাশের মুরগির খামার ও ধানের চাতালের মতো স্থাপনা-সংগৃহীত

দিনাজপুর ঐতিহ্য ফোরামের নেতা হাফিজুর রহমান দিঘিটি উদ্ধারে ভূমি মন্ত্রণালয়ে আবেদন করলে একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব (আইন) শঙ্কর চন্দ্র বসুর নেতৃত্বে ওই কমিটি তিন মাস তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

তৎকালীন ভূমিমন্ত্রী রেজাউল করিম এ ব্যাপারে বলেছিলেন, মাতাসাগর দিঘির অবৈধ বন্দোবস্ত বাতিল করা হবে। কোনও ধরনের নিয়ম-কানুনের তোয়াক্কা না করে জিয়া পরিবারের সদস্যরা এটি দীর্ঘদিন ধরে দখল করে রেখেছে।

সপ্তদশ শতাব্দীতে এ অঞ্চলের প্রভাবশালী জমিদার ছিলেন সুখদেব। মোগল সম্রাট আওরঙ্গজেব তাকে ১৬৭৭ সালে ‘মহারাজা’ উপাধি দেন। মহারাজা সুখদেব প্রজাদের পানির কষ্ট দূর করতে দিঘিটি খনন করে তার মাকে উৎসর্গ করেন। এ জন্য এর নামকরণ করা হয় ‘মাতাসাগর’। একসময় শালবনে ঘেরা ছিল দিঘিটি।

এমএ/এসএমএম

আরও পড়ুন