• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৯, ০৯:২৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৯, ০৯:২৬ পিএম

‘মৃত্যুর আগে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন এরশাদ’

‘মৃত্যুর আগে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন এরশাদ’

মৃত্যুর আগে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন।

রোববার (০৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে একাদশ জাতীয় সংসদের চতুর্থ অধিবেশনে বিরোধী দলীয় নেতা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন
জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা।

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আমার নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ মারা যাওয়ার আগে গত নির্বাচনের আগে যখন সব রাজনীতিবিদদের ডেকেছিলেন, তখন প্রধানমন্ত্রীকে বলেছিলেন, আপনি আমার বোনের মত, আমি দীর্ঘদিন ক্ষমতায় ছিলাম, আমার কারণে বা আমার বাহিনীর দ্বারা আপনাদের কেউ অত্যাচারের শিকার হলে আমি ক্ষমা চাচ্ছি। আমার বড় বোন বা ছোট বোন হিসেবে ক্ষমা করে দেবেন।’

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনের শুরুতে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন। পরে সেই প্রস্তাবের ওপর সরকারি দল, বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও বিএনপির সংসদ সদস্যরা বক্তব্য দেন।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ এ সময় বলেন, ‘আমাদের জন্য দুনিয়া ক্ষণিকের জায়গা। দুনিয়ায় মানুষের আগমন ঘটে চলে যাবার জন্য। সবাইকে চলে যেতে হবে। আমাদের কর্মের মধ্য দিয়ে আমরা দুনিয়ায় বেঁচে থাকব। আমাদের আমলনামার ভিত্তি মজবুত হলে যুগের পর যুগ মানুষের মধ্যে স্মরণীয় হয়ে থাকব।’

তিনি আরও বলেন, ‘১৯৮২ সালে আমি তখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম, দেখলাম, আকস্মিকভাবে একটি নির্বাচিত সরকারকে সরিয়ে ক্ষমতায় আসেন জেনারেল এরশাদ। স্বাভাবিক কারণেই এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সারাদেশ উত্তপ্ত হয়েছিল। অনেক রক্তপাত হয়েছে। তিনি মারা গেছেন, এ নিয়ে আর কিছু বলতে চাই না। ওনার দীর্ঘ আট-নয় বছরের শাসনামলে পর পর দু’টি জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছিল। কোনোটিই স্থায়ীত্ব লাভ করে নাই। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে তিনি অত্যন্ত কঠিন সময় পার করেছেন। আমরা দেখেছি, ২০১৪ সালের এক তরফা নির্বাচনে তিনি অংশ নেননি। কিন্তু তারপরও তাকে নির্বাচিত করা হয়েছে। এটি ইতিহাসের অংশ হিসেবে থেকে যাবে। পরে মহাজোটের শরিক হিসেবে এখানে বিরোধী দলের দায়িত্বে থাকাকালে তিনি আমাদের মধ্য থেকে বিদায় নিয়েছেন। মানুষ মাত্র ভুলত্রুটি থাকবেই। তার ভুলত্রুটি মুছে দেয়ার চেষ্টা করব।’

এর প্রতিবাদ জানিয়ে রাঙ্গা বলেন, ‘আমার নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এ সংসদে দাঁড়িয়ে সবার কাছে বলেছিলেন, জাতির পিতাকে জাতির পিতা ঘোষণা করতে পারি নাই, এটাই আমার দুঃখ। তিনিই একমাত্র রাষ্ট্রপতি, ‍যিনি ভিন্নমতের হলেও বঙ্গবন্ধুর সমাধি জিয়ারত করেছেন। বিএনপির সংসদ সদস্য বলেছেন, তিনি ক্ষমতা দখল করেছেন, কথাটি সঠিক নয়। আমি খুশি হতাম, যদি তিনি একটু বলতেন, এরশাদ সাহেবের আমলে এক টাকায় দুইখানা বাড়ি দিয়েছেন ওনাদের নেত্রীকে। একখানা ক্যান্টনমেন্টে, আরেকখানা গুলশানে।’

এইচএস/এসএমএম

আরও পড়ুন